Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

শুক্রবার, ৩১ মে, ২০১৩

বর্তমান সংশোধিত সংবিধান রাজতন্ত্রের আভাস দিচ্ছে   



রাজনীতিতে সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত উঠে আসছে নিত্যনতুন বিতর্ক। নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক না অন্তর্বর্তী সরকার- এ প্রশ্নে রাজনীতি উত্তপ্ত। আরও জটিল এক সাংবিধানিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হস্তান্তর ও মেয়াদ নিয়ে। এতে আছে সংসদ ভেঙে গেলেও প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে পরবর্তী কয়েক বছর বা ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। আশ্চর্য হলেও সত্য যে সংবিধানই তাকে এ ক্ষমতা দিয়েছে। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদ মতে, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় বহাল থাকবেন। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বর্তমান সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ মতে- সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে 'মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে। তবে শর্ত থাকে যে, এই দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ উক্ত দফায় উলি্লখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।' বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের নির্বাচন পদ্ধতি একটি বিরল ঘটনা। কেননা এভাবে তিন মাস আগে নির্বাচিত নতুন এমপিরা আগের এমপিদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। অর্থাৎ একই সময়ে একই আসনে দুজন এমপি থাকবেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের সময় এমনকি নির্বাচনের পরেও ডিসি, এসপি, ইউএনওরা এ সরকারের অধীনেই থাকবেন। প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বস্তরে বর্তমান সরকারের লোকজন দিয়েই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনেরও তাদের নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারের পক্ষপাত থাকবে অবশ্যম্ভাবী। অন্যদিকে অন্য কোনো দল নির্বাচনে জয়ী হলেও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা না ছাড়লে করার কিছু থাকবে না, যদি না তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হতে পারে, একদম ডিসিসি নির্বাচন স্থগিতের মতো একই ফর্মুলায় এগোচ্ছে সরকার। কেননা সংসদের বিভিন্ন আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আইনি বাহাস চলছে নির্বাচন কমিশনে। সরকারি দলের এমপিরাও মন্ত্রীদের দায়ী করছেন এই সীমানা নিয়ে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে কেউ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে জাতীয় নির্বাচনের তফসিলও হয়তো ডিসিসি নির্বাচনের মতো আটকে যেতে পারে। এ জটিলতার কারণে নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থিতাবস্থা আসতে পারে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সংসদের মেয়াদ শেষ হলে সংসদ সদস্যরা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী যেহেতু থাকবেন, তাই তিনি ওই সময়ে ১০-১৫ জন অনির্বাচিত উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবেন অনায়াসে। এভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আগামী কয়েক বছর বা ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আদালতের শরণাপন্ন হলে 'ডকট্রিন অব নেসেসিটি' হিসেবে তা আদালতের বৈধতা পেতে পারে। কেননা তিন মাসের জন্য সাংবিধানিক মেয়াদ নির্ধারণ করা বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারও সেভাবেই বৈধতা পেয়েছে।

যেহেতু আমাদের বর্তমান সংবিধানের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলা নেই, তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো কারণে সংলাপ বা গ্রহণযোগ্য কোনো সমঝোতা না হলে নিশ্চিতভাবেই সরকারকে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে যেতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংঘাত-হানাহানিতে না গিয়ে সরকার সংবিধানের বিদ্যমান এ বিধানের সুযোগটি নিতে চাইতে পারবে। কেননা ১৯৭৫ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে কোনো ধরনের নির্বাচন ছাড়াই ওই সময়ের সব সংসদ সদস্যকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে কোনো ধরনের নির্বাচন ছাড়াই আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সবই তখন করা হয় সংবিধান সংশোধন করেই। তাই অযথা নির্বাচন না করে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকার বিধান যখন পঞ্চদশ সংশোধনীতে করা আছে, তখন সরকার কেনই বা নির্বাচন দিতে যাবে? বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকার বিধান তো রয়েছেই। তাই ডিসিসির মতো একই ফর্মুলায় সীমানা নির্ধারণসহ যে কোনো আইনি জটিলতার অজুহাতে যদি জাতীয় নির্বাচনও বছরের পর বছর ঝুলে থাকে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে ২০১৩-এর বাস্তবতায় এটা কতটুকু সম্ভব তা আগামী দিনগুলোই নির্ধারণ করবে।

ডক্টর তুহিন মালিক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩


Archive for the ‘Lady Hitler’ Category 


Is Bangladesh In Grip of Conspiracy Too?


A new ‘Genocide’ and the evolution of a ‘Lady Hitler” in Bangladesh”, screamed a message on a yahoo group. I was aware that a tribunal was deciding cases of heinous crimes committed by Bangladeshi Islamist, who had collaborated with Pakistani army in the then East Pakistan’s 1971 struggle for independence. As  death sentences began to be awarded to prominent leaders of *Jamaat-e-Islami*, the party followers started protesting violently. 28 February saw violent clashes that had claimed some 70 lives. I gathered this would be the context in which  above headline had been situated. Usually I would ignore such sensationalism  putting it down as sheer nonsense and waste of time. The link provided though made me sit up and take note. It came from one of the peddlers of “official” news,CNN.com. I decided to follow the link, and was encountered by this photo.
The pages announces “CNN iREPORT”. The author is identified as Pathik Rasel. He says, “On the night of 6th May 2013, the allied government forces attacked the sleeping protesters who earlier gathered around the Shapla Chattar… Hours before the attack, the electricity supply was cut down, and the media men were removed. The allied forces comprising of the Police, RAB and BGB attacked on the innocent civilians… There were indiscriminate shooting killing more than a thousand lives, as the eye witnesses assume. Many have sees dozens of trucks of dead bodies being carried away by the government forces in order to dispose of them!“. Many links are given at the bottom of Rasel’s post to buttress his “account”. One of the links takes to a Face Book page that has gruesome photographs of bloody deaths. Another link takes to Asian Human Rights Commission (AHRC). Going by the name and general look, it appears to be a respectable and responsible organization/ site. While admitting that the extent of the injuries and death is “difficult to be ascertained” at the moment, it had the gall to add, “The Daily Star, a Bangladeshi newspaper, gave the figure of deaths as 5.However, several internet reports have mentioned that the number of deaths could be as high as 2,500 or more“. Pathik Rasel’s CNN iREOPRT figure of “more than a thousand lives”, has ballooned to “as high as 2,500 or more” in AHRC account. Former cites loopy “eye witnesses assume” to latter’s “several internet reports”. Both are equally vague as to the source.  AHRC also reports that ” Pictures of dead bodies have also been distributed over the internet”. This is true. Google image search or Tin eye  image search (of these images) threw up links mostly to Face Book or Twicsy.Com sites, and it was largely the “endeavour” of “interested” “individuals.  However, I admit I could not find any evidence that photos have been morphed or are of some totally unrelated events, like it happened when rape and death of a 11 year Chakma tribe girl in Bangladesh was passed of as an atrocity on Rohingya Muslim in Myanmar, or scores of Tsunami victims in Indonesia were again passed off as killings in Myanmar and North East India. The highly inflammatory and dangerous campaign by “vested interests” propagated through social media succeeded  last August in triggering spate of attacks in Pune, Bangalore, Chennai, Mumbai on Indians from North East, and a Muslim rally organised in Mumbai on 11 August turned violent after provocative speeches were made from the dais. (For more read herehere, and here).
Rasel goes on to enlist the support of “celebrated” CNN reporter, Christiane Amanpour, “Bangladesh government has stopped and restricted many international news media organizations from reporting from the ground in Bangladesh, as Christiane Amanpourconfirmed this during a recent interview of the Bangladesh Prime Minister Hasina with her. Hasina, being outrageous, denied the claims in a very rude and harsh manner“. I saw the video. Hasina is neither “very rude” or “harsh mannered”, though she does reply like any seasoned and evasive politician that she is. Mischievous embedding of this video is totally out of context. CNN it seems was denied access or was being offered highly conditional and controlled access, but that was in the wake of extremely tragic man-made tragedy of building collapse in which death toll has hit the 1000 mark. See the Amanpour interview below.
When one checks out links provided to mainstream media sites, who wouldn’t like to be caught relying on totally unconfirmed and exaggerated reports; no corroboration of the “feverish”writing of Rasel or “careless” reporting of AHRC is found. But before we do that a report from a Bangla Paper- Dinkal24: “Having no option they fired tear shells and rubber bullets targeting Hifazat men from the side of Notre Dam College in Motijheel. Simultaneous attacks were launched from the Dainik Bangla intersection at around the same time… Hefajat-e-Islam Bangladesh ameer Allama Shah Ahmed Shafi on Sunday said their peaceful sit-in at the capital’s Shapla Chattar will continue until the 13-point demand is met.In a press statement, Shafi also urged the government to accept their 13-point demand without creating any confrontational situation. The statement claimed that three Hefajat activists were killed and over 300 injured in the brutal attacks by police and ruling parry cadres on their way to join the Shapla Chattar rally after peacefully observing their Dhaka siege programme“. If anyone feels that Dinkal24 is a flunkey of the government, then same paper has published most of the photographs that are doing the “rounds” on social networking sites.
Al Jazeera “Bangladesh clashes rage over blasphemy law“: “As violence moves beyond the Bangladesh capital the man at the head of the group that instigated the fatal protests was driven out of Dhaka under police escort. Allama Shah Ahmad Shafi was taken out of the Hifazat-e-Islam headquarters in Dhaka on Monday before being put on a plane to the second city Chittagong… Security forces got involved after what began as a scheduled demonstration exceeded its time limit and turned violent. Demonstrators attacked the headquarters of the ruling Awami League party, set fire to more than 100 shops and at least 50 parked cars, and vandalised many other buildings. Supporters of Hifazat-e-Islam group carried sticks and had blocked major entry points to the city, sealing off the capital. The security forces fired numerous rubber bullets and teargas when they launched the eviction drive“.
The Economist “Violence on the streets“: “THE ARMY was still counting the dead from Bangladesh’s biggest industrial disaster, when a massacre of hardline Islamic demonstrators unfolded in the early hours of May 6th. It took place in the commercial district of Dhaka, Bangladesh’s capital. At least 37 were killed and hundreds more injured in clashes between security forces and members of an extreme Islamic group, Hefajat-e-Islam. The final death toll is likely to be higher. Prothom Alo, a Bengali-language newspaper, suggested 49 had died, mostly outside of the capital. Security men were also killed, but most victims in Dhaka were from among the tens of thousands of demonstrators who had been ordered to leave the city in the middle of the night. These killings come barely two months after another massacre. At least 67 died in violent clashes after a war-crimes court, on February 28th, convicted a leader of Bangladesh’s biggest Islamist party of murder, abduction, rape, torture and persecution during the independence war of 1971. So far this year at least 150 people have died in clashes between hardline Islamists and the police“.
Now, how do these “stories” square off with the writings of Pathik Rasel? One has to take note that mainstream media is slow and conservative in reporting death toll in tragedies and in government’s massacres. But it wouldn’t dare to hide if 2500 or 1000 civilians had been killed in single night. 
Those of you who gave a hard look to the photo at the beginning or enlarged it by clicking on it, would have seen in top left hand corner, “NOT VETTED BY CNN”, and in bottom left hand corner the legend, “facebook.com/ProBangladeshis”. The Free dictionary gives following meanings for “to vet”: “checkexamineinvestigatecheck outreview,scanlook overappraisescrutinizesize up“. If CNN did not do any of these things, then why the hell did it put up such likely incendiary post on its website? The post controversially claims twice that “on the night of the 6th May 2013, more than thousands of people were killed according to the innumerous(sic)eye witnesses“, and then compares it with “the dark night of the 25th March 1971, when the Pakistani Army killed hundreds of innocent freedom-thirsty Bangladeshi (then East Pakistani) civilians“. Most people don’t even read news item till the end, forget checking out the “links”. For such unwary and unsuspecting readers, the CNN stamp is like a gospel truth. Was CNN careless? Or is there a deeper conspiracy to destabilise South Asia, India? Don’t believe such “crap”?, then what do you make of this: “how the government supporters attended the protest earlier in disguise of Hefazat-i-Islam activist, and assisted the ‘Hindi speaking’ armed forces in the mass killing! How free are we in Bangladesh?! How would the ‘Hindi’ speaking armed forces carry out killing spree in a free state? We want Hasina to answer these!“.  Can anyone explain what “Hindi speaking armed forces” means? If that is not enough, then why are “Whites” having names like Morris are recycling such stories? In his video, he approvingly shows what Muslim Brotherhood as to say.
Is it a conspiracy of “Islamist” alone, or are they working in cahoots with “superior” powers? If Prime Minister Hasina’s government, even if “secular”, has used excessive force, killed unarmed civilians protesting peacefully or simply sleeping in public place, has acted with malice in partisan manner, then it should be held accountable and full force of law should apply. Until then, it won’t do to rumour-monger, but to wait for true facts to emerge.


Domestic War Crimes Tribunal in the International Context: Bangladesh 

 

30/05/2013. reference: ICT Blog.

Here in Dacca we are mute and horrified witnesses to a reign of terror by the Pak Military. Evidence continues to mount that MLA authorities have a list of Awami League supporters whom they are systematic and shooting them down.[i]

Recently, the ICT in Bangladesh has created a division within country in half and it had been reported that more than 80 people were killed in clashes over the Tribunal’s verdict and chaos followed. Many Hindu houses were burned down. The international justice community has been quick to point out that the current party in power, Awami League, and the current leadership of Sheikh Hasina, Prime Minister of Bangladesh, is after revenge rather than justice. Modeled after the Nuremberg trials, the tribunal, which has commenced in 2010, repeatedly faced criticism from the international community about the fairness and the openness of the trials. So far, the ICT has indicted 11 people for collaborating with the Pakistani Army and most of them hold high positions within the two opposition parties, Jamaat-e-Islami and Bangladeshi Nationalist Party. Abul Kalam Azad, member of Jamaat-e-Islami, was sentenced to death in absentia and the ICT gained quite a bit of attention after Mr. Abdul Quader Molla, senior leader of Jamaat-e-Islami, whose previous sentence of life imprisonment was overturned and received death penalty after a popular protest. Delwar Hossain Sayeedi, leader of the Jaamaat-e-Islam, was sentenced to death.

Is it genocide?

Along with the genocide in Rwanda, the Holocaust in Germany, the Bangladeshi atrocity was one of the worst atrocities committed in the 2Oth century. However, unlike the other genocides, the Bangladeshi genocide is one of the least studied genocides in the modern day history.  Bangladesh suffered a violent birth and whether or not, the war between East Pakistan and West Pakistan was genocide has been debated among the scholars many times. The war created 10 million refugees. According to the Convention on the Prevention of and Punishment, genocide is:

Article 2

In the present Convention, genocide means any of the following acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group, as such:

(a)      Killing members of the group;
(b)      Causing serious bodily or mental harm to members of the group;
(c)      Deliberately inflicting on the group conditions of life calculated to      bring about its physical destruction in whole or in part;
(d)      Imposing measures intended to prevent births within the group;
(e)      Forcibly transferring children of the group to another group.[2]
The massacre that happened in Bangladesh clearly fits within the realm of the definition of genocide. At that time, press rarely called it genocide but it is without a doubt that the Pakistani Army targeted Hindus selectively. The Hindu Bengalis became the Jews of Germany for the Pakistani Army. They were hunted down, killed, and the Pakistani Army unleashed a massacre that took place on defenseless villagers, peasants, students, mothers, and children.  According to confessions by Pakistani army soldiers and officers, they were ordered to kill Hindus, Kafirs (non-Muslims) and to show no mercy. Bengalis were seen as an inferior race. Lastly, India spoke out against the genocide, condemning and calling it,  “savage and medieval butchery” and “preplanned carnage and systematic genocide.”[ii] Telegrams were sent from the American Embassy to Washington labeling the massacre as “selective genocide”.  Bengali Army officers within the Pakistani Army were disarmed and executed. The massacre happened under a control command system and it was well planned by the West Pakistani Army. According to, A. Dirk Moses,



জিয়া উর রহমান এর   কিছু কীর্তিমালা


১. আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলে ইন্দিরার কাছ থেকে বছরে ৪০০০০ কিউসেক পানি আদায় করে নিয়েছিলেন সোজা মেরুদন্ডের এই যোদ্ধা......
২. বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৬ সালের ৮ ই মার্চ ।
৩. মাদ্রাসার সিলেবাসে সায়েন্স , ইংরেজী , সমাজবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন.......
৪. মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম বাজারের ENTRY CHANNEL টিও খুড়ে দিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬ এ প্রথম জিয়াউর রহমান ৬০০০ শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠান। সেই ৬০০০ হাজার আজ ৭০০০০০০০ !
৫. আজ মুক্তাঙ্গনে রাজনৈতিক সমাবেশ হয়, সেই মুক্তাঙ্গনও জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবার জন্য।
৬. বিটিভির কালার ট্রান্সমিশন জিয়াউর রহমান চালু করেন যখন ভারতেও রঙীন সম্প্রচার শুরু হয়নি.....
৭. বিখ্যাত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান " যদি কিছু মনে না করেন " নির্মাতা ফজলে লোহানী কে লন্ডন থেকে দেশের মাটিতে নিয়ে আসেন জিয়াউর রহমান
৮. বিটিভির ২য় চ্যানেল চালু করেছিলেন জিয়া যা এরশাদ বন্ধ করে দিয়েছিলো....
৯. জিয়াউর রহমানের সরাসরি নির্দেশে নতুন কুড়ি , স্কুল বিতর্ক অনুষ্ঠান গুলো চালু হয় বিটিভিতে.....
১০. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে শাহবাগের জাতীয় শিশুপার্কটি জিয়াউর রহমান করে গেছেন.....
১১. জাতীয় শিশু পুরস্কার , জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার , স্বাধীনতা পুরস্কার , একুশে পদক এগুলো জিয়াউর রহমান চালু করেছেন......
১২. ১৯৭৯ 'র আগ পর্যন্ত একুশের বই মেলা ছিলো গাছতলার ছন্নছাড়া মেলা। জিয়াউর রহমানই বইমেলাকে বাংলা একাডেমীর দায়িত্বে নিয়ে আসেন ১৯৭৯ তে। সে বছর থেকেই একুশের বই মেলা রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হচ্ছে......
১৩. এফডিসির জন্যও জিয়াউর রহমান গাজীপুরে জমি বরাদ্দ করে গেছেন .....
১৪. রাষ্ট্রীয় অনুদানে সুস্থ চলচ্চিত্র নির্মান করার বিষয়টা জিয়াউর রহমানই চালু করেছেন....
১৫. বাকশালে চাকরী চ্যুত সাংবাদিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করার জন্য রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন "দৈনিক বার্তা" যেখানে চাকরী করেছেন কামাল লোহানীও
১৬. জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ১ম বারের মত নারী আসন বাড়ানো
১৭. ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ
১৮. কলকারখানায় ৩ শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি
১৯. যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ
২০. ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ
২১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন
২২. তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন
২৩. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসনলাভ
সর্বশেষ
এভাবেই
৭১'র মেজর জিয়া ,
৭৬'র জেনারেল জিয়া ,
৭৮'র প্রেসিডেন্ট জিয়া কোমায় যাওয়া মাতৃভূমিকে সুস্থ সবল করেছেন ।
১৯৮১ 'র ৩০ মে এই ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যুতে বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম শবযাত্রা হয়েছিলো ...... শুধু ঢাকার রাস্তায় ঢল নেমেছিলো ৩০ লাখ মানুষের.......

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৩

কেলকুলাসের কান্ড  



ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক হোন 



ফেসবুকের ভালো, সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ দিক যেমন রয়েছে, তেমনি বিপত্তিও কম নয়। মাঝেমাঝেই দেখা যায়, আপনার কোনো বন্ধু জানাচ্ছেন, অমুক নায়িকার তমুক ভিডিও দেখা যাচ্ছে এই লিংকে। কখনো থাকছে ওজন কমানোর টিপস। এসব আসলে ফাঁদ।
সোর্স সম্পর্কে নিশ্চিত হন
মাঝে মাঝেই দেখা যায় কোনো একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সন্দেহজনক লিংক শেয়ার হচ্ছে। এ ধরনের লিংকে যিনি ক্লিক করবেন, তার কম্পিউটারেও মেলওয়্যার ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তিনিও একইভাবে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অজান্তে সেই লিংক শেয়ার করতে পারেন।
সামান্য একটু সতর্ক হলেই এই বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে লিংকটি যিনি শেয়ার করেছেন এবং কি ধরনের লিংক শেয়ার করছেন সেদিকে একটু মনোযোগী হলেই এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যদি দেখেন আপনার কোনো বন্ধু ‘সেক্স টেপ’ নামক কিছু শেয়ার করছে, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন লিংকটি ভুয়া এবং স্প্যামাররা আপনাকে বিপদে ফেলতেই এরকম লিংক ছড়াচ্ছে।
এক্ষেত্রে সেই লিংকে ক্লিক না করে, যেই ব্যক্তির টাইমলাইন থেকে লিংকটি আসছে, তাঁকে অফলাইনে ফোন করাই ভালো। তাকে ফেসবুকে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে হলেও বলা যেতে পারে, আপনি যে লিংকটি শেয়ার করছেন, সেটি কি জেনেশুনে নাকি অজান্তেই?
ফেসবুক হ্যাক হওয়ার খবরও গুজব
ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই হঠাৎ করে যদি কেউ দাবি করে ফেসবুক হ্যাক হয়েছে সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তবে এটা সত্যি, ফেসবুক প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সেটিংসে পরিবর্তন আনে। আর এই পরিবর্তনের খবর তারা উপযুক্ত চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জানিয়েও দেয়। ফলে হঠাৎ করে কেউ যদি দাবি করে বসে, ফেসবুকের রং নীল থেকে লাল হয়ে যাচ্ছে কিংবা এই লিংকে ক্লিক করে ফেসবুকের রং সাদা কালো করা যায়, সেসব দাবি বিশ্বাস না করাই ভালো। আর বিশ্বাস করে সেসবে ক্লিক করলে দেখবেন, আপনাকে দিয়ে বিভিন্ন সার্ভে করানো হচ্ছে। এসব সার্ভের মাধ্যমে পয়সা আয় করে স্ক্যামাররা। আপনি পাবেন না কিছুই।

