Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৩


 The Disorder of Love in the Canon of Avicenna (A.D. 980–1037


Mohammadali M. Shoja; R. Shane Tubbs 

 Abu Ali al-Hussain ibn Abdallah ibn Sina, known as Avicenna in the West, was born in the village of Afshaneh near Bukhara in Old Persia in A.D. 980 (1). His native language was Persian, although he educated himself in Arabic, which was the formal language in the Islamic territories of his time. Avicennabecame versed in the sciences of the time by age 10. He continued to study philosophy and medicine and went to Jurjan, Ray, Hamadan, and Isfahan. Avicenna reviewed all previous medical knowledge and added his own observations to compile the Canon of Medicine (Al-Qanun fi al-Tibb), which led the way for medicine during the medieval age. He died in Hamadan in A.D. 1037. The Canon was written in five books, the third of which dealt with disorders of the nervous system and the psyche (2). We summarize a chapter of the Canon dealing with the so-called disorder of love, which could represent the first mention of an adjustment disorder.
Avicenna wrote the following:
A cachectic patient was brought to me with a plethora of chronic and debilitating diseases and prolonged fever, all of which were related to the love disorder. By reaching his sweetheart, I was amazed at how quickly he became reenergized. So, it became clear to me that human health is obedient to and under the control of mind. (2, p. 136) 
Script of Ibn Sina

Avicenna described the love disorder as an obsessive disorder resembling severe depression in which the patient is overloaded with imaginary figures and obsessive thoughts. Physically, this disease is characterized by poor grooming, sunken and dry eyes, repetitive blinking, and excessive laughing with intermittent crying. Cardiopulmonary changes, such as rapid and paused breathing, perspiration, and an irregular pulse may occur. Inappropriate affect and sleep impairment are commonplace. This disorder may also present itself as depression, mania, and conduct disorders, requiring their specific treatments.
Avicenna stated that the identification of the beloved one is the cornerstone in the management of such patients. As a diagnostic tool, numerous names should be spoken while monitoring the patient’s pulse. A change in the pulse rate and the quality upon naming the appropriate name might indicate the name of the beloved one. The test also should be repeated for different titles, vocations, places, and cities together with the liable name to further locate the suspected person. This name and pulse test is a classic example of a psychosomatic reaction. Avicenna recommended that physicians make the effort to verify a legitimate marriage of the patient and his or her beloved one if the diagnosis is certain. If this is not possible, other options must be undertaken. The patient may be provoked to love someone else so that he or she may forget the initial person. Blaming and scoffing may sometimes work. Discussion with the patient on the obsessive and manic nature of his or her disease is also useful. The patient can be kept busy by means of (artificial) conflict and struggling with others to divert his or her attention. The patient may also benefit from outdoor activities, such as hunting and gaming. The denunciation of the beloved one may be beneficial but may also have a negative impact.
The love theme has always been a critical issue in Persian literature. A medical consultation for this might have been a significant occurrence in medieval Persia so that Avicenna specifically regarded the love disorder as a distinct entity. The description of the love disorder includes features of mood, anxiety, conduct, and obsessive-compulsive disorders. The presence of an identifiable stressor together with the resolution of symptoms upon its termination suggests that such descriptions correspond with an adjustment disorder. Avicenna wisely differentiated severe mood and anxiety disorders, although he noted that the love disorder may mimic them. Now, it is well known that coping with a stressor is essential in managing an adjustment disorder (3). The clarification and interpretation of the stressor, cognitive behavior therapy, and interpersonal psychotherapy are treatment options for an adjustment disorder (3). Similar notions can also be found in the writings of Avicenna. Ultimately, Avicenna contributed much to psychosomatic medicine by his novel descriptions of various psychiatric disorders and their relations with body physics.
1.Naderi S, Acar F, Mertol T, Arda MN: Functional anatomy of the spine by Avicenna in his eleventh century treatise “Al-Qanun fi al-Tibb” (The Canons of Medicine). Neurosurgery 2003; 52:1449–14532.Sharafkandi A: The Canon of Medicine of Ibn Sina, Vol 3 (translated from Persian). Tehran, Iran, Soroush, 1987, pp 135–1373.Strain JJ: Adjustment disorders, in Treatments of Psychiatric Disorders. Edited by Gabbard GO. Washington, DC, American Psychiatric Association Press, 1995, pp 1656–1665

References

From the Department of Anatomy and Neurosurgery, Tabriz University of Medical Sciences, Tabriz, Iran; the Department of Cell Biology, Section of Pediatric Neurosurgery, University of Alabama, Birmingham; and the Children’s Hospital, Birmingham, Ala. Address correspondence and reprint requests to Dr. Shoja, No. 9, Bonbast-e-Jhaleh, Qatran-e-Shomaly Ave., Tabriz 51738, Iran; amohadjel@yahoo.com (e-mail).
Both authors report no competing interests.

 রানা ১৫ দিনের রিমান্ডে : সাভার যুবলীগের কমিটি বাতিল 

 

 সাভারে ধসে পড়া ভবনের মালিক সোহেল রানাকে দুই মামলায় ১৫ দিন, ইথারটেক গার্মেন্টস মালিক আনিসুর রহমানকে ১২ দিন, শাহ আলম মিঠু ও অনিল দাসকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের একতরফা শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিম শেখ এ আদেশ দেন। এ দিকে সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানাকে নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে গতকাল যুবলীগের পৌর ও থানা কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। 
গতকাল দুই মামলায় নতুন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মীর শাহীন শাহ পারভেজ আদালতে হাজির করে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে দুটি মামলায় ২০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। একই সঙ্গে ইথারটেক পোশাক কারখানার মালিক আনিসুর রহমানকে দুই মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিন ও রানাকে ভারত পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে গ্রেফতার শাহ আলম মিঠু ও অনিলকে শুধু দণ্ডবিধির মামলায় ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। গতকাল আদালতে রিমান্ড আবেদন শুনানির আগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভায় আসামি রানার পক্ষে কোনো আইনজীবী তাকে আইনি সহায়তা দিতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। শুনানির সময় আইনজীবীদের এ সিদ্ধান্তের কথা আদালতকে জানানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা জেলা পিপি খোন্দকার আবদুুল মান্নান ও অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, ২৩ এপ্রিল ভবনটির পিলারে ফাটল দেখা দিলেও ২৪ তারিখ সকালে আসামিরা জোর করে চাকরির ভয় দেখিয়ে কারখানায় প্রবেশ করিয়ে গার্মেন্টস কর্মীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে বেঁচে আসা শ্রমিকদের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, রানা প্লাজা ধসের এ ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়; এটি একটি নারকীয় হত্যাকাণ্ড। আসামিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গার্মেন্টস কর্মীদের হত্যার উদ্দেশে চাকরির ভয় দেখিয়ে ভবনে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন।
রানা ও অপর আসামিদের পক্ষে একাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকলেও তারা আসামিদের কারও পক্ষে কোনো ওকালতনামা দাখিল বা জামিনের আবেদন করেননি।
এদিকে আদালতের রিমান্ড আদেশের পর রানাকে আদালত থেকে বের করা হলে উপস্থিত আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ রানার ফাঁসি দাবিতে স্লোগান দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে এ দুটি মামলায় সাভার পৌরসভার প্রকৌশলী এমতেমাম হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী আলম মিয়া, রানা প্লাজার তিনটি পোশাক কারখানার মালিক বজলুস সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান তাপস ও আমিনুল ইসলামকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় রানা ও গার্মেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজ করে সাধারণ, গুরুতর জখম ও মৃত্যু ঘটানোসহ ক্ষতিসাধনের অভিযোগে দণ্ডবিধি আইনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওয়ালী আশরাফ খান একটি ও ইমারত নির্মাণে নির্মাণ কোড অনুসরণ না করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অপর মামলাটি করেন। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার হেলাল উদ্দিন সাভার মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে দণ্ডবিধির মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাপ্রচেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ ধারাটি যুক্ত করা হয়েছে।
ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় শুধু রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ অন্যান্য অভিযোগের অপর মামলার আসামি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এবং তার বাবা আবদুল খালেক, নিউ ওয়েভ বাটন গার্মেন্টসের মালিক আনিসুজ্জামান, স্পানিশের মালিক ডেভিড মেয়র রেকো, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস ও ট্যাকের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম এবং রিমান্ডে যাওয়া নিউ ওয়েভ স্টাইলের মালিক বজলুস সামাদ আদনান।
সাভার থানা ও পৌর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত
সাভার থানা ও পৌর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা দেয়া হয়। সাভারে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা যুবলীগের কেউ নন—এমন দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, এলাকার যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে নিয়ে যখন নানা সমালোচনা চলছে, তাই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
গতকাল যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানার সঙ্গে যুবলীগের সংশ্লিষ্টতার যেসব খবর গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়েছে তা আওয়ামী যুবলীগের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়, সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। কিন্তু আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী যুবলীগের গঠনতন্ত্রে কোনো পর্যায়ের কমিটিতেই সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলে কোনো পদ নেই।’ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সাভার পৌর যুবলীগের যে কমিটি আমাদের কাছে আছে, তাতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদেও সোহেল রানা নামের কেউ নেই। তাই এটা স্পষ্ট যে, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা স্বঘোষিত পদ তৈরি করে যুবলীগের নাম ব্যবহার করে পোস্টার, ব্যানার করেছে তার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য।’

