Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৩

পথ চলতে পিপড়েরাও অংক কষে  

 

ঠিক আলোর মত করেই সবচে ছোট অর্থাৎ কম দূরত্বের পথ ব্যবহার না করে পিঁপড়েরাও সবচে দ্রুত অতিক্রমযোগ্য পথটাই ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে লাল পিঁপড়েরা(Wasmannia auropunctata) পথ চলার সময় কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে সেই হিসেব না করে হিসেব করে কোন পথে গেলে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে। এবং সেই পথেই তারা হাঁটে। বিজ্ঞানীরা বলছেন পিঁপড়েদের এই আচরণ পর্যবেক্ষণের ফলে আমাদের সামনে সামাজিক পোকামাকড় কিভাবে দলবদ্ধ হয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন করে থাকে সে ব্যাপারে জানার এক বিশাল জানালা খুলে গেল। 

অপটিকসে আলোর রশ্মি এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে পৌঁছাতে সবসময় এমন পথটাই বেঁছে নেয়, যে পথে গেলে সবচে কম সময় লাগবে; এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় এই বেঁছে নেয়া পথটিই সবচে কম দূরত্বের পথ নয়। আর আলোর চলার এই সূত্রটিকে আমরা "Fermat's principle of least time" হিসেবে জানি। এই যেমন ধরুন সমুদ্রে একজন মানুষ বিপদে পড়েছেন(মানে তিনি ডুবতে বসেছেন); এখন আপনি তাকে বাঁচাতে চান। কি করবেন? ঐ ব্যক্তির দিকে সরলরেখায় সাতার শুরু করবেন? জেনে রাখুন এই পথের চেয়ে বেশ দ্রুত আপনি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন যদি প্রথমে সোজা সমুদ্রের দিকে কিছুক্ষণ সাঁতরে(মানে কিছুটা গভীর সমুদ্রে গিয়ে) তারপর ডানে বা বামে থাকা লোকটির দিকে সাঁতরানো শুরু করেন। 

গবেষকরা একটি লাল পিঁপড়ের কলোনিকে কেন্দ্র করে এই গবেষণাটি করেন। একটি কলোনিতে কয়েক হাজার শ্রমিক পিঁপড়ে এবং কয়েকটি মাত্র রাণী পিঁপড়ে থাকে। কলোনিটির বিপরীত পাশে গবেষকরা কিছু মৃত তেলাপোকা ফেলে তার সামনে কাঁচ, নরম বস্তু, এবং এবড়োথেবড়ো বস্তু ফেলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। মানে খাবার পেতে হলে তাঁদেরকে ঐ প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ডিঙিয়ে যেতে হবে। আমরা জানি এই তিনটি বস্তুর মধ্যে কাঁচের উপর দিয়েই পিঁপড়ে সবচে দ্রুত চলাচল করতে পারে। কিন্তু দেখা গেল তারা সরাসরি সোজাসুজি কাঁচের উপর দিয়ে না গিয়ে কিছুটা কোনাকুনিভাবে নরম বস্তুর তৈরি প্রতিবন্ধকের উপর দিয়ে সবচে কম সময় ব্যবহার করে খাদ্যের কাছে পৌঁছে গেছে। 

গবেষকরা বলছেন এটি জীবের দ্বারা Fermat's principle of light’এর প্রয়োগ। গবেষক দলের প্রধান জার্মানির রিজেন্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন অটলার বলেন, “আমরা বুঝতে পেরেছি যে ডাইনামিক সিস্টেমে যে সাধারণ সূত্রগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো আসলে পুরোপুরিভাবে যোগাযোগ এবং সামাজিক পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল।”
তবে কম দূরত্বের ক্ষেত্রে পিঁপড়েরা সবসময় এই পদ্ধতি প্রয়োগে সবসময় সফল হয় না। 

তথ্যসূত্রঃ লাইভ সায়েন্স ডট কম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন