Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৩

ডা. মরিস বুকাইলি যেভাবে খৃস্টান থেকে মুসলিম হলেন

 ডা. মরিস বুকাইলি যেভাবে খৃস্টান থেকে মুসলিম হলেন


 ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, মরহুম ফ্রাঁসোয়া মিত্রা প্রেসিডেন্ট পদে থাকেন ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। তিনি তার পদে থাকাকালীন সময়ে আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে আতিথেয়তার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। ফ্রান্স তাতে কিছু প্রত্নতাত্তিক গবেষণা করতে চাইল। মিসরের সরকার তাতে রাজি হল। কাজেই কায়রো থেকে ফিরাউনের যাত্রা হল প্যারিস! প্লেনের সিড়ি থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তার মন্ত্রীবর্গ ও ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ লাইন দিয়ে দাড়ালেন এবং মাথা নিচু করে ফিরাউনকে স্বাগত জানালেন!!
যখন ফিরাউনকে জাঁকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে, তার মমিকে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্তিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা আছে এবং তারা ফিরাউনের মমিকে অটপ্‌সি (ময়নাতদন্ত) করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে।
মমির উপর গবেষণার জন্য প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন (ক্ষত অংশগুলো ঠিক করা) করতে চাচ্ছিল, আর ডা. মরিস বুকাইলি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন যে কিভাবে এই ফিরাউন মারা গেল! পরিশেষে, রাতের শেষের দিকে ফাইনাল রেজাল্ট আসলো!
তার শরীরে লবণ অবশিষ্ট ছিল: এইটা সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সে (ফিরাউন) ডুবে মার গিয়েছিল এবং তার শরীর ডুবার পরপরই সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র [লোহিত সাগর] থেকে তুলে আনা হয়েছিল! তারপর লাশটা সংরক্ষণ করার জন্য দ্রুত মমি করা হল। কিন্তু এখানে একটা ঘটনা প্রফেসর মরিসকে হতবুদ্ধ করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যদিওবা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে [কোন বস্তু যদি আদ্র অবস্থায় থাকে ব্যাকটেরিয়া ঐ বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিতে পারে, কারণ আদ্র পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে]!! 

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৩

বাংলাদেশে ঝুঁকির মুখে ব্যাংকের এটিএম সেবা

বাংলাদেশে ঝুঁকির মুখে ব্যাংকের এটিএম সেবা

 সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলর মেশিন) সেবা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ তবে কয়েকটি কার্ড জালিয়াত চক্র ধরার পর ঝুঁকির মুখে পড়েছে এই এটিএম সেবা৷ অনেকে সতর্কতার কারণে কার্ড ফেরত দিতে চাচ্ছেন৷
সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই চার জনের একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ৷ এই চারজনের সবাই মেধাবী ও শিক্ষিত৷ এর মধ্যে প্রধান ব্যক্তি মোহাম্মদ সেলিম৷ তিনি রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন৷ দেশে বিদেশে তাঁর বেশ কয়েকটি ডিগ্রিও রয়েছে৷ ১৯৮৯, ৯০ ও ৯১ সালে ‘তরুণ উদ্ভাবক’ হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ লাখ টাকা পুরস্কারও পান তিনি৷ অনেকদিন ব্যাংকে চাকরি করেছেন৷ ১৯৯৮ সালে এটিএম সার্ভিস চালুর শুরুতে তিনি এই নেটওয়ার্কিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷
তাঁর সঙ্গে আরো গ্রেফতার হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম, আরিফ হোসেন খান ও আসাদুল ইসলাম৷ এর মধ্যে মঞ্জুরুল ইসলাম মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আইটি বিভাগের কর্মকর্তা৷ আসাদুল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি বিভাগ থেকে পাশ করেছেন৷ অপরজন আরিফ হোসেন খান খুলনা পালিটেকনিক থেকে পাশ করে অ্যাডভান্স ডাটা নেটওয়ার্ক (এডিএন) নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ এই চারজনে কিছু ডাটা চুরি করে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে দুই কোটি টাকারও বেশি তুলে নিয়েছেন৷ গ্রেফতারের পর তারা সেটা স্বীকারও করেছেন৷
Bengalische Banknoten von 2 bis 1000 BDT.<br />
Datum: 25.10.2011.<br />
Eigentumsrecht: A H M Abdul Hai, Bengali Redaktion, DW, Bonn
এই কার্ড জালিয়াত চক্রকে গ্রেফতার করা গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই চক্রের প্রত্যেক সদস্যই অত্যন্ত মেধাবী৷ তারা অল্প কিছু ডেটা পেলেই কার্ড তৈরি করতে পারে৷ পাসওয়ার্ড চুরি করা তাদের কাছে খুবই সহজ৷ অনেক সময় এটিএম বুথে গোপন ক্যামেরা সেট করে গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড চুরি করে তারা৷ খুব অল্প দিনের মধ্যেই তারা দুই কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে তুলে নিয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে আরো ৫০টির মতো কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে৷ যা দিয়ে আরো প্রায় কোটি টাকা তোলা যেত৷ কিন্তু তার আগেই গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করতে পেরেছে৷
পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর মোহাম্মদ সেলিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা, প্রাইম ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের অন্তত ৯০০ বুথ তাঁর হাতে স্থাপন হয়েছে৷ যে কারণে এটিএম বুথের সবকিছু তাঁর নখদর্পণে৷ কিছু ডেটা পেলেই তিনি জাল কার্ড তৈরি করতে পারেন৷ কীভাবে তথ্য চুরি করে টাকা তুলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, বুথের সিপিইউ থেকে পেনড্রাইভে তিনি গ্রাহকের তথ্য চুরি করেন৷ পাসওয়ার্ড ও পিনকোড চুরি করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরাও বসানো হয়৷ পরে কার্ড রিডার অ্যান্ড রাইটার যন্ত্রের মাধ্যমে ল্যাপটপের সহায়তায় সংগৃহীত তথ্য ব্যাংক কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপে ধারণ করে নতুন কার্ড তৈরি করতেন৷ ওই কার্ড ও গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত পাসওয়ার্ড দিয়ে টাকা উঠাতেন তিনি৷
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মশিউর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ সার্ভিসের আইটি সাপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান টেক্সাস ইলেকট্রনিকস-এর প্রধান আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেলিম কর্মরত ছিলেন৷ অন্য তিন জনও সেলিমের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে আইটি এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করেছেন৷ বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথের আইটি সাপোর্ট ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন৷ পরবর্তীতে চাকরিচ্যুত হয়ে তারা নকল ক্রেডিট কার্ড তৈরি করে দুই কোটি টাকার ওপরে হাতিয়ে নিয়েছে৷
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে নকল ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোপন ক্যামেরা, কম্পিউটার, কার্ড রিডার অ্যান্ড রাইটার (কার্ড তৈরির যন্ত্র) এবং অন্যান্য কম্পিউটার ও ইঞ্জিনিয়ারিং আইটেম পাওয়া গেছে৷ মশিউর রহমান বলেন, এই চক্রটিকে ধরার পর অনেকেই তাঁকে ফোন করে নিজের পকেটে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন৷ কেউ কেউ কার্ড ফেরত দেবেন বলেও তাকে জানিয়েছেন৷
এই চক্রটি বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছে৷ তবে বেশি টাকা তুলেছে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে৷ তাই প্রশ্ন উঠেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথ কি অরক্ষিত? ব্র্যাক ব্যাংকের আইটি বিভাগের প্রধান মো. কামরুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথ কোনো ভাবেই দুর্বল নয়৷ কোনো ব্যাংকের ভেতর থেকে তথ্য চুরি করতে না পারলে বাইরে থেকে ভুয়া কার্ড বানিয়ে টাকা তোলা অনেক কঠিন৷ তাছাড়া বাংলাদেশে এটিএম সার্ভিস তো খুব বেশিদিন চালু হয়নি৷ তাই কিছু সমস্যা তো আছেই৷ কোনো সমস্যা ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হচ্ছে৷ এখন কিন্তু প্রত্যেক বুথে একাধিক সিসিটিভি লাগানো আছে৷ দায়িত্ব পালনকারী গার্ডদের সচেতন করা হয়েছে৷”
কামরুল হকের মতে, গ্রাহকরা সচেতন হলে প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে যাবে৷ নিজের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড যেন কেউ জানতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ তার৷ এছাড়া এটিএম বুথে ঢুকে কোনো অসংলগ্নতা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের অনলাইনে ফোন করে জানানোরও পরামর্শ দেন তিনি৷

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৩

হিজাবী মেয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সাংস্কৃতিক জোটের উদ্বেগ

হিজাবী মেয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সাংস্কৃতিক জোটের উদ্বেগ


বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে হিজাব পরিহিতার সংখ্যার বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এই প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে এক মৌন মিছিল শেষে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা এই উদ্বেগের কথা জানান।
“বাড়ছে হিজাবী মেয়ের সংখ্যা, হুমকির মুখে বাআঁলি সংস্কৃতি” শীর্ষক এই কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বক্তারা আশংকা প্রকাশ করেন, এভাবে হিজাবের প্রকোপ বাড়তে থাকলে এক সময়ে বাআঁলি সংস্কৃতির ছিটাফোটাও এই দেশে আর অবশিষ্ট থাকবে না।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বিশিষ্ট সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব ড. সানজিদা খাতুন বলেন, ‘বাআঁলি মেয়ে কেন হিজাব পরবে? আবহমান বাংলার যে সংস্কৃতি আমাদের রক্তে আমাদের ধমনীতে বহমান, সেখানে তো হিজাবের কোন স্থান নেই। তাহলে কেন আজ চারদিকে এত হিজাব?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাআঁলি মেয়ে মানে হচ্ছে খোলামেলা, স্বাধীনচেতা, যা খুশি করা। সেখানে এই ঢেকেঢুকে চলা কেন?’
সংগঠনের নেতা, প্রথম মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় সারির ও দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘আগে তো কখনও দেখি এত হিজাব। তাহলে এখন কেন? কী এমন হল দেশে যে সবাইকে লাইন ধরে হিজাব পরতে হবে?’
তিনি যোগ করেন, ‘এই যে আমার ভোগ্য লাকি আক্তার, ও কি হিজাব পরে? তারপর সুঠাম দেহের সুপুরুষ পুলিশদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তাদেরকে ফুল বিলোনো জিনাত জোয়ার্দার রিপা, ও কি হিজাব পরে? ওরা হচ্ছে প্রকৃত বাআঁলি মেয়ে। ওরা হিজাব পরে না, তো বাকিরা পরছে কেন?’
সংগঠনের অপর সদস্য ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব খুশি কবির বলেন, ‘বাআঁলি মেয়েরা হচ্ছে ইনোভেটিভ, এন্ট্রাপ্রেনুয়াল, উদ্যোগী। এই যে আমাদের রিপা, কি বুদ্ধিমতি মেয়ে! বুদ্ধি করে একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে শহীদ মিনারের সব ফেলে দেয়া ফুল বাড়িতে এনে জড়ো করেছিল। আজ কি সুন্দর একটু একটু করে সেই ফুলগুলো সুঠাম পেটানো শরীরের সুপুরুষ পুলিশগুলোর সাথে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বিলিয়ে যাচ্ছে। উফ! কি মজা! তো এখানে হিজাব টিজাব আসে কোত্থেকে?’
সংগঠনের অপর অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির কিছুটা বিলম্বে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘মাফ করবেন আমার আসতে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। গত রাতে এই হতচ্ছাড়া জামাত শিবির হেফাজতের মৌলবাদী কিছু ছেলে আমার মুরগির খামারের সব পানি ফেলে দিয়ে সেগুলোয় দেশি মদ ভরে রেখে গিয়েছিল। আজ সকালে উঠে গিয়ে দেখি কী অবস্থা! মদ পেটে গিয়ে মুরগি গুলো যা না তা করছে! সে যাকগে, হিজাব আমাদের একটি চলমান সমস্যা এবং আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে। পথেঘাটে এমনকি বিয়েশাদিতে এখন গিয়ে দেখি দলে দলে ছোট মাঝারি বড় মেয়েরা, এমনকি তাদের মায়েরা পর্যন্ত হিজাব লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না’।
তিনি আরও বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় দেখি নামাজের স্থান। সব অফিসগুলোয় কই রবীন্দ্র সংগীত চলবে, তা না করে হতচ্ছাড়া নামাজের ঘর বরাদ্দ করছে! দলে দলে নামাজ পড়ছে! কী হরিবল! তো আমাদেরকে এই অপসংস্কৃতি নিয়ে ভাবতে হবে’।
কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান, ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী, কামেন্দু মজুমদার, ফাপর ইকবাল, সংগীত শিল্পী প্রিতম, গঞ্জিকাসেবন পূর্বক সাক্ষাতকার খ্যাত শিল্পী মেসবাহ আহমেদ ও তার বিশু দা প্রমুখ।