Jihad in theQur'aan and Sunnah 


By SHEIKH ABDULLAH BIN MUHAMMAD BIN HUMAID 

Publisher's Note
After the testimony of Oneness of Allaah swt and the Messengership of Muhammad , with firm
belief and True Faith, one has to perform the acts of worship as ordained by Islaam. Among the
obligatory acts of worship are offering the Salat (prayers), observing theSaum (fasts), paying the
Zakat and performing the Hajj (pilgrimage to Makka). Besides these acts of worship, a Muslim is
directed to abstain from evil deeds and to perform good deeds, so that he may achieve success in the
Hereafter, as well as, in the life of this world.
But, as regards the reward and blessing, there is one deed which is very great in comparison to all the
acts of worship and all the good deeds-and that is Jihad !
Jihad is regarded as the best thing, one can offer voluntarily. It is superior to non-obligatory prayers,
fasting, Zakat, Umra and Hajj as mentioned in the Qur'aan and the Ahadith of the Prophet . The
benefits of Jihad are of great extent and large in scope, while its effects are far-reaching and
wide-spreading as regards Islaam and the Muslims. For an individualMuslim, Jihad includes all acts of
worship and all aspects of belief- thus bringing him greatest reward and vast blessings; and for the
Muslim nation, Jihad provides all kinds of successes in respect of prosperity and dignity, victory and
glory-thus bringing magnificence and splendour.
In this article, Sheikh 'Abdullah bin Muhammad bin Humaid, ex-Chief Justice of Saudi Arabia, has
presented Jihad in the light of Qur'aan and Sunna. Never before such an article was seen, describing
Jihad in its true colours-so heart evoking and encouraging! MayAllaah bless him with all His
Blessings for all times.
Dr. Muhammad Muhsin Khan, the translator of the Noble Qur'aan and the Sahih Al-Bukhari, has
translated this article from Arabic to the English language with all its fervor and feelings. May Allaah
reward him with best of His Rewards.
We are publishing this article and recommend everyMuslim not only to read it himself but to offer
Page 1
every other Muslim brother within his read.
May Allaah shower His Blessings on everyone of us- Ameen !
Abdul Malik Mujahid
General Manager
JIHAD IN THE QUR'AAN AND SUNNAH
Praise be to Allaah swt Who has ordained Al-Jihad (the holy fighting in Allaah's Cause):
1. With the heart (intentions or feelings),
2. With the hand (weapons, etc.),
3. With the tongue (speeches, etc., in the Cause of Allaah)
Allaah has rewarded the one who performs it with lofty dwellings in the Gardens (of Paradise).
I testify that there is none who has the right to be worshipped but Allaah (swt) Alone and He has no
partners (with Him). I (also) testify that Muhammad is His slave and His Messenger, the one sent
by Allaah Law as a mercy for the 'Alameen (mankind and jinns); the one commanded by Allaah (swt)
to fight against Al-Mushrikun[l] (and all those who ascribe partners with Allaah). He fought for
Allaah's Cause with all his power and ability-may Allaah's Peace and Blessings be upon him, upon his
followers and upon his companions who believed in him, and honoured him, helped him and followed
the light (the Qur'aan) and his .As-Sunna (the legal ways, orders, acts of worship, statements, etc.)
which was revealed to him...those who emigrated and fought in the Cause of Allaah with their wealth
and their lives, they were the supreme conquerors and the masters.
[1l Al-Mushrikun (polytheists, pagans, idolaters, and disbelievers in the Oneness of Allaah and in His
Messenger Muhammad
4 It is well known how the Messenger was fighting against Al-Mushrikun (and all those who
ascribe partners with Allaah (swt) since Allaah, the Most Respectful, the All-Majestic sent him and
honoured him with the Messengership till Allaah caused him to die and selected for him what was
with Him (Paradise and all that is good).
The Prophet used to visit the people in their gatherings during season days (Hajj and Umra) and
other days (too). He used to go to their market places, recite the Qur'aan, invite them to Allaah, the
Most Respectful, the All-Majestic. He used to say, "Who will give me a safe shelter, and who will
support me till I convey the Message of my Lord (Allaah) then he will have Paradise." But he would
not find anyone to support him or to give him a safe shelter.
Page 2
He (Prophet Muhammad ) carried on his mission of inviting people to Allaah Ta'ala- (Islaamic
Religion) and persisted in (this) invitation for 13 years inspite of the harm and injuries (which he
suffered), and he used to forgive the ignorant... in order thatAllaah's Proof be established against
them (disbelievers) and that His Promise be fulfilled to them (disbelievers) which He assured them
with His Statement:
And We never punish until We have sent a Messenger (to give warning) (V. 17:15).
The people continued in their transgression, they did not take guidance from the manifest proof. The
Quraish (people) oppressed and harmed all those who followed him (Muhammad ] from his tribe,
put them to trials and afflictions in order to keep them away from their religion (Islaam), even to the
extent that they exiled them from their homeland, some of them fled to Ethiopia, some went to
Al-Madina (Al-Munawwara) and some remained patient ( at Makka ) in spite of the harm they
received; by being imprisoned, made to suffer from hunger and thirst and by being beaten (in a
horrible manner)... so much so that some of them were not able to sit straight from the severity (of the
injuries) of the beatings.
They used to tie a rope around the neck ofBilal (mayAllaah be pleased with him) and give the end of
that rope in the hands of boys to play and drag him through the pathways ofMakka .... And as to
what Yasir's family suffered from the torrnent was beyond what a normal human being can endure.
The Quraish (people) harmedAllaah's Messenger (Muhammad ) (too), they besieged him in
AshShi'b, once 'Uqbah bin Abi Mu'ait tried to strangle him and he kept on squeezing the Prophet's
clothes round his neck till the eyes of the Prophet bulged out, and Abu-Bakr rushed at 'Uqbah and
released the Prophet from him and said, "Would you kill a man because he says: My Lord is
Allaah Ta'ala?"
Abu Jahl also tried to kill the Messenger while the latter was in prostration praying in the
Al-Masjid-al-Haram, he carried a huge stone to throw it on the Prophet's head. But when he (Abu
Jahl) tried to throw it he turned on his heels full of fear and fright saying:"I am being prevented (going
near) from Muhammad by a huge stallion camel intending to swallow me."
And when Allaah, The Most Exalted, wanted to reveal His religion (Islaam) and to fulfill His Promise
and to make victorious His Prophet Allaah, the Most High ordered him to emigrate to Al-Madina.
So he stayed there and Allaah supported him with His Victory and with His slaves, the faithful
believers-the Islaamic army unit composed of different sorts of people (black, white, and red). They
strove hard for him with all their efforts, and preferred his love to the love of (their) fathers, offspring
and wives.
Muhammad, upon him be peace, was closer to them (believers) than their own selves. The (pagan)
Arabs and Jews had formed a united front against them (Muhammad and his followers) and had
put up all their efforts of enmity, standing and fighting against them... and (in fact) they shouted
against them from every corner. Then, at that time Allaah permitted them (Muhammad and his
Page 3
followers) the (Jihad) fighting but He did not make it obligatory. He said:
Permission to fight is given to those (i.e. believers against disbelievers) who are fighting them (and)
because they (believers) have been wronged, and surely Allaah is Able to give them (believers) victory.
Those who have been expelled from their homes unjustly only because they said:"Our Lord is Allaah."
(V.22:39,40).
The above Verses clearly state that He (Allaah) is Able to give victory to His worshippers (the
believers) without fighting, but Allaah wants from His worshippers obedience with all their efforts.
As in His Statement:
So when you meet (in fight... Jihad in Allaah's Cause) those who disbelieve smite at their necks till
when you have killed and wounded many of them, then bind a bond firmly (on them, i.e. take them as
captives). Thereafter (is the time) either for generosity (i.e. free them without ransom) or ransom
(according to whatbenefits Islaam), until the war lays down its burden. Thus [you are ordered by
Allaah to continue in carrying out Jihad againstthe disbelievers till they embrace Islaam (i.e. are saved
from the punishment in the Hellfire) orat leastcome under your protection] but if it had beenAllaah's
Will, He Himself could certainly have punished them (without you). But (He lets you fight) in orderto
test you, some with others. But those who are killed in the Way of Allaah, He will never let their
deeds be lost.
He will guide them and set right their state.
And admit them to Paradise which He has made known to them (i.e. they will know their places in
Paradise more than they used to know their houses in this world). (V.47:4, 5,6).
Then after that He made (Jihad) "fighting" obligatory against all those who fight you (Muslims); not
against those who didn't fight you. So Allaah ordered:
And fight in the way of Allaah those who fight you... (V.2:I9O).

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৩


 নক্ষত্র তৈরির কারখানা আবিষ্কৃত!  


জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি পৃথিবী থেকে ১২.৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এমন এক বিশাল গ্যালাক্সির সন্ধান পেয়েছেন, যেটি বছরে প্রায় তিন হাজার সূর্য বা নক্ষত্রের জন্ম দেয়। বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ের চেয়ে দু’হাজার গুণ বেশি উৎপাদনক্ষম নক্ষত্র তৈরির  এই কারখানার নাম দিয়েছে HFLS3।
এই গ্যালাক্সি প্রমাণ করেছে, বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৮৮০ মিলিয়ন বছর পরই প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে নক্ষত্র গঠিত হয়েছে। বর্তমানে মহাবিশ্বের বয়স ১৩.৭ বিলিয়ন বছর। কর্নেল ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিদ ডমিনিক রিশের জানান, এটিই তাদের এযাবৎকালের দূরতম গ্যালাক্সির বিশদ সন্ধান লাভ।
সূর্য বা নক্ষত্রের জন্ম হয় গ্যালাক্সিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস সমৃদ্ধ ধুলোমেঘ থেকে। মহাজাগতিক ধূলি ও গ্যাসের সংমিশ্রণের ফলে প্রবল সংঘর্ষ ঘটে এবং নিজেদের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মেঘ সংকুচিত হতে থাকে। মেঘের আকার যত বেশি হয় মহাকর্ষ বলের পরিমাণও ততো বেশি হয়। বলের প্রভাবে মেঘ সংকুচিত হতে থাকে। এর ফলে কেন্দ্রের বস্তুগুলো উত্তপ্ত হতে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় মেঘ প্রথমে প্রোপোস্টার এবং পরে নক্ষত্রে পরিণত হয়। মেঘ যখন প্রোটোস্টারে পরিণত হয়, তখন তা আরও ধূলি ও গ্যাস জড়ো করতে থাকে। পরবর্তীতে এগুলো ছড়িয়ে পরে এবং পর্যায়ক্রমে গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু, উল্কায় পরিণত হয়।
এইচএফএলএস৩-এর আবিষ্কারক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, বর্তমানের এ গ্যালাক্সিটি বিপুল পরিমাণ গ্যাসের আধার, যা থেকে বছরে তিন হাজার করে সূর্য তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেন, গ্যালাক্সিটিতে সূর্যের ভরের মতো প্রায় ৪০ বিলিয়ন গুণ বেশি ভর এবং গ্যাস ও ধূলি রয়েছে সূর্যের ভরের ১০০ বিলিয়ন গুণ বেশি।

 মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার নির্ণয়ে ব্ল্যাক হোল 

ইজরাইলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ‘হাগাই নেটজার’ ব্ল্যাক হোল ব্যবহার করে কয়েক বিলিয়ন আলোক বর্ষ পর্যন্ত দূরত্ব নিখুঁত ভাবে পরিমাপের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। দূরত্ব পরিমাপের এই প্রক্রিয়া বিজ্ঞানীদের নিকট পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় ভাল করে মহাবিশ্বের সুদূর অতীতের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণে সহায়ক হবে। কারন মহাবিশ্বের দূরের অংশ পর্যবেক্ষণ করা মানে মহাবিশ্বের সুদূর অতীতকে দেখা। মহাবিশ্বের শুরুর পর্যায়ে প্রসারনের হার কেমন ছিল সেটা জানা এখন অনেকটা সহজ হবে।
কয়েক বছর আগে গবেষকেরা দেখতে পান যে বর্তমানে মহাবিশ্ব আমাদের ধারণার চেয়ে উচ্চ হারে প্রসারিত হচ্ছে। এই আবিষ্কারের জন্য ২০১১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ প্রদান করা হয়। কিন্তু অধিক দূরত্বে ত্বরণের এই হার নির্ধারন করাটা ছিল বড় রকমের একটি সমস্যা।
হাই এনার্জি ফিজিক্স ইনস্টিটিউট, চাইনিজ একাডেমী অব সায়েন্স এর গবেষক জিয়ান-মিন ওয়াং, পুডু ও চেন হু এবং অবজারভেটরি ডি প্যারিসের গবেষক ড. ডেভিড ভ্যালস্ গ্যাবোড এর সহযোগে অধ্যাপক নেটজার নতুন এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যার দ্বারা মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত পূর্বের সমস্যা গুলি দূর করা যায়।
এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট এক প্রকার ব্ল্যাক হোল ব্যবহার করা হয় যা বহু ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থান করে।
ফিজিকাল রিভিউ লেটারস্ জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে অধ্যাপক নেটজার বিষয়টাকে এভাবে ব্যখ্যা করেন- ‘‘এই পদ্ধতিতে ব্ল্যাক হোলের চারপাশের বস্তু সমূহ শোষিত হবার আগে যে বিকিরন নির্গত করে তা পরিমাপ করা হয়। ব্ল্যাক হোলের দ্বারা কোন বস্তু আকৃষ্ট হলে উত্তপ্ত হয় এবং বিপুল পরিমান বিকিরণ নির্গত করে যা একশ বিলিয়ন নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি ছায়াপথের উৎপন্ন শক্তির তুলনায় এক হাজার গুন বেশি। সেজন্য এটা অনেক দূর থেকে দেখা যায়’’।

নক্ষত্র তৈরির কারখানা আবিষ্কৃত!

নক্ষত্র তৈরির কারখানা আবিষ্কৃত!

আবারও আলোচনায় আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব 

 

সাধারণ আপেক্ষিকতা বা আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (General Theory of Relativity) বলতে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মহাকার্ষের জ্যামিতিক তত্ত্বকে বোঝায়। এটি বিশেষ আপেক্ষিকতা এবং নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বকে একীভূত করার মাধ্যমে সৃষ্টি। আবারও আলোচনায় ১৯১৫ সালে প্রকাশিত আইনস্টাইনের সেই আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব।
einবিজ্ঞানীরা মনে করেন, কিছু কিছু চরম অবস্থায় বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব ঠিক মতো কাজ করে না। উদাহরণসরূপ, আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব, কোয়ান্টাম তত্ত্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিজ্ঞানীরা মাধ্যাকর্ষণ বর্ণনা করার জন্য এমন তাত্ত্বিক কিছুর খোঁজ করছেন যেটি এ অসম্পূর্ণতা পূরণ করবে।
সদ্য আবিষ্কৃত একটি পালসার অর্থাৎ সূর্যের ভরের প্রায় দিগুণ ভর সম্পন্ন একটি নিউট্রন নক্ষত্র এবং তার সাদা বামন সহচর যেগুলো একে অপরকে প্রতি আড়াই ঘন্টায় প্রদক্ষিণ করে,  মাধ্যাকর্ষন তত্ত্বের একটি বাস্তব প্রমাণ প্রদর্শন করেছে। PSR J0348+0432 নামক ব্যবস্থাটির মধ্যে প্রাপ্ত ফলাফল সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ ধরনের একটি ব্যবস্থায় কক্ষপথের ক্ষয় এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নির্গত হওয়ার মাধ্যমে শক্তি বের হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোন পালসারের রেডিও পালস খুব সঠিকভাবে পরিমাপ করার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কক্ষপথের ক্ষয়ের হার এবং মহাকর্ষীয় বিকিরণ নির্গত হওয়ার মান নির্ণয় করতে পারেন।
PSR J0348+0432 ব্যবস্থাটির মধ্যের বড় নক্ষত্রটির ভর, তার সঙ্গী নক্ষত্রটির নৈকট্য এবং তার সাথে নিবিড়তা অন্যান্য নিউট্রন তারাদের মতো নয়। সব কিছু মিলে এ ব্যবস্থাটি মাধ্যাকর্ষণের বিকল্প তত্ত্বের জন্য এক অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি করেছে।
এ অভূতপূর্ব ব্যবস্থা দেখার পর বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, সাধারণ আপেক্ষিকতার সমীকরণ, নির্গত মহাকর্ষীয় বিকিরণের পরিমাণ ঠিকভাবে নাও দিতে পারে। যার ফলে কক্ষপথ ক্ষয়ের হার পরিবর্তীত হয়। বিজ্ঞানীরা  মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্বের সাথে তুলনা করে মনে করেন, মাধ্যাকর্ষণ নিয়ে এ সিস্টেমে আরও বেশি সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
জার্মানীতে অবস্থিত ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনিস্টিটিউটের রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি বিভাগের পওলো ফ্রেইরে বলেন, “ আমরা ভেবেছিলাম, এ ব্যবস্থাটি সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে হিলিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু সেটা না হয়ে এখানে আইনস্টাইনের ভবিষ্যৎবানী বেশ ভালোভাবেই প্রতিয়মান হয়েছে”।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উন্নত যন্ত্রপাতির সাথে তারা প্রথমবারের মতো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সরাসরি সণাক্তকরার আশা করছেন। গবেষকরা এসব উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় অধিক ঘনত্বের নিউট্রন নক্ষত্রের কিংবা ব্ল্যাকহোলের ভিতরের সহিংস দুর্ঘটনার ফলে নির্গত মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নির্গত হওয়ার পরিমাণ নির্ণয়ের আশা করছেন।
সবথেকে উন্নত যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। গবেষকরা মনে করেন, এ ধরণের তরঙ্গ সনাক্ত করার জন্য তাদের সে তরঙ্গটির বৈশিষ্ট্য জানাটা জরুরী।

পূর্বের থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রী বেশি 

www.sciencetech24.com
xlargeবিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপমাত্রা হিসেবে ৬০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস নির্ধারণ করেছেন, যা  প্রায় ২০ বছর আগের নির্ধারিত তাপমাত্রার থেকে ১০০০ ডিগ্রী বেশি। এ পরিমাপটি জিওফিজিকাল মডেলও নিশ্চিত করে  অর্থাৎ পৃথিবীর কেন চৌম্বক ক্ষেত্র আছে এটি বর্ণনা করার জন্য পৃথিবীর কোর ও মজ্জার উপরের তাপমাত্রার পার্থক্য অবশ্যই কমপক্ষে ১৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হবে। এছাড়াও ২০ বছর আগের পরীক্ষাটিতে কেন বর্তমানের থেকে কম তাপমাত্রা পাওয়া গিয়েছিলো সেটিরও ব্যাখ্যা পেয়েছেন।
পৃথিবীর কোর সাধারণত তরল লৌহের একটি গোলক যেখানকার তাপমাত্রা ৪০০০ ডিগ্রীরও বেশি এবং চাপ প্রায় ১.৩ মিলিয়ন বায়ুচাপেরও বেশি। এমতাবস্থায় তরল লৌহের অবস্থা সাগরের তরল পানির মতোই। এ অবস্থাটি পৃথিবীর কেন্দ্রের সেই জায়টিতে বিরাজ করে যেখানে  তাপমাত্রা ও চাপ বাড়তেই থাকে।  পৃথিবীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সিসমিক তরঙ্গ আলোড়িত ভূমিকম্পের বিশ্লেষণ পৃথিবীর কঠিন ও তরল কোরের পুরুত্বের ধারণা দেয়, এমনকি পৃথিবীর গভীরে কিভাবে চাপ বৃদ্ধি পায় সেটিও।
ghhযদিও এ তরঙ্গগুলো তাপমাত্রা নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারে না, তারপরেও তরল কোর ও কঠিন মজ্জার উপরের উপাদানগুলোর চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। প্রকৃতপক্ষে মজ্জা ও কোরের তাপমাত্রার পার্থক্যের আসল চালিকা পৃথিবীর নিজের তাপিয় গতিবিধি। অর্থাৎ পৃথিবীর আবর্তন যেটি ডাইনামো উৎপাদিত পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মতো আচরণ করে। এছাড়াও পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপমাত্রা জিওফিজিকাল মডেলকেও সমর্থন করে অর্থাৎ হাওয়াই দ্বিপপুঞ্জ কিংবা লা রিউনিয়নের মতো জায়াগুলোতে আগ্নেওগিরির তীব্র কার্যকলাপের ব্যাখা দেয়।
প্রথমদিকে  বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, লৌহের গলনাঙ্ক ৪৮০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং চাপ ২.২ মিলিয়ন বায়ু চাপ। কিন্তু পরবর্তীতে বহির্পাতন পদ্ধতীতে  তারা জানতে পারেন, ৩.৩ মিলিয়ন বায়ুচাপে পৃথিবীর তরল ও কঠিন কোরের মধ্যবর্তী লৌহের গলনাঙ্ক হবে ৬০০০ +/-ডিগ্রী সেলসিয়াস।  লৌহক্ষয় কিংবা ধারণাকৃত ফলাফল ও পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ফেজ পরিবর্তনের ফলে বহির্পাতন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফল কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে
গবেষণার ফলফল গত ২৬ তারিখে ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

ধ্বংস স্তূপে আর্তনাদ 

 

 

