Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৩

টেক নিউজ  

#১ . থ্রিডি স্মার্ট ফোন  

থ্রিডি সিনেমা, থ্রিডি টেলিভিশন, থ্রিডি কম্পিটার মনিটরের পর অবশেষে ত্রিমাত্রিক জগতে পা রাখতে যাচ্ছে বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ডিভাইস মোবাইল ফোন। আর সর্বপ্রথম ত্রিমাত্রিক মোবাইল ফোনের নির্মাতা হতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড আমাজন। 

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের এক কথা জানানো হচ্ছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, খুব শিঘ্রিই আমাজন ত্রিমাত্রিক স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের আরো বলা হয়েছে, এই স্মার্টফোনে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখার জন্য বিশেষ চশমারও দরকার হবে না! ব্যবহারকারী চোখের ইশারায় একে চালাতে পারবেন। 

 

# ২ . এক কিলোমিটার দূর থেকে  থ্রীডি ছবি  

হেরিওট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে লেজার ব্যবহার করে প্রায় সব বস্তুকেই স্ক্যান করা যায়। স্পষ্ট করে বললে দাঁড়ায়, তারা এমন একটি ক্যামেরা আবিষ্কার করেছেন যেটি ১ কিলোমিটার(০.৬২ মাইল) দূরে অবস্থিত বস্তুরও থ্রিডি ছবি তৈরি করতে পারে। 

গবেষকরা বলছেন ক্যামেরাটির রেঞ্জ ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এটি বিভিন্ন যানবাহন স্ক্যান করতে পারলেও মানুষের চামড়া শনাক্ত করতে পারে না। কারণ হল অন্যান্য বস্তুর মত মানুষের চামড়া আলোকে প্রতিফলিত করে না। কাজেই যারা এই ক্যামেরার দৃষ্টি এড়াতে চান, তারা কিছুটা চেষ্টা করলেই সফল হবেন। তবে খালি গায়ে থাকলে ক্যামেরাটি ভুল করবে না। বিভিন্ন বস্তুর ছবি তোলা ছাড়াও পাথরের স্খলন, পাহাড় ধসের সম্ভাবনা যাচাইয়ে এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা সম্ভব। 

নির্ধারিত বস্তুটির উপর লেজার ফেলা এবং সেটি থেকে ডিটেক্টরে আলো ফিরে আসার জন্যে প্রয়োজনীয় সময় হিসেব করে ক্যামেরাটি কাজ করে। ১ মিলিমিটার আয়তনের একটি বস্তুরও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবে এটি। গবেষকরা বলছেন ইমেজ-প্রসেসিং সফটওয়্যারের আধুনিকায়নের মাধ্যমে কোন গতিশীল বস্তুর গতি এবং দিকও নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা সম্ভব। 

হেরিওট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আওঙ্গুস ম্যাককারথি বলেন, “আমাদের এই প্রযুক্তি খুব কম শক্তি ব্যবহার করে বেশ দূরে অবস্থিত বস্তুকে চিহ্নিত করার মাইলফলক স্পর্শ করল।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মানছি যে আমাদেরকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। তবে পাশাপাশি আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি আপনাদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়ার ব্যপারেও আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।” 