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

রেসেপি : চাপলি কাবাব

চাপলি কাবাব  

 

উপকরণ : কিমা আধা কেজি, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য, বেসন ৪ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো,  গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৬-৭টি, ডিম ১টি।

প্রণালি : সব মসলা কিমাতে ভালো করে মাখিয়ে ২০-২৫ মিনিট রাখুন। এরপর গোল করে কাবাব আ কারে গড়ে ডিমে চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।

রেসেপি : গোসতের দম বিরিয়ানি

গোসতের দম বিরিয়ানি 

 

উপকরণ : খাসির মাংস ১ কিলোগ্রাম (২ ইঞ্চি টুকরো করে কেটে নিন), বাসমতি চাল ২ কাপ, আদা ৪ টুকরা, রসুন কোয়া ২০টা, দই ২ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২টা, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ ৪টি (কুচি করে ভেজে নিন), লবঙ্গ ৬টা, দারুচিনি ১ টুকরা, কাঁচা এলাচ ৫টি, শুকনো এলাচ ১টি, গোলমরিচ ১০টি, শাহি জিরা পাউডার আধা চা চামচ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলা ২ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ কাপ, পুদিনা পাতা কুচি আধা কাপ, অলিভ অয়েল ৫ টেবিল চামচ, জাফরান দেওয়া দুধ ২ চা চামচ, গোলাপ জল ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. অর্ধেক আদা ও রসুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। কিছু আদা স্লাইস করে কাটুন।
২. খাসির মাংসের সঙ্গে দই, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লবণ, পেঁয়াজ কুচি ভাজা, লেটুসপাতা মিশিয়ে নিন।
৩. লবঙ্গ, দারুচিনি, কাঁচা ও শুকনো এলাচ, গোল মরিচ, লবণ পাতলা রুমালে বেঁধে রাখুন।
৪. কড়াইয়ে ৫ কাপ পানি দিয়ে রুমালে বাঁধা মসলা দিন। এরপর লবণ, শাহি জিরা পাউডার এবং চাল দিয়ে আধা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
৫. ঢাকনা খুলে অর্ধেক চাল উঠিয়ে মাঝখানে গর্ত করে মেরিনেড করা মাংস দিয়ে বাকি চাল দিয়ে ঢেকে দিন।
৬. আধা ঘণ্টা পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসেপি :কাশ্মীরি কোপ্তা কারি

কাশ্মীরি কোপ্তা কারি 


কোফতার উপকরণ : মুরগির মাংসের কিমা আধা কেজি, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশবাটা ১ টেবিল-চামচ, ঘি ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল-চামচ, ডিমের কুসুম ১টি, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

কোফতার প্রণালি : সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে ছোট ছোট কোফতা বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে।

গ্রেভির উপকরণ : ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, বেরেস্তা সিকি কাপ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশবাটা ২ টেবিল-চামচ, টকদই আধা কাপ, মালাই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, টমেটো কিউব করে কাটা আধা কাপ, ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, কাজু-আমন্ড-পেস্তা-কিশমিশ গোটা আধা কাপ, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি।

প্রণালি : ঘি ও তেল একসঙ্গে গরম করে গোটা পেস্তা-আমন্ড-কাজু-কিশমিশ ভেজে উঠিয়ে রেখে ওই তেলে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে। তাতে সব বাটা মসলা ও গরমমসলা কষিয়ে টকদই ও মিশ্রিত বাদাম বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে, লবণ ও এক কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভাজা কোফতা দিয়ে দিতে হবে। মালাই ও ভাজা বাদাম-কিশমিশ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে একটু পর নামাতে হবে। কিছুটা মালাই, ভাজা বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩

Muslim Scientists 02: ABU ALI HASAN IBN AL-HAITHAM

ABU ALI HASAN IBN AL-HAITHAM

(965-1040 C.E.) 

Abu Ali Hasan Ibn al-Haitham was one of the most eminent physicists, whose contributions to optics and
the scientific methods are outstanding. Known in the West as Alhazen, Ibn al-Haitham was born in 965
C.E. in Basrah, and was educated in Basrah and Baghdad. Thereafter, he went to Egypt, where he was
asked to find ways of controlling the flood of the Nile. Being unsuccessful in this, he feigned madness
until the death of Caliph al-Hakim. He also travelled to Spain and, during this period, he had ample time
for his scientific pursuits, which included optics, mathematics, physics, medicine and development of
scientific methods on each of which he has left several outstanding books.
He made a thorough examination of the passage of light through various media and discovered the laws
of refraction. He also carried out the first experiments on the dispersion of light into its constituent
colours. His book Kitab-al-Manadhir was translated into Latin in the Middle Ages, as also his book
dealing with the colours of sunset. He dealt at length with the theory of various physical phenomena like
shadows, eclipses, the rainbow, and speculated on the physical nature of light. He is the first to describe
accurately the various parts of the eye and give a scientific explanation of the process of vision. He also
attempted to explain binocular vision, and gave a correct explanation of the apparent increase in size of
the sun and the moon when near the horizon. He is known for the earliest use of the camera obscura. He
contradicted Ptolemy's and Euclid's theory of vision that objects are seen by rays of light emanating from
the eyes; according to him the rays originate in the object of vision and not in the eye. Through these
extensive researches on optics, he has been considered as the father of modern Optics.
The Latin translation of his main work, Kitab-al-Manadhir, exerted a great influence upon Western
science e.g. on the work of Roger Bacon and Kepler. It brought about a great progress in experimental
methods. His research in catoptrics centred on spherical and parabolic mirrors and spherical aberration.
He made the important observation that the ratio between the angle of incidence and refraction does not
remain constant and investigated the magnifying power of a lens. His catoptrics contain the important
problem known as Alhazen's problem. It comprises drawing lines from two points in the plane of a circle
meeting at a point on the circumference and making equal angles with the norrnal at that point. This
leads to an equation of the fourth degree.
In his book Mizan al-Hikmah Ibn al-Haitham has discussed the density of the atmosphere and developed
a relation between it and the height. He also studied atmospheric refraction. He discovered that the
twilight only ceases or begins when the sun is 19° below the horizon and attempted to measure the height
of the atmosphere on that basis. He has also discussed the theories of attraction between masses, and it
seems that he was aware of the magnitude of acceleration due to gravity.
His contribution to mathematics and physics was extensive. In mathematics, he developed analytical
geometry by establishing linkage between algebra and geometry. He studied the mechanics of motion of
a body and was the first to maintain that a body moves perpetually unless an external force stops it or
changes its direction of motion. This would seem equivalent to the first law of motion.
The list of his books runs to 200 or so, very few of which have survived. Even his monumental treatise
on optics survived through its Latin translation. During the Middle Ages his books on cosmology were
translated into Latin, Hebrew and other languages. He has also written on the subject of evolution a book
that deserves serious attention even today.
In his writing, one can see a clear development of the scientific methods as developed and applied by the
Muslims and comprising the systematic observation of physical phenomena and their linking together
into a scientific theory. This was a major breakthrough in scientific methodology, as distinct from guess
and gesture, and placed scientific pursuits on a sound foundation comprising systematic relationship
between observation, hypothesis and verification.
Ibn al-Haitham's influence on physical sciences in general, and optics in particular, has been held in high
esteem and, in fact, it ushered in a new era in optical research, both in theory and practice.

Muslim Scientist 01 :ABU RAIHAN AL-BIRUNI

ABU RAIHAN AL-BIRUNI
(973-1048 C.E.)   



Abu Raihan Mohammad Ibn Ahmad al-Biruni was one of the well-known figures associated with the
court of King Mahmood Ghaznawi, who was one of the famous Muslim kings of the 11th century C.E.
Al-Biruni was a versatile scholar and scientist who had equal facility in physics, metaphysics,
mathematics, geography and history. Born in the city of Kheva near "Ural" in 973 C.E., he was a
contemporary of the well-known physician Ibn Sina. At an early age, the fame of his scholarship went
around and when Sultan Mahmood Ghaznawi conquered his homeland, he took al-Biruni along with him
in his journeys to India several times and thus he had the opportunity to travel all over India during a

period of 20 years. He learnt Hindu philosophy, mathematics, geography and religion from thre Pandits to whom he taught Greek and Arabic science and philosophy. He died in 1048 C.E. at the age of 75, after
having spent 40 years in thus gathering knowledge and making his own original contributions to it.
He recorded observations of his travels through India in his well-known book Kitab al-Hind which gives
a graphic account of the historical and social conditions of the sub-continent. At the end of this book he
makes a mention of having translated two Sanskrit books into Arabic, one called Sakaya, which deals
with the creation of things and their types, and the second, Patanjal dealing with what happens after the
spirit leaves the body. His descriptions of India were so complete that even the Aein-i-Akbari written by
Abu-al- Fadal during the reign of Akbar, 600 years later, owes a great deal to al-Biruni's book. He
observed that the Indus valley must be considered as an ancient sea basin filled up with alluvials.
On his return from India, al-Biruni wrote his famous book Qanun-i Masoodi (al-Qanun al-Masudi, fi
al-Hai'a wa al-Nujum), which he dedicated to Sultan Masood. The book discusses several theories of
astronomy, trigonometry, solar, lunar, and planetary motions and relative topics. In another well-known
book al-Athar al-Baqia, he has attempted a connected account of ancient history of nations and the
related geographical knowledge. In this book, he has discussed the rotation of the earth and has given
correct values of latitudes and longitudes of various places. He has also made considerable contribution
to several aspects of physical and economic geography in this book.
His other scientific contributions include the accurate determination of the densities of 18 different
stones. He also wrote the Kitab-al-Saidana, which is an extensive materia medica that combines the then
existing Arabic knowledge on the subject with the Indian medicine. His book the Kitab-al-Jamahir deals
with the properties of various precious stones. He was also an astrologer and is reputed to have
astonished people by the accuracy of his predictions. He gave a clear account of Hindu numerals,
elaborating the principle of position. Summation of a geometric progression appropos of the chess game
led to the number:
1616° - 1 = 18,446,744,073,709,551,619.
He developed a method for trisection of angle and other problems which cannot be solved with a ruler
and a compass alone. Al-Biruni discussed, centuries before the rest of the world, the question whether the
earth rotates around its axis or not. He was the first to undertake experiments related to astronomical
phenomena. His scientific method, taken together with that of other Muslim scientists, such as Ibn
ABU RAIHAN AL-BIRUNI
file:///D|/history/scholars/BIRUNI.html (1 of 2) [10/13/2000 11:59:37 PM]
al-Haitham, laid down the early foundation of modern science. He ascertained that as compared with the
speed of sound the speed of light is immense. He explained the working of natural springs and artesian
wells by the hydrostatic principle of communicating vessels. His investigations included description of
various monstrosities, including that known as "Siamese" twins. He observed that flowers have 3,4,5,6,
or 18 petals, but never 7 or 9. 

He wrote a number of books and treatises. Apart from Kitab-al- Hind (History and Geography of India),
al-Qanun al-Masudi (Astro- nomy, Trigonometry), al-Athar al-Baqia (Ancient History and Geography),
Kitab al-Saidana (Materia Medica) and Kitab al-Jawahir (Precious Stones) as mentioned above, his
book al-Tafhim-li-Awail Sina'at al-Tanjim gives a summary of mathematics and astronomy.
He has been considered as one of the very greatest scientists of Islam, and, all considered, one of the
greatest of all times. His critical spirit, love of truth, and scientific approach were combined with a sense
of toleration. His enthusiasm for knowledge may be judged from his claim that the phrase Allah is
Omniscient does not justify ignorance

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

Great Muslim scientists list

Muslim scientists list...

 

Astronomers and astrophysicists  

Ibrahim al-Fazari

Chemists and alchemists 

Further information: Alchemy (Islam)

Economists and social scientists 

Further information: Islamic economics in the world

Geographers and earth scientists 

Further information: Muslim Agricultural Revolution

Mathematicians 

Further information: Islamic mathematics: Biographies

Biologists, neuroscientists, and psychologists 

Further information: Islamic psychological thought

Physicians and surgeons[edit]

Physicists and engineers 

Further information: Islamic physics

Political scientists 


Other scientists and inventors==