‰`wbK bqvw`MšÍ : 26/04/2013
ïµevi, 26 GwcÖj 2013 : mvfv‡ii NUbvq RvwZ †kv‡K gyn¨gvb| GZ¸‡jv †jvK‡K †W‡K wb‡q †hb nZ¨v Kiv n‡jv Ae¯’vq g‡b n‡”Q| G †hb jv‡ki wgwQj| †h w`‡K †PvL hvq ïay jvk Avi jvk| `ywe©ln GB jv‡ki †evSv eB‡e †K Ggb cÖkœB gvby‡li gy‡L gy‡L| me©‡kl MZ ivZ 1Uv ch©š— jv‡ki msL¨v `uvwo‡q‡Q 260-G| Zv‡`i g‡a¨ 182wU jvk ¯^Rb‡`i Kv‡Q n¯—vš—i Kiv n‡q‡Q| cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvb, a‡m hvIqv fe‡bi †fZ‡i Qwo‡q wQwU‡q c‡o Av‡Q Av‡iv AmsL¨ jvk| GL‡bv †`o nvRv‡ii g‡Zv gvbyl IB fe‡bi wb‡P Pvcv c‡o Av‡Qb e‡j ¯’vbxq m~Î I cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvb| wKQy wKQy jvk Sy‡j Av‡Q i‡Wi mv‡_| cÖZ¨¶`k©xiv e‡j‡Qb, †m GK wefxwlKvgq Ae¯’v| †h †KD †`L‡j wkD‡i DV‡eb| wewfbœ nvmcvZv‡j fwZ© Av‡Qb nvRvi Lv‡bK gvbyl| Zv‡`i Kv‡iv cv †bB, Kv‡iv nvZ †bB, Avevi Kv‡iv kixi †_uZ‡j †M‡Q a‡m hvIqv fe‡bi LwÊZ As‡ki Pv‡c| wPwKrmvaxb Gme Amnvq gvbyl g„Zy¨ hš¿Yvq KvZiv‡”Qb| Zv‡`i MMYwe`vix wPrKv‡i fvix n‡q D‡V‡Q nvmcvZv‡ji cwi‡ek| G w`‡K ¯^Rb‡`i Kvbœv †hb †kl n‡”Q bv| MZKvj e…n¯úwZevi NUbv¯’‡j ¯^Rb‡`i wfo †e‡o‡Q| wb‡LuvR ¯^Rb‡`i †Luv‡R cÖZ¨š— AÂj †_‡K G‡m‡Qb Zviv| G w`‡K NUbvi e¨vcv‡i eyaevi iv‡Z mvfvi _vbvq `yÕwU gvgjv n‡q‡Q| GB gvgjvq feb gvwjK ivbv, Zvi evev Ave`yj Lv‡jK I wZbRb Mv‡g©›U gvwjK Avmvwg n‡q‡Qb| G w`‡K D×viKv‡R axiMwZi Kvi‡Y mvaviY gvbyl Ges ¯^Rb‡`i g‡a¨ †¶v‡fi m…wó n‡q‡Q| G w`‡K †h cvlÊ †jvK‡`i Kvi‡Y GB gg©vwš—K NUbv N‡U‡Q Zv‡`i MZKvj ch©š— AvB‡bi AvIZvq Avb‡Z cv‡iwb cÖkvmb| ¯’vbxq m~Î e‡j‡Q, Zv‡`i aviYv hyejxM †bZv †mv‡nj ivbv cÖkvm‡bi AvkÖ‡qB AvZ¥‡Mvcb K‡i Av‡Qb| ivbvi Av‡iv GKwU feb ivbv UvIqv‡i MZKvj dvUj †`Lv w`‡q‡Q| MZKvj mKv‡j IB dvUj †`L‡Z †c‡q cÖkvmb cy‡iv febwU Lvwj K‡i †d‡j‡Q|
`yÕwU gvgjv `v‡qi : feb a‡mi NUbvq mvfvi _vbvq MZ eyaevi iv‡Z `yÕwU gvgjv n‡q‡Q| GKwU gvgjv `v‡qi K‡i‡Qb ivRD‡Ki A_ivBR Awdmvi †njvj DwÏb Avn‡g`| BgviZ AvB‡bi 12 aviv j•N‡bi Awf‡hv‡M wZwb GB gvgjvwU K‡ib| mvfvi _vbvq gvgjvi b¤^i 53| GB gvgjvq hyejxM †bZv I feb gvwjK †mv‡nj ivbv‡K GKgvÎ Avmvwg Kiv n‡q‡Q| Aci gvgjvwU K‡i‡Qb mvfvi _vbvi GmAvB Iqvwj Avkivd Lvb| GwU nZ¨v gvgjv| GB gvgjvq Avmvwg Kiv n‡q‡Q feb gvwjK ivbv Ges PviwU Mv‡g©›U gvwjKmn cuvPRb‡K| GB gvgjvq D‡jøL Kiv n‡q‡Q kÖwgK‡`i IBw`b fe‡b D‡V Kv‡R †hvM w`‡Z eva¨ Kiv n‡q‡Q| GB nZ¨vi †cQ‡b feb gvwjK I Mv‡g©›U gvwj‡Kiv RwoZ|
ivbv I Mv‡g©›U gvwj‡Kiv cjvZK : NUbvi ci ivbv wb‡RI IB fe‡bi †fZ‡i AvUKv c‡owQ‡jb| eyaevi `ycyi 12Uvi w`‡K Zv‡K D×vi Kiv nq| ¯’vbxq m~Î I cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvb, cywjk ivbv‡K GKwU mv`v Kvc‡o gywo‡q NUbv¯’j Z¨vM Ki‡Z mnvqZv K‡i| mvfvi _vbvi Iwm wb‡RB ivbv‡K IB GjvKv †_‡K cvjv‡Z mnvqZv K‡i‡Qb e‡j Rvbv hvq| Gici †_‡KB ivbv jvcvËv| MZKvj Zvi evmvq wM‡q †`Lv hvq evmviI Zvjv eÜ| cÖwZ‡ekxiv Rvwb‡q‡Qb, NUbvi ciciB evmvi †jvKRb me cvwj‡q‡Q| MZKvj wM‡q †`Lv hvq, Zvi evwoi fvov‡UivI mevB P‡j hv‡”Q| ¯’vbxq m~Î Rvbvq, cywjk Aek¨B Rv‡b ivbv †Kv_vq Av‡Q| GgbI n‡Z cv‡i cywjk cvnviv‡ZB wZwb †Kv_vI AvZ¥‡Mvcb K‡i wPwKrmv wb‡”Qb|
D×vi n‡”Q RxweZ gvbyl : GL‡bv D×vi n‡”Q RxweZ gvbyl| aŸsm¯—~‡ci †fZi †_‡K MZKvjI †ek K‡qKRb‡K A¶Z Ae¯’vq D×vi Kiv nq| jv‡ki †fZi †_‡K Gfv‡e †Kv‡bv gvbyl RxweZ D×vi n‡jB gvbyl Avb‡›` †g‡Z DV‡Q| G †hb kZ K‡ói gv‡SI GKUy Avb›` †LuvRvi †Póv| MZKvj †ejv †mvqv 1Uvq aŸsm¯—~c †_‡K †ei K‡i wb‡q Avmv nq gvgyb bv‡g GK kÖwgK‡K| †Pv‡L gy‡L Zvi Rxeb wd‡i cvIqvi Avb›`| Z‡e wbe©vK| cÖ_‡g †Kv‡bv K_vB e‡jbwb| LvwbK ciB nvDgvD K‡i †Ku‡` DV‡jb| mvg‡bi GKRb‡K Rwo‡q a‡i A‡Sv‡i Kuv`‡jb wKQyY|
ZviciB ej‡jb gvgyb, Ô‡eu‡P Avme GgbUv wek¦vmB Ki‡Z cvwiwb| Avwg †Zv GKUv bZyb Rxeb cvBwQ| Avjøvni nvRvi ïKwiqv|Õ Gfv‡e MZKvj Av‡iv †ek K‡qKRb‡K RxweZ Ae¯’vq D×vi Kiv nq| Zv‡`i nvmcvZv‡j fwZ© Kiv n‡q‡Q|
G‡Mv‡”Q bv D×viKvR : 32 NÈv ciI D×viKg©xiv a‡m hvIqv fe‡bi †fZ‡i cÖ‡ek Ki‡Z cv‡iwb| Avkcvk †_‡K wKQy BU-myiwK mwi‡q †fZ‡i AvU‡K _vKv nZvnZ‡`i †ei Ki‡Qb ïay| cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvb, D×viKvR Pj‡Q wX‡gZv‡j| †mbvevwnbx, dvqvi mvwf©m I wmwfj wW‡dÝ, ¯‹vDUmn wewfbœ ms¯’vi m`m¨iv D×viKvR Pvwj‡q hv‡”Qb| cywjk I i¨ve m`m¨iv Zv‡`i mnvqZv K‡i hv‡”Qb| eyaevi ivZ 10Uvi w`‡K †h cwigvY D×viKvR m¤úbœ nq, MZKvj mKvj 10Uvi w`‡K wM‡qI †mB GKB Ae¯’v †`L‡Z cvb cÖZ¨¶`k©xiv| D×viKg©x‡`i †KD †KD e‡j‡Qb, GK GKwU eo wcjvi miv‡Z †h miÄvg jvM‡e Zvi Afve i‡q‡Q| MZKvj †ejv 11Uvi w`‡K GbvwR© c¨vK BwÄwbqvm© wjwg‡UW bv‡g GKwU cÖwZôvb †_‡K GKwU †µbmn †ekwKQy miÄvg wb‡q D×viKv‡R †hvM †`qvi c‡i †mLv‡b GKUy MwZ Av‡m e‡j cÖZ¨¶`k©xiv Rvbvb|
aŸsm¯—~‡c GL‡bv AmsL¨ gvbyl : aŸsm¯—~‡c GL‡bv AvU‡K Av‡Qb AmsL¨ gvbyl| Z‡e Gi msL¨v KZ Zv ejv gykwKj| D×viKg©x‡`i hviv †fZ‡i cÖ‡ek K‡i‡Qb Zv‡`i †KD †KD e‡j‡Qb, GL‡bv †`o nvRv‡ii g‡Zv gvbyl AvU‡K i‡q‡Qb| Zv‡`i g‡a¨ †KD †KD †h †eu‡P Av‡Qb Zv MZKvjI Zviv Rvbvb w`‡q‡Qb| hLbB †jvKR‡bi Aw¯—Z¡ †Ui †c‡q‡Qb ZLbB Zviv AvKywZ Rvbv‡”Qb euvPv‡bvi| Av‡jv Pv‡”Qb, cvwb Pv‡”Qb, evZvm Pv‡”Qb| Z‡e †ewki fvMB Av‡Qb jvk n‡q| hviv †eu‡P Av‡Qb Zviv KZ¶Y wU‡K _vK‡eb Zv wb‡q m‡›`n mskq †`qv w`‡q‡Q| beg c`vwZK wWwfk‡bi wRIwm †gRi †Rbv‡ij †nv‡mb knx` †mvnivIqv`©x e‡j‡Qb, Zviv mvaviYZ 72 NÈv ch©š— †eu‡P _vK‡Z cv‡ib|
¯’vbxq‡`i AvcÖvY †Póv : ïi“ †_‡KB D×viKv‡R Ask wb‡q‡Qb ¯’vbxq evwm›`viv| Zviv GL‡bv AvcÖvY †Póv K‡i hv‡”Qb AvU‡K cov gvbyl‡`i D×vi Ki‡Z| MZKvjI Zv‡`i‡KB mwµq †`Lv †M‡Q miKvwi evwnbxi †P‡q †ewk| m~Î Rvbvq, miKvwi evwnbxi m`m¨iv †h ¯’v‡b XyK‡Z Abxnv cÖKvk Ki‡Q †mme ¯’v‡b cÖ‡ek K‡i D×viKvR Ki‡Qb ¯’vbxq evwm›`viv| Gi g‡a¨ A‡bK wkï-wK‡kviI i‡q‡Q| G e¨vcv‡i kvnRvnvb bv‡g GK D×viKg©x e‡jb, miKvwi evwnbx †hfv‡e KvR Ki‡Q Zv‡Z nZvnZ‡`i D×v‡ii Avkv ¶xY n‡q co‡Q|
`~‡i ivLv n‡”Q jvk : wb‡LuvR gvbyl¸‡jvi ¯^Rbiv c‡o‡Qb wecv‡K| D×viK…Z jvk¸‡jv ivLv n‡”Q NUbv¯’‡ji cÖvq wZb wK‡jvwgUvi `~‡i Aai P›`Ö ¯‹yjgv‡V| MZKvj ¯^Rb‡`i †`Lv hvq Zviv †`Š‡o wdi‡Qb NUbv¯’j ivbv cøvRv †_‡K Aai P›`Ö ¯‹yjgv‡V| GKevi ¯‹yjgv‡V hv‡”Qb, Avevi wd‡i Avm‡Qb NUbv¯’‡j| wZb wK‡jvwgUvi Avm‡Z †h‡Z Zviv Kvš— n‡q co‡Qb|
MÜ Qwo‡q co‡Q : MZKvj †h jvk¸‡jv D×vi Kiv n‡q‡Q Zvi g‡a¨ wKQy dy‡j †M‡Q| we‡K‡ji w`‡K NUbv¯’‡j jv‡ki cPv MÜ cvIqv †M‡Q| D×viKg©xiv e‡j‡Qb, AvU‡K cov jvk¸‡jv cÖPÊ Mi‡g Aí‡ZB c‡P †h‡Z cv‡i|
i‡³i Rb¨ AvKywZ : MZKvj K‡qKwU nvmcvZvj I wKwb‡K wM‡q †`Lv hvq i‡³i Rb¨ AvKywZ Ki‡Qb AvnZ‡`i ¯^Rb GgbwK, nvmcvZvj KZ©…c¶I| nvmcvZvj m~Î Rvbvq, Zviv c‡RwUf i‡³i †RvMvb †c‡jI †b‡MwUf i³ cvIqv hv‡”Q bv| d‡j A‡bK cÖ‡qvRbxq Acv‡ikb GB gyn~‡Z© Kiv m¤¢e n‡”Q bv|
ivbvi duvwm `vwe : feb gvwjK hyejxM †bZv †mv‡nj ivbvi duvwm `vwe D‡V‡Q wewfbœ gnj †_‡K| MZKvj Zvi duvwmi `vwe‡Z wewfbœ ¯’v‡b wgwQj n‡q‡Q| Avãyjøvncy‡i ivbvi duvwmi `vwe‡Z wgwQj bvg‡j cywjk †mB wgwQ‡j nvgjv Pvjvq|
cuvP m`‡m¨i Z`š— KwgwU : mvfv‡ii ivbv cøvRv a‡mi NUbv Z`‡š— ¯^ivóª gš¿Yvj‡qi AwZwi³ mwPe gvCb DwÏb L›`Kvi‡K Avn&evqK K‡i cuvP m`‡m¨i GKwU KwgwU MVb Kiv n‡q‡Q| KwgwU‡K AvMvgx mvZ Kvh© w`e‡mi g‡a¨ Z`š— cÖwZ‡e`b `vwLj Kivi wb‡`©k †`qv n‡q‡Q|
AvwgbevRvi †_‡K bexbMi iv¯—v eÜ : NUbvi ci †_‡KB eÜ K‡i †`qv n‡q‡Q AvwgbevRvi weÖR †_‡K bexbMi ch©š— iv¯—v| IB iv¯—vq PjvPjKvix hvbevnb‡K weKí c‡_ hvIqvi wb‡`©k †`qv n‡q‡Q| G w`‡K MZKvjI nvRvi nvRvi gvbyl Qy‡U hvb mvfv‡ii NUbv¯’‡j| Zv‡`i `xN©c_ †nu‡U NUbv¯’‡j †h‡Z n‡”Q|
AvU‡K cov‡`i g‡a¨ miKvi`jxq †jvKRbI i‡q‡Q : a‡m cov fe‡bi g‡a¨ hviv AvU‡K c‡o‡Qb Zv‡`i g‡a¨ miKvi mg_©KI †ek wKQy i‡q‡Qb| Zv‡`i g‡a¨ A‡b‡K D×vi n‡q‡Qb| GL‡bv A‡b‡K AvUKv Av‡Qb e‡j Rvbv hvq| NUbvi mgq IB fe‡bi mvg‡bB hyejx‡Mi niZvjwe‡ivax mgv‡ek PjwQj| ZLb IB fe‡bi g‡a¨I A‡b‡K Ae¯’vb wb‡qwQj| ZvivB Mv‡g©›UKg©x‡`i †Rvi K‡i KviLvbvq DV‡Z eva¨ K‡i‡Qb e‡j Awf‡hvM cvIqv †M‡Q| febwU hLb weKU k‡ã a‡m c‡o ZL‡bv A‡b‡K †`Š‡o wM‡q IB fe‡bi wb‡P AvkÖq †bb| Zv‡`iI A‡b‡K nZvnZ n‡q‡Qb e‡j Rvbv hvq|

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩


হেফাজতের ১৩ দফা এবং মধ্যযুগ বিতর্ক

হেফাজতের ১৩ দফা এবং মধ্যযুগ বিতর্ক
ফরিদা আখতার
www.poriborton.com
হেফাজতে ইসলাম এপ্রিলের ৬ তারিখে ঢাকা শহরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে প্রশাসনের সঙ্গে ওয়াদা অনুযায়ী ঠিক ঠিক পাঁচটার সময় শেষ করে ফিরে গেছেন। ঢাকা শহরের মানুষ শাপলা চত্বরে এতো আলেম ওলামাদের একসাথে কখনো দেখে নি, তারা বিস্মিত। কত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন তা নিয়ে সঠিকভাবে কোন পরিসংখ্যান না পাওয়া গেলেও সংখ্যাটা তাক লাগিয়ে দেয়ার মতোই ছিল। হেফাজতের এই লং মার্চ যেন না হতে পারে তার জন্য সরকার নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল; ঢাকাগামী সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করার পরও এতো মানুষ কি করে ঢাকায় এলো তা বিস্ময়ের ব্যাপার বটে।

হেফাজতের এই কর্মসুচী শেষ হয়েছে, তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরেও গেছেন, কিন্তু শেষ হয় নি তাঁদের নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা। তবে টেলিভিশনের টকশোগুলোর ধরণ পালটে গেছে। প্রায় প্রতিটি চ্যানেলে একজন হেফাজতের মুফতি আসছেন তাঁদের ১৩ দফা দাবীর ব্যাখ্যা দিতে, কিংবা একই মুফতিকে এক চ্যানেল থেকে অন্য চ্যানেলে দৌঁড়াতে হচ্ছে অতিথি হয়ে।

হেফাজতের ১৩ দফা বোঝা এবং বোঝানোর দরকার আছে। সেই দিক থেকে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে গণমাধ্যমে মুফতিদের এই উপস্থিতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।চ্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে তাঁদের ডাকা হচ্ছে শুধু ১৩ দফা বোঝার বা বোঝানোর জন্য ভাবলে ভুল হবে। বরং অধিকাংশ সময় ডাকা হচ্ছে তাঁদের একটু হেনস্থা বা বেকায়দায় ফেলার জন্যে। তাঁরা যে চিন্তা-চেতনায় সমাজের পশ্চাৎপদ মানুষ এটা যে কোনোভাবে প্রমাণ করা অনেক গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন আলেমকে ঘায়েল করার জন্য থাকছেন তিন চারজন বুদ্ধিজীবী, নারী নেত্রী এবং রাজনীতিবিদ। দর্শকরা উপভোগ করছেন এই আলোচনা।টক শো যেন একটি খেলা। শো-এর পর দর্শকরা কে জিতলো, কে হারলো, এই তর্কে মাতে। নিজ নিজ অবস্থান অনুযায়ী খুশী বা অখুশী  হয় অনেকে।

১৩ দফা দাবী না মানলে কঠোর কর্মসুচীর ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম। ১৩দফার দুটো দফাতেই নারীদের কথা আছে। হেফাজত নারীদের মধ্যযুগে ঠেলে দিচ্ছে বলে হায় হায় শুরু হয়ে গেছে অনেকের মধ্যে, বিশেষ করে যাঁরা নিজেদের ‘প্রগতিশীল’ মনে করেন, তাঁরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।

এর মধ্যে সাধারণ মানুষ একটু বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটলো যখন একদিকে বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আন্দোলন চলছে, তাদের নেতা কর্মীরা জেলে; অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন গরম হয়ে আছে। একই সময় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ নতুন মাত্রা যোগ করে দেশকে একেবারে তরমুজের মতো করে দুইভাগ করে ফেলেছে। কতিপয় ব্লগারের মহানবী (সঃ)কে নিয়ে ভয়াবহ কটুক্তি করেছে। তাদের এই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম সক্রিয় হয়ে ওঠে। যে কেউ নাস্তিক হতে পারে কিন্তু অন্যের বিশ্বাস, ধর্ম বা তাদের ধর্মের প্রিয় মানুষদের বিরুদ্ধে কুৎসিত ও কদর্যভাবে লেখালেখি করতে পারে না।

আমি যতদুর জানি, হেফাজতে ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর বিপক্ষে। তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইছে, কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চকেও তারা গ্রহণ করতে পারছেন না। হেফাজতে ইসলাম ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের, বিশেষ করে যারা ধর্মের ও রাসুলেরও অবমাননা করেছে, তাদের শাস্তির দাবী নিয়ে এসেছে। শাহবাগ শুরু হয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে। কিন্তু এই একটি দাবীর পর এখন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা,এরপর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করা,শেষে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করাসহ শাহবাগের ছয় দফা নানাদিকে বিস্তারিত হয়েছে। হেফাজতে ইসলামও ব্লগারদের শাস্তির দাবী থেকে এখন নিয়ে এসেছে ১৩ দফা।১৩ দফার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবী।

শাহবাগের ৬ দফা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না, কারণ ধরে নেয়া হয়েছে এই সব দাবী নিয়ে কোন বিতর্ক নাই। সরকারের মেনে নেয়ার ব্যাপার মাত্র। যা সরকার একের পর এক তাদের জন্য করে যাচ্ছে। যদিও ছয় দফা নিয়েও বিতর্ক হতে পারে। আমি হেফাজতের ১৩ দফা নিয়েই লিখছি, কিন্তু সব দফা নিয়ে নয়। শুধু নারী অধিকারের প্রশ্নের সাথে জড়িত দুটি দাবীর (দাবী নং ৪ ও ৫) বিষয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি।

হেফাজতে ইসলামের দাবীগুলোর ঢালাও বিরোধিতা করার কারণ আমি দেখি না।ব্যাপারটা বিরোধিতা বা পক্ষে দাঁড়িয়ে যাবার বিষয় নয়। গ্রামীণ গণমানুষের বিশাল একটি অংশের ক্ষোভ-বিক্ষোভের জায়গাগুলো নারী সমাজের বোঝা দরকার। তারা তাদের ক্ষোভ বিক্ষোভের কথাগুলো জানিয়েছে। এখন দরকার সেগুলো নিয়ে সমাজের অন্যান্য অংশের সাথে একটা ব্যাপক আলোচনার আয়োজন করা। সেদিক থেকে নারী আন্দোলনের কর্মী হিশাবে যে সকল দাবি নারীর জন্য প্রাসঙ্গিক আমি শুধু সেই দাবিগুলো নিয়ে কিছু কথা তুলব। কিন্তু আমার ভয় হয় এই ডায়লগ, ব্যাপক কথাবার্তা বা আলোচনার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা আমরা দিতে চাই কি না। একটি পক্ষ মনে করেন, দাবী আদায়ের সময় নির্ধারণ করে দিয়ে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই বলপ্রয়োগে সমাধান করতে হবে।

অন্যদিকে এই দাবিগুলো ধর্মের মোড়কে ইসলামপন্থিদের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে বলেই নারীদের প্রথম প্রতিক্রিয়াই নেতিবাচক হয়ে গেছে। কিন্তু চোখ বন্ধ করে এর বিরোধী হতে হবে, এটাও কোন যুক্তি হতে পারে না। যে মোড়কেই আসুক মোড়ক খুলে মুল বিষয় নিয়ে আমাদের পরস্পর কথা বলতেই হবে। এখন সে সময় এসেছে। ধর্মের পুরুষতান্ত্রিক নির্যাতন নতুন কোন গল্প নয় যে নারীদের তা বোঝাতে হবে। সেটা করতে গিয়ে নারীকে ধর্মের বিপরীতে দাঁড় করানোর বিপদও আমাদের ভেবে দেখতে হবে। বেগম রোকেয়া তা অনেক আগেই এইসব বুঝিয়ে গেছেন। কিন্তু মুশকিল হয় যখন এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী মুক্তির নামে দাঁড়াতে গিয়ে আমরা পুরুষতান্ত্রিক অবাধ বাজারব্যবস্থা ও নারীকে পণ্যে রূপান্তরের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাই। আবার ধর্মীয় জায়গা থেকে তোলা  দাবিদাওয়া বলে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া রাবারের মতো ক্রমাগত টানতে গিয়ে জেনে বা না জেনে বাংলাদেশকে আরও ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে থাকি।

ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল, নারী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের কাছ থেকে অনেক প্রতিক্রিয়া এসেছে। তাদের একটি সাধারণ বক্তব্য হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা মানলে আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাবো। কেমন করে? সেটা কিন্তু কেউ পরিস্কার বলছেন না। প্রথমত মধ্যযুগ বর্তমান যুগের চেয়ে মন্দ ছিল কিনা সেটা একটা তর্কের বিষয়। দ্বিতীয়ত কেউ মধ্যযুগে যেতে চাইলেই কি যেতে পারবেন? আমার মনে হয় না। তৃতীয়ত আমরা একটি বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি, হেফাজতে ইসলাম বা আমরা কেউই এর বাইরে নই। ফলে হেফাজতে ইসলাম বিশ্বব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত আমাদের কোন এক ‘মধ্যযুগে’ ফিরিয়ে নিতে পারবে এমন কোন সম্ভাবনা দেখছি না।বরং সমাজের গণমানুষের বিশাল একটি অংশ বিদ্যমান ব্যবস্থাকে কিভাবে দেখছে, কিভাবে সমালোচনা করছে এবং কিভাবে তার প্রতিকার খুঁজছে সেটা বুঝতে পারাই আমাদের প্রধান কাজ হতে পারে। আমাদের দরকার ধর্মীয় ভাষায় তোলা তাদের মুল বক্তব্য গুলো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব এবং কতটুকু অসম্ভব বা কেন সম্ভব নয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে একটা সুস্থ আলোচনার দিকে নেয়ার চেষ্টা করা। তাদের দাবিগুলো আদৌ সমর্থন করা যাবে কিনা, কিম্বা কতোটুকু করা যাবে তার তর্কবিতর্ক কিভাবে হতে পারে সেইসব আলোচনা করা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারাই গ্রামের গরীব নারী-পুরুষদের কাছে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে হাজির হতে পেরেছে। কাজেই একে উপেক্ষা করা আমাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি ধন্যবাদ জানাই হেফাজতে ইসলামকে। কারণ প্রথম ১৩ দফা হাজির করার পর সমাজের প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন। তারা পত্রিকায় ১৩ দফার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেই ব্যখ্যা থেকেও আমি দফা ৪ ও ৫ নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ করতে চাই।

দফা নং ৪.ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।

এই দাবীকে ভাগ করলে অন্তত তিনটি ভিন্ন দাবী তৈরী করা যেতো। যেমন ১. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা, ২. বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ এবং ৩. মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ।

অর্থাৎ এই ৪ নং দফাটি পুরোটাই নারীদের বিরুদ্ধে নয়। মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশের অংশটি বাদ দিলে থাকে  “বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ” অংশটি।এবং এই অংশটি নিয়েই চলছে বিতর্ক। আমার মনে হয় এই অংশটি হেফাজত বা কোন ইসলামী দলের কাছ থেকে না এসে যদি কোন রাজনৈতিক দল, কিংবা নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আসতো,আমরা একে স্বাগতই জানাতাম হয়ত। পুঁজিতান্ত্রিক ও পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক নারী এই ধরণের সমস্যার শিকার হচ্ছেন, যা নারীকে পণ্য আকারে হাজির করছে। কেউ কেউ হয়তো স্বেচ্ছায় এমন পথ বেছে নিয়েছেন, কিন্তু তাদের কারণে অধিকাংশ নারীর ওপর অপবাদ আসছে। ফলে এই অবস্থা পরিবর্তন করা প্রগতিশীল নারীদেরও দাবী হতে পারেএবং হয়েছেও। এর সাথে নারীদের ঘর থেকে বের হবার বা না হবার কোন সম্পর্ক নেই। হেফাজতে ইসলামের এই দাবী থেকে অনেকে ভেবে নিয়েছেন তাঁরা নারীদের ঘর থেকেই বের হতে দিতে চান না। নারীদের কাজ করা বা শিক্ষার সুযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। দেখা যাক, আল্লামা আহমদ শফি এই নিয়ে কী ব্যাখ্যা দিচ্ছেনঃ    

“দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারীজাতির সার্বিক উন্নতির বিকল্প নেই।এ লক্ষ্যে তাদের নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মস্থল, সম্মানজনক জীবিকা এবং কর্মজীবী নারীদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হবে।ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে নারীদের ইজ্জত-আব্রু, যৌন হয়রানি থেকে বেঁচে থাকার সহায়ক হিসেবে পোশাক ও বেশভূষায় শালীনতা প্রকাশ এবং হিজাব পালনে উদ্বুব্ধকরণসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; এবং একই লক্ষ্যে নারী-পুরুষের সব ধরনের বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে অবাধ ও অশালীন মেলামেশা, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, নারীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রকার সহিংসতা, যৌতুক প্রথাসহ যাবতীয় নারী নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা কঠোর হাতে দমন করতে হবে”।

এই ব্যাখ্যায় আমি মৌলিকভাবে কোন সমস্যা দেখি না। তবে শুধু এটা যেন না হয় যে শালীনতার একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা থাকবে, তার বাইরে অন্য পোষাক থাকবে না।ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চেরকিছু বিষয় হেফাজতে ইসলাম তুলে এনেছে, যা আমি এখানে উল্লেখ করলাম না। এ অভিযোগ সত্যি কিনা প্রশ্ন তোলা যেতে পারে, কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটাও যদি সত্যি হয় তাহলে এমন প্রতিক্রিয়া আমরা ঠেকাতে পারবো না। আমরা কেউই কোন নারী-পুরুষের দৃষ্টিকটু বিচরণ  চাই না, এমনকি উন্নত বিশ্বেও চায় না। শাহবাগ নিয়ে অন্য প্রশ্ন তোলা হলেও যে সব নারী সামনের কাতারে আছে তাঁদের পোষাক নিয়ে আপত্তি তোলার কোন জায়গা আমি দেখি না। আল্লামা আহমদ শফি বলছেনঃ “আমাদের কথা পরিষ্কার যে, হিজাব বা শালীনতার সঙ্গে নারীদের নিরাপদ পথ চলাচল, শিক্ষার্জন ও কর্মক্ষেত্রে যেতে কোনো বাধা নেই।”

তাঁদের আর একটি বক্তব্য''নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য আলাদা বালিকা বিদ্যালয় বা মহিলা কলেজ থাকতে পারলে আলাদা কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আপত্তি তোলার যুক্তি থাকতে পারে না।''এই দাবী কতখানি বাস্তবসম্মত হবে তা ভেবে দেখার বিষয়। আমরা নিজেরাও মনে করি প্রতিটি কর্মস্থলে নারীদের প্রয়োজনে কিছু আলাদা ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। বেশিরভাগ কর্মস্থল নারীকর্মীদের উপযোগী করা নয়। এবং সেটা হলে নারীরা কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। কিন্তু আলাদা কর্মস্থল সম্ভব হবে কিনা সেটা আমরা তাদের বিবেচনা করতে বলতে পারি। 

তাহলে দেখা যাচ্ছে, চার নম্বর দাবীতে নারীদের ঘরে ঢোকানো হচ্ছে না,বরং নারীদের সুরক্ষার কথা বলা হচ্ছে ইসলামের বয়ানে। এই প্রস্তাবে ভীত না হয়ে আমাদের দেখতে হবে নারীদের বর্তমান অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে নারীকে ভোগ্য পণ্য ভেবে যারা নির্যাতন করে, তাদের হাত থেকে আমরা কিভাবে মুক্ত হতে পারি।আমাদের সমস্যা হচ্ছে কেউ ধর্মের নামে নীতির কথা বললে ঘাবড়ে যাই যে, তাহলে বুঝি ধর্মীয় গোঁড়ামীর মধ্যে পড়ে গেলাম। ‘বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার’, কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়, তবে প্রতিটি সংস্কৃতি ও সামষ্টিক মূল্যবোধ সামাজিকভাবেই এই সকল বিষয় নির্ধারণ করে। আমি আল্লামা আহমদ শফি এবং হেফাজতে ইসলামের অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের অনুরোধ করবো এই বিষয়টি নারীর অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হোক, কোন আরোপিত নীতি হিশেবে নয়। শাসনের সুরে নয়। সমাজকে নৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে আরও বিকশিত করে নেবার দায়িত্ব আছে সকলেরই। সেই দিক থেকে আলোচনা করলে তা ইতিবাচক হবে।বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নারীরা কাজ করছেন। মুসলিম নারীরা হিজাব পরে কিংবা না পরেও শালীনভাবে কাজে যাচ্ছেন এবং নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করছেন। তবে মনে রাখতে হবে, এ কথা কেউ হলফ করে এখনও বলতে পারবে না যে নারীর পোষাক পরিবর্তন হলে আপনা থেকেই ধর্ষণ বা যৌন হয়রানী বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিষয়টির সাথে পুরুষদের মন মানসিকতা ও নারীর প্রতি ব্যক্তি ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী জড়িত।এটা যতোদিন সামাজিক আন্দোলন করে নৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে পরিবর্তন না করা যাবে ততদিন এই দুরাবস্থা চলতে থাকবে। তাছাড়া শালীনতা শুধু মেয়েদের বিষয় হতে পারে না। একই সঙ্গে পুরুষদের শালীন ও সংস্কৃতিবান হতে হবে। কিন্তু সেই দাবি হেফাজতে ইসলাম করে নি।

হেফাজতের সমাবেশে আসা নারী সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ দিয়ে অন্তত এটা মনে হয় যে নারীরা আশেপাশে থাকলেই পুরুষরা তাদের আলাদা দৃষ্টিতে দেখেন। এবং সেটা ক্ষেত্র বিশেষে ধর্ষণে গিয়ে পর্যবসিত হয়। নাদিয়া শারমিনের ক্ষেত্রে সৌভাগ্যক্রমে সেটা হয় নি, তবে তিনি অনেক বেশী আঘাত পেয়েছেন। এটাও শারীরিক আক্রমণ তবে ধর্ষণের মতো গ্লানিকর নয়। তার পোষাকে কোন অশালীনতা আমি দেখিনি।কিন্তু যারা আক্রমণ করেছেন তাদের কথা হচ্ছে শুধু-পুরুষদের একটি সমাবেশে নারী সাংবাদিক কেন এসেছেন? নারীদের শালীনতার প্রশ্নই যদি প্রধান হয় তাহলে কোন্‌ ধরণের সভায় নারী যাবে আর কোনটাতে যাবে না সেটাও কি ঠিক করে দেয়া হবে? আমি মনে করি বিষয়টি এতো চরম নিয়ন্ত্রণের দিকে নিয়ে যাওয়া উচিৎ হবে না।সাধারণভাবে বললে নারীদের পোশাক সম্পর্কে আমাদের সামাজিক যে প্রধান বোধবুদ্ধি ও সচেতনতা তা নিজে থেকেই যথেষ্ট শালীন ও ভারসাম্যপুর্ণ।এই দিকটাকে আমলে নিয়ে হেফাজতের নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার দরকার আছে। যেকোন জবরদস্তি উলটা ফল বয়ে আনতে পারে।

মিডিয়া কর্মীদের উপর আক্রমণ নিন্দণীয়।আবার এমন ঘটনা শুধু হেফাজতের সমাবেশেই নয়, অতি আধুনিকদের গানের কনসার্টেও হতে দেখেছি আমরা। যেখানে শুধুই পুরুষ, সেখানে একা নারীর ওপর আক্রমন কোন ধর্মীয় কারণে নয়, পুরুষতান্ত্রিক কারণেই হয়।

হেফাজতে ইসলামের পঞ্চম দাবী “ইসলাম বিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা”। এখানেও একাধিক বিষয় টেনে আনা হয়েছে। আমি শুধু নারী নীতি প্রশ্নেই থাকতে চাই।

প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে বাংলাদেশ সরকার কোন নারী নীতি ঘোষণা করেন নি, যেটা আছে সেটা হচ্ছে ‘নারী উন্নয়ন নীতি’। দাতারা যেভাবে বুঝেছে সেই দিক থেকে “উন্নয়নের” জন্যে নারীদের কোন্‌ কোন্‌ দিকগুলো প্রাধান্য দেয়া হবে তারই নীতি। কাজেই আমরা কোন্‌ নীতি নিয়ে বিতর্ক করছি তা আগে পরিস্কার থাকতে হবে।

নারী উন্নয়ন নীতি নিয়ে ভাল করে বুঝতে হলে আমাদের এর পেছনের কথা জানতে হবে। এই নীতি প্রণয়নের সাথে নারী আধিকার প্রতিষ্ঠার সম্পর্কের চেয়ে নারী উন্নয়নের সম্পর্ক অনেক বেশী। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সময় দেশের নারী সংগঠনগুলো একসাথে কাজ করেছিল। আমরা নিজেরাও সেই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ছিলাম। এর একটি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতও রয়েছে। ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব নারী সম্মেলনের ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার অংশ হিশেবে এই নীতি প্রণীত হয়। তার আগে ১৯৭৯ সালে জাতি সংঘের নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (CEDAW) গৃহিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালে চারটি ধারায় ২, ১৩(ক), ১৬(ক) ও (চ)সংরক্ষণসহ এ সনদ অনুসমর্থন করে। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে ধারা ১৩(ক) এবং ১৬.১ (চ)সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হয়। ধারা ২ হচ্ছে রাষ্ট্র সমুহের সংবিধান ও আইন সমূহে নারী-পুরুষের সমতার নীতি অনুসরণ। ধারা ১৩(ক) পারিবারিক কল্যাণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ধারা ১৬ হচ্ছে বিবাহ ও সকল পারিবারিক বিষয়ে নারী-পুরুষের সমান অধিকার; ১৬.১ স্বামী-স্ত্রীর অধিকার, সন্তানের ব্যাপারে পিতা-মাতার অধিকার, সন্তান গর্ভধারণে নারীর অধিকার ইত্যাদী মৌলিক বিষয়গুলো রয়েছে। ১৯৯৬ সালে ১৩(ক) এবং ১৬.১(চ) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৬.১(চ) -এ অভিভাবকত্ব, দত্তক গ্রহণ, ট্রাস্টশিপ ইত্যাদী ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অধিকারের কথা রয়েছে।

সিডও সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সরকার, বেইজিং কর্মপরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেছিলেন বিএনপি সরকার; বেগম খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী হিশেবে বেইজিং গিয়েছিলেন। তারই আলোকে নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে। ২০০৪ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার এই নীতিতে পরিবর্তন ঘটায় এবং নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৪ প্রণয়নকরে। আবার ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংশোধিত আকারে নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৮ প্রণয়ন করে। যদিও তারা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে নি।কাজেই নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়নে সব সরকারই সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। কারণ দাতাগোষ্ঠির কাছে নারী উন্নয়ন নীতি তাদের উন্নয়ন সহযোগিতার একটি অপরিহার্য অংশ।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় অঙ্গীকার করলেও নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেছে অনেক দেরীতে, ২০১১ সালে। প্রায় ৪১টি লক্ষ্য সামনে রেখে প্রণীত এই নীতিতে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন ও প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করার কথা ছাড়া ধর্মীয় দিক থেকে আপত্তি তোলার মতো কিছুই নাই।

হেফাজতে ইসলাম নারী নীতি পুরোটার বিরোধিতার করছে না, তাঁরা নারী নীতির ইসলাম বিরোধী ধারা বিলুপ্ত করতে বলছে। আল্লামা আহমদ শফীর দেয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ “ত্যাজ্য সম্পত্তিতে সম-অধিকারের আইনসহ নারীনীতির পবিত্র কোরআন-সুন্নাহবিরোধী ধারাগুলোই আমরা সংশোধনের দাবি করছি”। হেফাজতে ইসলাম যদি সর্বশেষ নারী নীতি (২০১১) পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন নারী উন্নয়ন নীতির ২৫.২ ধারায় বলা হয়েছে “উপার্জন, উত্তরাধিকার, ঋণ, ভূমি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা”। এখানে অর্জিত সম্পদের ওপরই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশী।সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে পরিচ্ছন্ন বা স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয় নি।বলাবাহুল্য, এই দিকটি একটি বিষফোঁড়ার মতো সমস্যা হয়ে রয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রচুর আলোচনা তর্কবিতর্কের প্রয়োজন আছে।

আমরা দেখেছি, জোট সরকারের নারী উন্নয়ন নীতি থেকে উত্তরাধিকার সম্পদ কথাটি বাদ দেয়া হয়েছিল, পরে ২০০৮ সালের তত্ত্ববাধায়ক সরকারের নারী উন্নয়ন নীতিতে উত্তরাধিকার শব্দটি না রেখে “স্থাবর ও অস্থাবর” শব্দ যোগ করা হয়।২০০৮ সালে ওলামা মাশেয়খদের প্রতিবাদের কারণে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মুহাম্মদ নুরুদ্দিনকে প্রধান করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করতে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। এ কমিটি ২০০৮ সালের নীতিমালার ১৫টি ধারা কোরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে সিডও বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত ধারাটি বাতিলের সুপারিশ করেন (কালের কন্ঠ, ৭ মার্চ, ২০১০)।

নারী উন্নয়ন নীতির ব্যাপারে ২০০৮ সাল এবং ২০১১ সালে ওলামা মাশায়েখরা প্রতিবাদ করেছেন এবং তাঁদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে তাঁদের কথা দিয়েছেন যে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন সরকার অতীতেও করে নি, ভবিষ্যতেও করবে না। তাঁর সাথে সুর মিলিয়ে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও বিভিন্ন সভায় বলেছেন কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন করা হবে না। কিন্তু মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীণ শারমিন চৌধুরী ১৯৯৭ সালে নীতিমালা অনুযায়ী উত্তরাধিকার বিষয়টি নতুন নীতিমালায় পুনর্বহাল করেন। বলা বাহুল্য তিনি নারী সংগঠনের সাথে পরামর্শ করেই করেছেন।ফলে দেখা যাচ্ছে, নারী উন্নয়ন নীতিতে উত্তরাধিকারের বিষয়টি সরকার আসলে কতখানি রাখছেন তা তাঁরা নিজেরাই নিশ্চিত নন। সরকার একদিকে নারী সংগঠন, অন্যদিকে ইসলাম পন্থীদের এ বিষয়ে অস্পষ্ট রেখে দিয়েছেন। নারী আন্দোলন মাঝখানে বিভ্রান্ত হয়েছে। যেটাই হোক, নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ পূর্ণাঙ্গ রূপে ঘোষিত হয়েছে বটে, কিন্তু বাস্তবায়ন পুরোপুরি হয় নি।

দেখা যাক, ইসলামি চিন্তাবিদ ও ওলামা মাশায়েখরা নারী উন্নয়ন নীতির মধ্যে কোন ধারাগুলোকে কোরআন -সুন্নাহ বিরোধী মনে করছেন। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইনাম উল হক এই ধারা গুলো চিহ্নিত করে লিখেছেন। তাঁর মতে ক. ১৬.১ বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে প্রণীত ও গণজীবনের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা আনা সম্ভব নয়। ক. ১৬.৮ নারী-পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন করার বিষয়টিই পরিস্কার নয়। গ. ১৭.৪ বিদ্যমান সব বৈষম্যমূলক আইন বিলোপ করা এবং আইন প্রণয়ন ও সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশন বা কমিটিতে নারী আইনজ্ঞদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রস্তাব কোরআন ও সুন্নাহ’র সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।         

হেফাজতে ইসলাম তাঁদের ১৩ দফায় এতো কথা বলেন নি, তাঁরা শুধু বলেছে নারী নীতি ইসলামবিরোধী। আমরা পত্র-পত্রিকায় আলেম সমাজের পক্ষ থেকে যে সমালোচনা দেখছি, হেফাজতে ইসলামও কি একই মতের কিনা তা আমরা জানি না। যদি হয়ে থাকে তাহলে বলবো তাঁদের আপত্তি যেখানে সেটা নারী উন্নয়ন নীতিতে খুব জোরালোভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। কিন্তু নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা যেভাবে করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম নারীদের সকল প্রকার উন্নয়নের বিরুদ্ধে, যা তাঁরা নন বলেই ইতিমধ্যে বিভিন্ন আলোচনায় তারা পরিস্কার করেছেন। তাহলে তাঁদের উচিত হবে এই ব্যাপারে হেফাজতের নারী সংগঠন ও অন্যান্য নারী সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময় করা। নারী আন্দোলন যখন দাবী করে নারী নীতি সব নারীদের জন্যে, সেখানে হেফাজতের পুরুষদের মতামত ছাড়াও হেফাজতের নারীদের মতামত শোনাও আমাদের প্রয়োজন। অন্যদিকে নারী্রা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন সেই বাস্তবতাকে মনে রেখেই আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে পশ্চিমা চিন্তার প্রভাবের কারণে নারী উন্নয়ন নীতির যেসব দিক আমাদের স্বার্থের প্রতিকুল বলে মনে হচ্ছে অবশ্যই সেগুলোর বিষয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে কোন কিছু বাতিল বা সমর্থন করা যাবে না।

হেফাজতের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের বিতর্কিত সিডও সনদ বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটা ঠিক যে, আন্তর্জাতিক যে কোন সনদে পশ্চিমা দেশের চিন্তা চেতনার প্রাধান্য থাকবে এবং এর বিরুদ্ধে খোদ পশ্চিমা দেশের ধর্মীয় নেতারা শুধু নয়, আরও অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন, বিশেষ করে পোপ ও ভ্যাটিকানরা খুশি নন। তার অর্থ হচ্ছে শুধু ইসলামী ওলামারাই নন অন্যান্য ধর্মের পক্ষ থেকেও সিডও সনদ গৃহীত হচ্ছে না। সিডও সনদ সংক্রান্ত তর্ক যথেষ্ট জটিল বিষয়। তবে জাতিসংঘের সনদ হিশেবে ধরে নিয়ে নিজ দেশের প্রেক্ষাপটে কিভাবে গ্রহণ করা যায় সে আলোচনা অবশ্যই আমাদের করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামসহ সমাজের সকল স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ জরুরী।

আশা করি নারী নীতি নিয়ে এই সকল বিভ্রান্তি আমরা নারীদের মধ্যে আরও আলোচনার মধ্যে সমাধান করতে পারবো। তার আগে নারীদের দুই পক্ষ হয়ে পরস্পরের বিরোধী অবস্থান নেওয়া কৌশলগতভাবে ভুল হবে বলে আমি মনে করি।



• ফরিদা আখতার। নারী আন্দোলন কর্মী। স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনেও সমান সক্রিয়।

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

Islamic Scholar: Imam Ghazali

Banglaboipora




Islamic Science, the Scholar and Ethics
Let us take a moment to ponder over a powerfully incisive thought from one of the greatest Muslim scholars of all time, Al-Ghazali
God has created the spirit of man out of a drop of his own light; its destiny is to return to Him. Do not deceive yourself with the vain imagination that it will die when the body dies. The form you had on your entrance into this world, and your present form, are not the same; hence there is no necessity of your perishing on account of the perishing of your body. Your spirit came into this world a stranger; it is only sojourning in a temporary home. From the trials and tempests of this troublesome life, our refuge is in God. In reunion with Him we shall find eternal rest – rest without sorrow, joy without pain, strength without infirmity, knowledge without doubt, a tranquil and yet an ecstatic vision of the source of life and light and glory, the source from which we came.
Iqbal, like his predecessors al-Ghazali and Ibn Khaldun, states that "total reflection also includes inner reflection, and the pursuit of knowledge should not be divorced from ethical and value criteria." Hence, one could indeed argue that experimental and empirical efforts cannot be completely divorced from one's heart, inner intuition, insight or conscience. Reason and revelation go hand in hand, it would then seem, while science and knowledge are at once personal and social. Sadar adds that,
Scientists are accountable to God for their activities, they are required both to serve the community and to protect and promote its ethical and moral institutions. The way they use science, therefore, must reflect the values of the society they seek to serve. Thus, the Quranic approach to science is at once dynamic and static: it promotes reason, objectivity and the pursuit of truth and excellence, but at the same time, it places this endeavour firmly within the boundaries of Islamic ethics and values.
The pursuit of knowledge has a very important place in Islam, but it is subservient to Quranic values and ethics. In the Qur'an, knowledge and righteousness must go hand-in-hand. The Qur'an promises good rewards and high rank for those who possess knowledge coupled with faith and practice. According to Al-Faruqi, Islamic science is the `practical knowledge that produces results and leads to virtue, the object of the Muslim's prayer: "Oh God grant us a knowledge that is useful and beneficial."' Under Islam, science serves the goals of society. The goals of an Islamic society are to increase brotherhood and spiritual awareness and reduce consumption. A science with these goals has to be different in nature and style from science as it is practised today. Furthermore, these goals cannot be pursued by any means. They can only be pursued by those means which are permitted by Islam.
Hence, Islamic civilisation, unlike today's Western, secular civilisation, does not differentiate between matters of `state' and matters of religion. It is a religion, a way of life and a code of conduct for individuals, families and societies simultaneously. Moreover, Islam does not just preach good religious practice, but also, and above all, Islam encourages good deeds, that are not to be done just occasionally but in all acts and decisions, in all spheres and realms. The Qur'an, indeed, repeatedly stresses the `amal salih (good deed). Furthermore, in Islam, there are no priests or intermediaries who can forgive a sinner on behalf of God. No Prophet died for a nation's sins. Each and everyone is responsible before God for their own deeds, good and bad. From the layman to the man with great power or knowledge, all are accountable for their acts. Thus the Muslim is literally commanded to do good and right only.
Even a Muslim with a little faith, is nevertheless required to act and implement this faith in his daily life. Thus, whether he is in business or in war, the Muslim acts as well as he can, which explains why, even in the heat of battle and amidst so much brutality, Muslims should still adhered to the true, compassionate code towards the vast majority, i.e. the innocents. The high moral ethics of Islam, are thus second nature and permeate all human activity. These, then, are the philosophical and sociological considerations and some of the priorities which make Islamic science an entirely different enterprise from science as it is practiced today. It can be seen that the motivational and governing forces of this science were religious and cultural, and gave Islamic science a direction that was different from that of contemporary Western science.
A broad spectrum of scientists in the Muslim world have discussed Islamic and secular approaches to science. While science itself is neutral, it is the scientist's approach that moulds science into an Islamic or secular entity; 'science is Islamised by the way we practice it and utilize it.' The Islamic approach recognises the limitations of the human mind and acknowledges that all knowledge is the property of God. Humility, recognising the limits of scientific method, and respect for the object of study are primary lessons that can be adopted at the very start of the journey to rediscover the heritage and contemporary meaning of Islamic science. This is in essence, the message of Islamic science to the world. The scientific tradition of Islam is based on the profound intuition of the interdependence and interrelation of all things in the universe, including of course our planetary environment.
Consideration for higher ethics under Islam is expressed in many ways. As early as the 9th century, the physician Ishaq bin Ali Rahawi wrote the first treatise on `adab al-tabib, i.e. medical ethics. In this treatise, Rahawi labels physicians as "guardians of souls and bodies" and in this treatise he spells out all the deeds and acts a Muslim physician must observe. Al-Razi, too, in his medical work did so much to `humanise' medicine by taking into consideration the patient's problems and attitudes. "The doctor's aim is to do good, even to our enemies, so much more to our friends, and my profession forbids us to do harm to our kindred, as it is instituted for the benefit and welfare of the human race, and God imposed on physicians the oath not to compose mortiferous remedies."
The distinguishing feature that made Islamic medicine quite remarkable was its unsurpassed ethics. Muslim hospitals served people irrespective of religion, colour or background, by staff that operated on a completely equal footing, whether Christians, Jews, or other minorities. A Muslim doctor was also identified as 'Hakim', which in Arabic translates as 'wise'. Muslim physicians practiced with the guidance of God present in their minds. Hence, unlike secular medicine today, Muslim practitioners did not perform abortions or sex change operations. Nor did wealth decide who to treat and how. Muslim physicians also had obligations to their patients, community and colleagues that are difficult to imagine in practice today.
In Rahawi's book there are twenty chapters, which include:
  • What the physician must avoid and beware of,
  • The manners of visitors,
  • The care of remedies by the physician,
  • The dignity of the medical profession,
  • The examination of physicians, and
  • The removal of corruption among physicians.
This same attitude was observed towards the wider world. Al-Faruqi points out that the natural world and all its splendour is for the Muslim a 'ni'mah, a blessed gift of God's bounty, granted to man to use and to enjoy [...] not man's to possess or to destroy, or to use in any way detrimental to himself and to humanity, or to itself as God's creation." Further "since nature is God's work, His ayah or sign, and the instrument of His purpose which is the absolute good [...] the Muslim treats nature with respect and demonstrates deep gratitude to its beneficial Creator and Bestower. Any transformation of it must have a purpose clearly beneficial to all before it can be declared legitimate." Muslim scientists, whether Ibn al-Haytham in his optics, or Al-Biruni in his study of India, sought to understand nature, their respect for which was almost reverential, not to dominate the object of their study. Sardar notes that Bacon's dictum that "nature yields her secrets under torture" would have sent shudders down al-Biruni's spine. Indeed, Al-Faruqi had made a remarkable comparative exercise between Islamic science, that of its predecessors, the Greeks, and that of the contemporary West. 'Greek science,' they explain, was too intoxicated with the beauty of nature per se and regarded the tragic outcome of naturalism itself as natural. Since the Renaissance, modern Western civilisation has had the highest regard for tragedy. Its zeal for naturalism took it to the extreme of accepting nature without morality, as a supernatural condition. Since the struggle of Western man has been against the Church and all that it represents, the progress of man in science was conceived as liberation from its clutches. Hence, it was extremely hard even to contemplate a world affirmation or naturalism that was attached to normative threads stretching from a priori, noumenal, absolute source. Without such threads, naturalism is bound to end up in a state of self-contradiction, with internal conflicts that are ex hypothesi insoluble. The Olympian community could not live in harmony with itself and had to destroy itself. Its world affirmation was in vain.
Modern science, which is primarily Western, unlike Islamic science, has endless preoccupations that have very little consideration with regards to ethics. Nature, for instance, has only recently begun to receive its due after centuries of savage 'development'. Even if there is an awareness of the effects of global warming, there is still barely any shift in Western consumer behaviour towards reducing the use of fuel. Furthermore, to the modern scientists, what is scientific supersedes everything else. Thus, in this respect, anything goes: the scientific and that which is defined as such. Furthermore, for the sake of 'science' so much pollution and destruction – devastation, in fact – occurs on a daily basis; whole species have become extinct in the name of progress. Entire peoples, regions, oceans, and animals of all sorts have also been sacrificed for the sake of science. The natural world is used for, or exposed to atomic tests, while horrendously depraved weapons have been tested in wars, while torturous new devices are trailed on prisoners of war. Scientists also develop poisonous gases that were used to exterminate millions of young men already in horrific conditions on the battlefields of Europe in the First World War, to Vietnam, and beyond.
There is also, of course, the issue of money. Under Islam, science was developed with the Godly injunction of doing good for humanity and nature. In our times however, the sponsor calls the shots. Sometimes the interests of humanity and finance meet, often they don't. Money, then, takes precedence. Moreover, as the financier provides direction, the morality of science is not longer in the hands of the scientist. In a world dominated by monopolies, greed, and the absence of morality, it is impossible for science and ethics to work together in harmony. Solzhenitsyn summarised this in his inaugural address at Harvard University in 1978, stating that "the most impressive scientific and technological achievements could not redeem the moral poverty so prevalent in the Western world."
Freedom is indeed, one such concept that has its limits in Islam. Freedom of expression has a divine sanction in Islam. No one, nor any man-made law, can take this birthright away from someone else. Freedom of expression is not only a right in Islam but an obligation, and one who tries to deny criticism and counter-criticism is openly at war with Islam. This is why criticism has been institutionalised in the Islamic concept of muhasabah, which embraces both criticism and self-criticism, including intellectual, political and social, correction of errors, being prepared to accept corrections, trial, giving account, and taking disciplinary measures or actions. The Prophet explained the obligation to criticise by asking his followers to imagine a ship at sea which was carrying passengers. Some of them were seated on the deck while others were seated below. One of those below started drilling a hole where he was sitting. If the other passengers were to stop him (and this would be a duty on the passengers below and on deck), his life would be saved, along with the lives of the other passengers and crew; if they let him carry on, they would all drown.
Like all freedoms, however, Islam couples freedom of expression with social responsibility. In the West, the book has become an icon; its contents are irrelevant; freedom of expression is equated with the book itself. In Islam, the book is symbolic, but its contents are important too. It can be used to offer any criticism, question anything including even the notion of the divine itself, focus discussion on any aspect of the entire spectrum of human experience and ideas. But, because it is held in such high esteem, it cannot be allowed to be used as a vehicle for abuse or the dishonour of individuals in society in the name of criticism. Criticise as much as you wish, tear arguments or ideas limb from limb, but do not attack the honour or the person by abuse, ridicule or mockery. This is the responsibility that Islam places on the freedom of expression.
Under Islam, authors always began with the formula 'In the name of God, the Merciful, the Compassionate', and with salutation to the Prophet. Any Muslim author begs God to grant him the grace and strength to carry through his enterprise and for the very best of results. Muslim scholars quoted on every suitable occasion verses from the Qur'an, as well as hadith, in support of their arguments. Under Islam, Bucaille states,
men were more steeped in the religious spirit than they are today; but in the Islamic world, this did not prevent them from being both believers and scientists. Science was the twin of religion and it should never have ceased to be so.
Image Sources:
Image 1 (Earth) source: www.3dtrue.com
Image 2 (Al Ghazali) source: www.famousmuslims.com
by: FSTC LImited, Fri 24 February, 2006