ভিডিও দেখলেই ক্লিক করবেন না

অনেক স্ক্যামার লোভনীয় ভিডিও-র কথা বলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। এসব ফাঁদে ক্লিক করলে আপনাকে ‘ফ্ল্যাশ প্লেয়ার’ বা ‘জাভাস্ক্রিপ্ট’ ডাউনলোড করতে বলা হবে। একবার ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করেছেন মানে ফাঁদে পড়েছেন। স্ক্যামাররা এভাবে ফাঁদ বসিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি চুরি এবং একইসঙ্গে আপনার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ফেসবুকে কোনো ভিডিও লিংক দেখলে প্রথমেই সেটির ডোমেইন নেম-এর দিকে তাকান। ইউটিউব ডটকম যদি ডোমেইন নেমে লেখা থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন লিংকটি নিরাপদ। কিন্তু অন্য কিছু থাকলে এবং সেটা যদি অপরিচিত হয়, তাহলে ক্লিক না করাই ভালো। এসব ভিডিও লিংকের সঙ্গে অনেক সময় একই ধরনের লোভনীয় বার্তা জুড়ে দেওয়া হয়। অনেকটা, ‘ও মাই গড, তুমি কি এই ভিডিওটি দেখেছে? আমি ভাবতেই পারছি না কেউ একজন এসব ক্যামেরায় ধারণ করতে পারে! ধরনের বার্তা৷ এগুলো স্প্যাম।

যদি আক্রান্ত হন তাহলে কি করবেন?

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি আসতে পারে। স্ক্যাম লিংকে ক্লিক করার পর যদি টের পান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই নীচে উল্লেখিত পন্থা অনুকরণ করুন:
টাইমলাইনে গিয়ে দ্রুত লিংকটি ডিলিট করুন।
  • ফেসবুক এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে থাকা আপনার প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
  • বিশেষ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ই-মেলের পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলান।
  • ফেসবুক বন্ধুদের জানান যে, আপনি ভুল করে একটি স্ক্যাম শেয়ার করেছেন।
এসব উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও নিরাপদ থাকতে মাঝে মাঝে ফেসবুকের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ এবং ‘একটিভ সেশন’ অপশন চেক করুন। কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলে ভালোভাবে যাচাই করুন।

পাসওয়ার্ড মুখস্ত এর ঝামেলা আর নয়  

 

ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় আমাদের পরিচয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়েবসাইটগুলোতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। এই পাসওয়ার্ডগুলো অনেক দীর্ঘ হয় এবং বিভিন্ন বর্ণ ও সংখ্যার মিশ্রণ থাকে।তাছাড়া নিরাপত্তার জন্য আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সবসময় ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি। এই পাসওয়ার্ডগুলো সবসময় টাইপ করার পাশাপাশি মনে রাখাটাও কষ্টকর ব্যাপার। মাঝেমাঝেই আমরা পাসওয়ার্ড ভুলে যাই। পাসওয়ার্ড রিকভারি নামে ঝামেলাপূর্ন একটা ব্যবস্থা থাকলেও সিকিউরিটি কোশ্চেন মনে না থাকলে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার সম্ভব হয় না। মোটকথা অনেক সময় অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য হারিয়ে যায়। তাই ইউজারদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে সার্চইঞ্জিন জায়ান্টখ্যাত গুগল কম্পানি পাসওয়ার্ড এর পরিবর্তে আইডি রিং নামে সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে। এই প্রযুক্তিতে পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে টোকেন ব্যবহার করে ইউজারকে সনাক্ত করা হবে। টোকেন হিসেবে স্মার্টফোন থেকে শুরু করে নারীর অলংকারও ব্যবহার হরা যাবে।

পথ চলতে পিপড়েরাও অংক কষে  

 

ঠিক আলোর মত করেই সবচে ছোট অর্থাৎ কম দূরত্বের পথ ব্যবহার না করে পিঁপড়েরাও সবচে দ্রুত অতিক্রমযোগ্য পথটাই ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে লাল পিঁপড়েরা(Wasmannia auropunctata) পথ চলার সময় কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে সেই হিসেব না করে হিসেব করে কোন পথে গেলে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে। এবং সেই পথেই তারা হাঁটে। বিজ্ঞানীরা বলছেন পিঁপড়েদের এই আচরণ পর্যবেক্ষণের ফলে আমাদের সামনে সামাজিক পোকামাকড় কিভাবে দলবদ্ধ হয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন করে থাকে সে ব্যাপারে জানার এক বিশাল জানালা খুলে গেল। 

অপটিকসে আলোর রশ্মি এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে পৌঁছাতে সবসময় এমন পথটাই বেঁছে নেয়, যে পথে গেলে সবচে কম সময় লাগবে; এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় এই বেঁছে নেয়া পথটিই সবচে কম দূরত্বের পথ নয়। আর আলোর চলার এই সূত্রটিকে আমরা "Fermat's principle of least time" হিসেবে জানি। এই যেমন ধরুন সমুদ্রে একজন মানুষ বিপদে পড়েছেন(মানে তিনি ডুবতে বসেছেন); এখন আপনি তাকে বাঁচাতে চান। কি করবেন? ঐ ব্যক্তির দিকে সরলরেখায় সাতার শুরু করবেন? জেনে রাখুন এই পথের চেয়ে বেশ দ্রুত আপনি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন যদি প্রথমে সোজা সমুদ্রের দিকে কিছুক্ষণ সাঁতরে(মানে কিছুটা গভীর সমুদ্রে গিয়ে) তারপর ডানে বা বামে থাকা লোকটির দিকে সাঁতরানো শুরু করেন। 

গবেষকরা একটি লাল পিঁপড়ের কলোনিকে কেন্দ্র করে এই গবেষণাটি করেন। একটি কলোনিতে কয়েক হাজার শ্রমিক পিঁপড়ে এবং কয়েকটি মাত্র রাণী পিঁপড়ে থাকে। কলোনিটির বিপরীত পাশে গবেষকরা কিছু মৃত তেলাপোকা ফেলে তার সামনে কাঁচ, নরম বস্তু, এবং এবড়োথেবড়ো বস্তু ফেলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। মানে খাবার পেতে হলে তাঁদেরকে ঐ প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ডিঙিয়ে যেতে হবে। আমরা জানি এই তিনটি বস্তুর মধ্যে কাঁচের উপর দিয়েই পিঁপড়ে সবচে দ্রুত চলাচল করতে পারে। কিন্তু দেখা গেল তারা সরাসরি সোজাসুজি কাঁচের উপর দিয়ে না গিয়ে কিছুটা কোনাকুনিভাবে নরম বস্তুর তৈরি প্রতিবন্ধকের উপর দিয়ে সবচে কম সময় ব্যবহার করে খাদ্যের কাছে পৌঁছে গেছে। 

গবেষকরা বলছেন এটি জীবের দ্বারা Fermat's principle of light’এর প্রয়োগ। গবেষক দলের প্রধান জার্মানির রিজেন্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন অটলার বলেন, “আমরা বুঝতে পেরেছি যে ডাইনামিক সিস্টেমে যে সাধারণ সূত্রগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো আসলে পুরোপুরিভাবে যোগাযোগ এবং সামাজিক পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল।”
তবে কম দূরত্বের ক্ষেত্রে পিঁপড়েরা সবসময় এই পদ্ধতি প্রয়োগে সবসময় সফল হয় না। 

তথ্যসূত্রঃ লাইভ সায়েন্স ডট কম

টেক নিউজ  

#১ . থ্রিডি স্মার্ট ফোন  

থ্রিডি সিনেমা, থ্রিডি টেলিভিশন, থ্রিডি কম্পিটার মনিটরের পর অবশেষে ত্রিমাত্রিক জগতে পা রাখতে যাচ্ছে বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ডিভাইস মোবাইল ফোন। আর সর্বপ্রথম ত্রিমাত্রিক মোবাইল ফোনের নির্মাতা হতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড আমাজন। 

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের এক কথা জানানো হচ্ছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, খুব শিঘ্রিই আমাজন ত্রিমাত্রিক স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের আরো বলা হয়েছে, এই স্মার্টফোনে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখার জন্য বিশেষ চশমারও দরকার হবে না! ব্যবহারকারী চোখের ইশারায় একে চালাতে পারবেন। 

পারমানবিক বিদ্যুৎ  ও  বাংলাদেশ   


পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তাও আবার আমাদের দেশে!! অনেকটা স্বপ্ন এর মত তাই নয় কি? বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশগুলোর অহংকার এসব পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। গত ২রা নভেম্বর ২০১১ তারিখে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রি ইয়াফেস ওসমান ও রাশিয়ার পক্ষে রাশিয়ার আণবিক শক্তি সংস্থা (ROSATAM) এর মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েস্কো স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার ROSATAM বাংলাদেশের ঈশ্বরদীর রূপপুরে ১০০০ মেগাওয়াটের তাদেররই অর্থায়নে অর্থ্যাৎ ঋণ সুবিধার মাধ্যমে ২টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে দিবে। যার কাজ ২০১৪ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সাল নাগাদ শেষ হবার কথা রয়েছে এবং ২০১৮ সালেই অন্তত ১টি পারমাণবিক কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াট যা ২০১৮ সাল নাগাদ ২০০০ মেগাওয়াটে গিয়ে পৌছাবে,যার পুরো চাহিদাই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়ে মেটানো সম্ভব । এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ব্যয় হিসাবে ধরা হয়েছে ১.৫ – ২.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল রাখতে প্রয়োজন হবে আড়াই থেকে তিন হাজার সুদক্ষ জনশক্তি ।
আমি এখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কি, কিভাবে এর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয়, পরিচালনা, নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সুবিধা – অসুবিধা ,ঝুঁকি সহ আমাদের দেশে এই প্রযুক্তি পরিচালনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করব। 

শনিবার, ২৫ মে, ২০১৩


কাজী নজরুল ইসলাম-এর কবিতা  

 

মানুষ  

কাজী নজরুল ইসলাম  
গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে, সল কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
‘পূজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুদার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!’
স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুদায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি তো সাত দিন!’
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুদার মানিক জ্বলে!
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’


মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি!
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে ‘বাবা, আমি ভুকা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল মোল্লা - “ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – তা’ হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুদার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!” 

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৩

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম -এর ১১৪তম জন্মদিন  

 

এই মহান কবির সরণে কিছু বই এর লিঙ্ক - 


 মহাকর্ষ তরঙ্গের সন্ধানে - নিউটন বনাম আইনস্টাইন 

 

মহমতি আহজ্যাক নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কারের গালগল্পটা সবরাই কম বেশি জানা। আপেল পড়ার গল্পটার কথা বলছি। অনেকেই শুধু জানেই না বিশ্বাসও করে। আসলে এ গল্পের সত্যতা নেই। তখন লন্ডনে প্লেগ রোগ মহামরী আকার ধারণ করেছে। নিউটন প্লেগের হাত থেকে বাঁচতে লন্ডন ছেড়ে এক পাড়াগাঁয়ে গিয়ে উঠেছিলেন। সেখানেই তাঁর মাথায় মহাকর্ষ সুত্রটা আসে। ১৬৮৭ সালে তাঁর প্রিন্সিপিয়া অব ম্যাথমেটিকা বইটি প্রকাশ হয়। আর তাতেই সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বল বা সুত্র জনসম্মুখে আসে। প্রায় তিন দশক নিউটন সেটা লোকচক্ষুর আড়াল করে রেখেছেলিনে। কেন রেখেছিলেন, সে কারণটা এখানে আলোচ্য নয়। 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্য: শেষ কোথায় ?  


যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, বাহামা দ্বীপ এবং ক্যরিবীয়ান দ্বীপ এই তিনটি স্থানকে নিয়ে যে ত্রিভুজাকার এলাকা পাওয়া যায় সেটাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এর রহস্যময়তার জন্য সবার কাছেই কম বেশী পরিচিত। যেসব রহস্যময় ঘটনা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে ঘিরে শোনা যায় সেগুলো হল:

১. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে প্রায়শ:ই নৌযান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিশ্চিন্থ হয়ে যায়।\
২. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের উপর দিয়ে বিমান উড়ে গেলে তার আর হদিস পাওয়া যায় না।
৩. এই এলাকায় কম্পাসের কাঁটা এলোমেলো দিক নির্দেশনা দেয়।
৪. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে যেসব মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন তাদের সাথে শেষবার যোগাযোগের সময় অদ্ভুৎ আচরন করেছেন বা কথাবার্তা বলেছেন এবং অতঃপর সম্পূর্ণ নিশ্চিন্থ হয়ে গেছেন।
৫. মাঝে মাঝে সময় এবং অবস্থান উল্টা-পাল্টা হয়ে যায়। একজন পাইলট নাকি আকস্মিকভাবে দুই ঘন্টার পথ চোখের নিমেষে পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন।

প্রথমবার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে অস্বাভাবিকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা উপলব্ধি করা হয় ১৯৫০ সালের ১৬ ই সেপ্টেম্বর। এর দুই বছর পর আবারো fate নামের একটি ম্যাগাজিনে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অস্বাভাবিক দুর্ঘটনা নিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখা হয়। সেখানে ট্রায়াঙ্গেল এলাকায় নিখোজ হওয়া বেশ কিছু বিমান ও জাহাজের উল্লেখ করা হয়। সেখানে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ইউএস নেভীর প্রশিক্ষণ বিমানের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বর্ণনা ছিল। রেডিওতে পাইলটদের সাথে যোগাযোগের সময় তাদের কথাবার্তা বেশ রহস্যময় মনে হয়েছে। তারা নাকি বলছিলেন: “সাদা পানিতে ডুবে যাচ্ছি।” একটু পরেই বলতে শোনা গেলো “সবুজ পানিতে ডুবে যাচ্ছি।” তার কিছুক্ষণ পরে বলছিলেন “মঙ্গলে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” মূলত এই প্রবন্ধটিই প্রথম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের দুর্ঘটনা অলৌকিক হিসেবে বর্ণনা করে।

১৯৬৪ সালে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের দুর্ঘটনাগুলোর রহস্যময়তা বর্ণনা করে প্রথমবারের মত বই লেখা হয়। যার নাম Invisible Horizones. বইটির লেখক ছিলেন Vincent Gaddis. এর পরে বারমুডাকে নিয়ে একের পর এক বই লেখা হতে থাকে। কেউ বলেন: বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বিমান ও জাহাজগুলো মহাজাগতিক জীবের আক্রমনের শিকার। কেউ আবার বলেন প্রাচীন লেখকদের লেখায় যে ‘আটলান্টিস’ নামক শহরের বর্ণনা পাওয়া যায় সেই শহরটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ভিতরেই কোথাও ডুবে আছে। সেই শহরেরই কোন প্রযুক্তিগত প্রভাবে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। আরেকজন বললেন যেহেতু কম্পাস ঠিকমত পাঠ দেয় না, তারমানে বারমুডার কোথাও শক্তিশালী কোন চুম্বক আছে। যার প্রবল আকর্ষণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে। কেউ কেউ আবার এর মধ্যে ওয়ার্ম হোলের অস্তিত্ব আবিষ্কার করলেন। কেউ এর মধ্যে স্থান-কালের বক্রতাও টেনে নিয়ে এলেন। এই সবগুলো বই লেখা হয়েছিল ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ এর মধ্যে।

এরপর ১৯৭৫ সালে লরেঞ্জ ডেভিড কুশে নামের এক লাইব্রেরিয়ান কয়েকবছরের সংবাদ পত্র ঘেটে এবং সব দুর্ঘটনার খবর অনুসন্ধান করে The Bermuda Triangle Mystery: Solved নামের একটি বই লিখলেন এবং দেখিয়ে দিলেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের নামে যত রহস্যময়তা এবং তত্ত্ব বর্ণনা করা হয়েছে তার সবই হয় অতিরঞ্জিত, সন্দেহমূলক কিংবা প্রমাণহীন। কুশের গবেষণা দেখিয়ে দিল যে অধিকাংশ ঘটনার বর্ণনা, সক্ষীর বর্ণনা, পর্যবেক্ষকদের বর্ণনা সামঞ্জস্যহীন। তিনি দেখলেন আগে যে ঘটনাগুলোকে সম্পূর্ন নিখোঁজ বলা হয়েছিলো সেগুলোর বর্ণনাও পত্র-পত্রিকায় পাওয়া যাচ্ছে। এবং তিনি আরো দেখতে পেলেন যে অনেক ঘটনাই ঘটেছে এই এলাকার বাইরে যেগুলোকে ইতিপূর্বে এই এলাকার সাথে সম্পৃক্ত দেখানো হয়েছে। তার গবেষনা ছিলো অত্যন্ত সরল প্রকৃতির এবং তিনি পত্রপত্রিকা ঘেটেই বারমুডা রহস্য উদঘাটন করেন। পরিশেষে তিনি এই উপসংহারে আসেন যে,

১. দুঘটনা কবলিত জাহাজ এবং উড়োজাহাজের সংখ্যা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয়েছিল।

২. এটা এমন একটি এলাকা যেখানে প্রতিনিয়ত মৌসুমী ঝড় বহমান। এবং ঝড়ের সাথে দুর্ঘটনার সংখ্যা তুলনা করলে সেটা যথেষ্ট বাস্তব-সম্মত মনে হয়।

৩. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ত নৌ-পথ। ব্যস্ততা তুলনা করলে এখানে ঘটা দুর্ঘটনার সংখ্যা সমুদ্রের অন্যান্য এলাকায় ঘটা দুর্ঘটনার সাথে সমতুল্য।

৪. ব্যস্ত নৌপথ হওয়ায় এখানে প্রচুর জলদস্যুর আনাগোনা ছিল। এরা সাধারণত ছোটখাটো জাহাজে লুটপাট চালিয়ে সেগুলোকে ডুবিয়ে দিত।

৫. অনেকসময় খবর আংশিকভাবে প্রকাশ করা হত। কোন জাহাজ বা প্লেনের নিখোঁজ হওযার খবর প্রচার হত। কিন্তু ফিরে আসার খবর প্রচার হত না।

কুশের বইটি প্রকাশের পর সবার টনক নড়ে এবং আরো যা পাওয়া যায়:

৬. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকায় প্রচুর সাবমেরিন মোতায়েন হয়। এদের আক্রমনে যেসব জাহাজ ও প্লেন ডুবি হত সেগুলো সামরিক কর্তৃপক্ষ গোপন রাখত।

৭. এই এলাকার নীচ থেকে প্রচুর মিথেন গ্যাস নির্গত হয় যা পানির সাথে মিশে হাইড্রেটেড মিথেন তৈরি করে। এই হাইড্রেটেড মিথেন বেশ হালকা। একারনে কিছু কিছু ভারী জাহাজ পানিতে ডুবে যায়।

৮. মেক্সিকান উপসাগরীয় প্রবল স্রোতে(এই স্রোতটি অনেকটা নদীর মত) অনেক দুর্ঘটনা কবলিত যান দুরে ভেসে যায়।

৯. কম্পাসের ব্যপারে তথ্য হল পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানেই কম্পাসের বিক্ষেপের ভিন্নতা দেখা যায় যেহেতু পৃথিবীর ভৌগলিক মেরু এবং চৌম্বকীয় মেরু এক নয়। খুব অল্প কিছু যায়গায় অবস্থানকালে একই দুই মেরু একই দিকে থাকে এবং কম্পাস সঠিক দিক নির্দেশ করে। অন্যত্র কম্পাস চৌম্বকমেরুর দিক নির্দেশ করে।

১০. মানুষের ভুলেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ইউএস নেভীর তথ্য থেকে জানা যায়।

এসবের বাইরেও কথা আছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যময়তার সুযোগে কিছু কিছু কোম্পানী তাদের অপেক্ষাকৃত পুরোনো জাহাজ বা বিমানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ডুবিয়ে দিয়ে বীমার টাকা আদায় করত বলেও শোনা যায়।

‘সংসদ ভেঙে গেলেও ২০২১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন হাসিনা’ 



গামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট দিন দিন জটিল হচ্ছে। এর মধ্যে আরেকটি জটিল ও সাংবিধানিক সমস্যা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হস্তান্তর ও মেয়াদ নিয়ে। কারণ বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে গেলেও প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে ৩-৪ বছর বা ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতায় দিয়েছে। সংসদের মেয়াদ শেষে সংসদ সদস্যরা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা নিয়োগ করে ওই সময়ে সরকার পরিচালনা করতে পারবেন এবং ক্ষমতায় তার ইচ্ছা অনুযায়ী থাকতে পারবেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক গতকাল এ তথ্য দেন।
এদিকে বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, আইন বলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীনও সময়ে থাকবেন। বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর দাবি— তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকার বলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা। এখন সবকিছুই আলোচনার ওপর নির্ভর করছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে কি না, ওই সময়ে কী ধরনের সরকার থাকবে তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীই বহাল থাকবেন। এই বিষয়ে কোনও রীতি এখনও গড়ে ওঠেনি। সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। যেমন রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার, স্পিকার না থাকলে ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টিও সমাধান করা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকে না। প্রধান বিচারপতি বিদেশ সফরে গেলে অস্থায়ী প্রধানবিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। তাই পদ শূন্য থাকে না।
ড.তুহিন মালিক বলেন, সংবিধানের ৫৭ এর ৩ ধারার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে রয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ তিনি বলেন, এই ধারা অনুযায়ী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহাল থাকবেন।
ড. তুহিন মালিক আরও বলেন, ৩ মাস আগে সংসদ সদস্যরা চলে গেলেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে কেউ যদি সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের করেন, তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারবেন না নির্বাচন কমিশন। কারণ, এই জটিলতার কারণে নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থিতাবস্থা আসতে পারে। এমন অচলাবস্থা তৈরি হয় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। ডিসিসি’র মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
তুহিন মালিক বলেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি সংসদের মেয়াদ শেষ হলে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রী যেহেতু থাকবেন, তিনি প্রশাসকের ন্যায় ওই সময়ে ১০-১৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত থাকবেন। সেক্ষেত্রে সংসদ না থাকায় মন্ত্রী-এমপি থাকবেন না। এভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই ৩-৪ বছর নির্বাহী ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আদালতের শরণাপন্ন হলে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ হিসেবে তা আদালতের বৈধতা পেতে পারে। ওয়ান ইলেভেনের সরকারও সেইভাবে বৈধতা পেয়েছে। পৃথিবীর কোনও দেশে এই বিধান নেই যে, সরকার বহাল রেখেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে সেই বিধান রাখা হয়েছে। সংবিধানের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বতীকালীন সরকারের কথা নেই।
তুহিন মালিক আরও বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) ধারায় উল্লেখ আছে, সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে, (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে।’ যা একটি বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোনও দেশেই এই পদ্ধতি নেই। অন্যদিকে (খ) অনুচ্ছেদে আছে— ‘মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনও কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে, তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’
ড. তুহিন মালিক যথাসময়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। ডিসি, এসপি, ইউএনও সরকারের অধীন। সব স্তরে বর্তমান সরকারের জনবল রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও তাদের নির্দেশনায় চলছে। তাই নির্বাচনের সময় সরকারের পক্ষপাত থাকবেই। অন্যদিকে অন্য কোনও দল নির্বাচনে জয়ী হলেও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা না ছাড়লে করার কিছু থাকবে না, যদি না তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তাই সংলাপই বড় সুরাহা। এবং তা এখনই।

বুধবার, ২২ মে, ২০১৩


বামপন্থীদের জালে আটকে গেছে আওয়ামিলীগ  

 

দেশের বামপন্থীরা এখন আওয়ামী লীগের চাটুকারিতা এবং লেজুড়বৃত্তিতে ব্যস্ত। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ১৪ দলের নেতাদের পাশাপাশি এই লেজুড়বৃত্তিতে যোগ দিয়েছেন জোটের বাইরের বাম দলগুলোর নেতারাও। অন্যদিকে বামপন্থীদের একটি বড় অংশ সরাসরি আওয়ামী লীগে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন শেখ হাসিনার বিগত শাসনামলকে ‘দুঃশাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি সেই আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের একজন অংশীদার এবং তিনি এখন বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের ‘আম’ আর ‘ছালা’ রক্ষায় ব্যস্ত। নিজ দল ওয়ার্কার্স পার্টির কথা তার মুখে এখন আর বড় বেশি শোনা যায় না। আওয়ামী লীগের চাটুকারিতায় পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন মহাজোটের আরেক শরিক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। স্বাধীনতা-পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার উত্খাতে গঠিত গণবাহিনীর প্রধান ছিলেন এই হাসানুল হক ইনু। আর গত মঙ্গলবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত সবাইকে ধানের শীষ বাক্সবন্দি করে নৌকা আরও সচল করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভাবখানা এমন যে, তার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার আর নেই। তিনি যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি এবং তাদের দলীয় প্রতীক যে ‘মশাল’—এ কথাটি এখন হয়তো ভুলেই গেছেন। মহাজোটের আরেক শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার কথা বলাই বাহুল্য। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল দিলীপ বড়ুয়ার সাম্যবাদী দল। সেই দিলীপ বড়ুয়া এখন অবিরাম গেয়ে চলেছেন ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘শেখ হাসিনা’র গুণগান।
তবে নানারকম চাটুকারিতা ও লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমের সুকৌশলে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে মহাজোটের বাইরের বামপন্থী, মহাজোটবদ্ধ বামপন্থী এবং আওয়ামী লীগ দলীয় বামরা তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির নাস্তিক্যবাদী এবং অশ্লীলতাবাদী দর্শন গোটা দেশ ও জাতির কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে এবং আওয়ামী লীগকে গ্রাস করছে। কমিউনিস্ট ভূতদের জন্যই সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহপাকের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বাক্যাবলী উঠে গেছে। বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষানীতিকে সম্পূর্ণ পবিত্র দীনইসলামবিরোধী করেছেন। বামপন্থীদের কারণে দেশে পবিত্র দীনইসলামবিরোধী সংস্কৃতি আধিপত্য লাভ করেছে। বর্তমানে দেশের সার্বিক রাজনীতিতে যে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এর জন্যও দায়ী আওয়ামী লীগের চালিকাশক্তি কমিউনিস্টরা। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী শ্রতিশ্রুতি ছিল—‘পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’। মহাজোট মন্ত্রিসভায় বাম নেতাদেরই আধিক্য দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোও তাদের কব্জায়। বামপন্থীদের ভাষায় ‘কক্ষচ্যুত’ সাবেক বাম নেতারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও শরীর থেকে ‘বামপন্থী’ খোলস খসাতে পারেননি। এসব নেতা এখনও আওয়ামী লীগের মূলস্রোতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাকার হতে পারেননি।
শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বামপন্থীরা হলেন—আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, দফতরবিহীন মন্ত্রী (সাবেক রেলমন্ত্রী) সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম. রুুহুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, পূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিসহ আরও ক’জন মন্ত্রী ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেও শোনা যায়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক সময়ের বামপন্থী আবুল মাল আবদুল মুহিত এখন মহাজোট সরকারের অর্থমন্ত্রী। কর্মজীবনে তিনি বিদেশে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করলেও সামরিক স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে তিনি পুনরায় রাজনীতিতে ফিরে আসেন এবং এরশাদের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। সামরিক স্বৈরাচারী এরশাদের মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়ের পর আবার বিদেশ চলে যান। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর আওয়ামী লীগে যোগদান করে নবম জাতীয় সংসদে সিলেট-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ আবুল মাল আবদুল মুহিত মহাজোট সরকারের অর্থমন্ত্রী হন। অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর তিনি শেয়ারবাজারকে ‘ফটকাবাজার’ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ‘ফড়িয়া’ হিসেবে অভিহিত করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার যখন প্রচণ্ড চাপের মুখে, তখন অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি ‘চার হাজার কোটি টাকা’ কোনো টাকাই নয় বলে মন্তব্য করেন। পদ্মা সেতু নিয়ে একেক সময় একেক ধরনের কথা বললেও ঢাকায় অবস্থানরত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধির একটি মন্তব্যকে ‘ফোপড় দালালি’ হিসেবে অভিহিত করে সমালোচনার ঝড় তোলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : ন্যাপের সুরঞ্জিত হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বর্তমান সরকারের দফতরবিহীন মন্ত্রী (সাবেক রেলমন্ত্রী)। ’৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি গণতন্ত্রী পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ’৯৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলেও বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। অতঃপর তাকে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত তখন সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে সংসদীয় বিশেষ কমিটির প্রো-চেয়ারম্যান ছিলেন। তার আগে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের শেষদিকে মন্ত্রী হয়ে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ঘোষণা দেন তিনি রেলের ‘কালো বিড়াল’ ধরবেন। কালো বিড়াল রেলে বাসা বেঁধে থাকায় দুর্নীতি হচ্ছে এবং রেল ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে। ঘোষণার ৫ মাস পর ৯ এপ্রিল পিলখানা এলাকায় মধ্যরাতে ৭০ লাখ টাকাসহ সুরঞ্জিতের পিএস ফারুক ধরা পড়েন বিজিবির হাতে। ঘটনার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বর্তমানে তিনি দলের মধ্যে ‘চোর দাদা’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু তাতে তিনি দমে যাননি। দলের পক্ষে অবিরাম চাটুকারী করে যাচ্ছেন।
দিলীপ বড়ুয়া : প্রথম জীবনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল বর্তমান শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার। আর পরবর্তীকালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পেয়েছিলেন ২৫২টি ভোট। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক চীনপন্থী দিলীপ বড়ুয়াকে এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে অন্যরা যখন মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত, তখন দিলীপ বড়ুয়া নীরব ছিলেন। নির্বাচনে মহাজোটের বিজয়ের পর তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। দিলীপ বড়ুয়ার সাম্যবাদী দল বাংলাদেশের স্থপতি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যাকে স্বাগত জানিয়েছিল। জেনারেল জিয়াকে সমর্থন দিয়ে দিলীপ বড়ুয়ার নেতা মোহাম্মদ তোয়াহাও এমপি হয়েছিলেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ : ’৭০-এর দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ’৯০ দশকের প্রথমার্ধে ইলিয়েত্ সিনের পেরেসত্রোইকা গ্লাসনস্ত থিউরি কার্যকরের সময় বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট পতনের ঢেউ ওঠে। সে ঢেউ এ জনপদে এসে পৌঁছলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও (সিপিবি) বিভক্ত হয়ে পড়ে। সে সঙ্কটের মুখে সিপিবি কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। একেকজন একেক দলে গেলেও সিপিবি’র তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ আওয়ামী লীগে ঠাঁই নেন। আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ ’৯৬ সালের নির্বাচনে এমপি হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলেও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মহাজোট সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে সরকারি পিএস-এপিএসও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী বলে জানা যায়— সবকিছুতেই তিনি ছাত্র ইউনিয়ন খোঁজেন । মহাজোট সরকারের ‘সফল’ মন্ত্রীদের তালিকায় সবার আগে তার নাম রয়েছে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী : আওয়ামী লীগ বিরোধী বক্তব্যের কারণে মতিয়া চৌধুরী এক সময় অগ্নিকন্যা নামে খ্যাতি লাভ করেন। এক সময় ‘শেখ মুজিবুর রহমানের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানানোর’ স্লোগান দিয়ে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। ন্যাপ নেত্রী মতিয়া আওয়ামী লীগের বাইরে কখনোই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝুঁকি নেননি। নৌকায় চড়ার কারণেই তিনি এমপি-মন্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, বামদের রাজত্ব কায়েমে তার পুরনো সহকর্মী মিত্রদের আওয়ামী লীগে ও সরকারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান পাইয়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি। মতিয়া চৌধুরী বর্তমানে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সরকারের কৃষিমন্ত্রী। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুর রাজ্জাকের হাত ধরে আওয়ামী লীগে প্রবেশের পর রাতারাতি শেখ হাসিনা বন্দনায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। পাশাপাশি বাম ধারা থেকে কক্ষচ্যুত নেতাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। আর ওয়ান-ইলেভেন সংঘটিত হলে এই মতিয়াই শেখ হাসিনার অবর্তমানে বিশেষ মহলের ইন্ধনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাসানুল হক ইনু : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে জাসদ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি জাসদে যোগ দেন। ওই সময় মুজিব সরকার উত্খাতে গঠিত গণবাহিনীর প্রধান ছিলেন হাসানুল হক ইনু। দীর্ঘদিন জাসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করার পর গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় চড়ে এমপি হয়েছেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর সরকারের বাইরে থাকলেও তিনি সরকারের শেষ সময়ে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি মহাজোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ : ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত। ১/১১ পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মামলাগুলো আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মামলা পরিচালনার পুরস্কার হিসেবে তাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। তারই কারণে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি’ ইস্যুর সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের রায়ের পর সরকার সংবিধান সংশোধনের জন্য যে কমিটি গঠন করে— ওই কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, আইন বিশেষজ্ঞ এবং প্রবীণ আইনজীবীদের সঙ্গে সংলাপ করেন। সবাই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার ব্যাপারে অভিমত দেন। সেভাবেই ওই কমিটি একটি প্রস্তাবনা রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু হঠাত্ করে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার জন্য সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাদ দিয়ে বর্তমান বিতর্কের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
আ ফ ম রুহুল হক : ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক সরকারি চাকরি করতেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর নিজেই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও ১/১১ পর তার ভাগ্য খুলে যায়। আওয়ামী লীগের নমিনেশন পেয়ে সাতক্ষীরা থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিসভায় যোগ দেন।
শাজাহান খান : এক সময়ে ছাত্রলীগ করলেও শ্রমিক নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত শাজাহান খান। শেখ মুজিবুর রহমানে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার মাধ্যমে জাসদ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি জাসদে যোদ দেন। রাজনীতির কারণে নিজের বাবার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়া শাজাহান খান দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় দলীয় নমিনেশন পেতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপিতে যোগদানের জন্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে পথ থেকেই আওয়ামী লীগের এক নেতা তাকে ফিরিয়ে এনে দলীয় নমিনেশন দেন। তারপর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে এমপি হওয়ার পর মহাজোট সরকারের শাসনামলের প্রথম দুই বছর সরকারের বাইরে ছিলেন। তারপর মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তোলেন। মন্ত্রী হয়েও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের মতো আচরণ করেন। তিনি দুর্ঘটনা ঠেকাতে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাসের ড্রাইভারদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সমালোচিত হন। গত দুই বছরে তিনি অপ্রীতিকর কথাবার্তার কারণে সমালোচিত হন। সম্প্রতি টেলিভিশনের লাইভ শোতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার চোখ তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলেন। বর্তমানে তিনি মহাজোট সরকারের নৌমন্ত্রী।
অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান : স্বাধীনতা-উত্তর ছাত্র ইউনিয়নের আরেক সভাপতি আবদুল মান্নান খান বর্তমানে সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক। বাম নেতা হিসেবে পরিচিত আবদুল মান্নান আওয়ামী লীগে যোগদান করে দীর্ঘদিন দলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ’৯০ এর পর প্রতিটি নির্বাচনে পরাজিত হলেও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন।
ইফাফেস ওসমান : প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ইয়াফেস ওসমান বর্তমান সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী । পেশায় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান একজন ছড়াকার। তিনি মরহুম সাহিত্যিক শওকত ওসমানের ছেলে।
নূহ উল আলম লেনিন : স্বাধীনতা-উত্তর ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূহ উল আলম লেনিন বর্তমানে আওয়ামী লীগে প্রেসিডিয়াম সদস্য। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হওয়ার পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ছিলেন। দলীয় নমিনেশন না পেলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার জমিদার যদুনাথ রায়ের ভাগ্যকূল, রাঢ়িখাল ও শ্যামসিদ্ধ ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ জমি দখল করেন বলে তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হলেও আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় কাউন্সিলে তিনি প্রেসিডিয়ামের সদস্য নির্বাচিত হন।