 # ৩ . আসছে জীবিত কম্পিউটার 

“কম্পিউটার প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডিএনএ ট্রানজিস্টর”
কখনও কি শুনেছেন, জীবিত কোষ থেকে কম্পিউটার তৈরী করা যায়? সম্প্রতি দুটি রিসার্চার গ্রুপ পৃথকভাবে সর্বপ্রথম ট্রানজিস্টরের বয়োলজিক্যাল অ্যানালগ তৈরী করতে সক্ষম হন- যা আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্সের ভাষায় এক অতি প্রয়োজনীয় ইন্টিগ্রাল উপাদান। এটি সজীব কোষ হতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ (যেমনঃ বায়োসেন্সর, যা দূষিত পানি সনাক্ত করতে পারে) সৃষ্টির পথকে আরও সহজ করেছে।
ট্রানজিস্টর সাধারণত কাজ করে একটি সুইচ হিসেবে যা লজিক গেটের মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল ইনপুটগুলোকে আউটপুট সিগন্যালে রূপান্তরিত করে। সম্প্রতি, ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ড্রিউ এন্ডি’ ও তার কলিগেরা ট্রানজিস্টরের মত নতুন এক প্রকার ডিভাইসের পরিকল্পনা করেছেন। ইহা এমনভাবে একটি ডিএনএ এর পাশাপাশি আরএনএ পলিমারেজ নামক এক প্রকার এনজাইমের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যেমনিভাবে ইলেকট্রিক্যাল ট্রানজিস্টর একটি সার্কিটের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

একটি ভিন্নধর্মী এনজাইম ইনপুট হিসেবে কাজ করে, যা পলিমারেজ এর প্রবাহকে বন্ধ করতে পারে আবার চালুও করতে পারে। এটি মূলত লজিক গেটের ধারবাহিকতার উপর নির্ভরশীল। সার্কিটের অন্যান্য উপাদানসমূহকে শক্তি সরবরাহের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি পলিমারেজের প্রবাহকে বিবর্ধিতও করতে পারে, যা ট্রানজিস্টরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন। এমনকি সমন্বিত ট্রানজিস্টরগুলো বিভিন্ন হিসাব সম্পাদন করতে পারে, যা ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল সার্কিটের সাহায্যে লিভিং গেজেট তৈরির পথকে সম্ভব করে দিয়েছে।

অপরদিকে , Massachusetts Institute Of Technology এর Timothy Lu এবং তার সহকর্মীরা অনুরূপ আরেকটি ডিভাইস আবিষ্কার করেন। কিন্তু, বিবর্ধন ক্ষমতা থাকার কারণে এন্ডির ডিভাইসটি ব্যাপকভাবে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। এই গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন একজন, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘পল ফ্রিমোন্ট’ বলেন, এই ডিভাইসগুলো হবে কোষীয় যন্ত্রের মূল গাঠনিক বস্তু। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রিমোন্ট বলেন, ব্যাক্টেরিয়াল কোষ প্যাথোজেন ও রাসায়নিক দ্রব্য যেমনঃ ভারী ধাতুসমূহ সনাক্তকরনের জন্য উত্তম। সম্প্রতি, নতুনভাবে এমন আরেকটি সার্কিটের পরিকল্পনা করা হয় যার গুণগত মান কৃত্রিমভাবে ব্যাক্টেরিয়া ব্যাবহারের মাধ্যমে রক্ষা করা সম্ভব এবং এর সাহায্যে আমরা স্বল্প ব্যায়ে, স্বল্প সময়ে বায়োসেন্সর উৎপাদন করতে পারি, যা আমাদের সর্বোচ্চ গুনগত মানের নিশ্চয়তা দেয়। তিনি আরও বলেন, “ইলেকট্রনিকসে ফাউন্ডেশনাল উপাদানগুলো যে কাজ করে, সুবিন্যাস্তভাবে সজ্জিত ডিভাইসগুলোও সেই একই ভূমিকা পালন করবে”।

এন্ডির মতে, বর্তমানে এই তত্ত্বের ধারণা কেবলমাত্র আমাদের কল্পনার গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা পাবো অভ্যন্তরীন বায়োলজিক্যাল সার্কিট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এমন সব স্বয়ংক্রিয় ব্রীজ বা দালান, যা এর নিজস্ব গাঠনিক উপাদানের মাধ্যমে নিজে নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্মান হতে পারবে অথবা ডিএনএ-কম্পিউটার সম্বলিত অতিক্ষুদ্র মেডিক্যাল সাবমেরিন, যা চালিত হবে আমাদের দেহের অভ্যন্তরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন