ফেইসবুক এর উপর নজরদারী
কিছু বিষয়ে গোপনীয়তা আর নিরাপত্তা কে না চায়! ফেসবুকে তেমন কিছু আশা করবেন না যেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি নিয়ে কথা হচ্ছে প্রচুর৷ ফেসবুকের কর্তাব্যক্তিরাও নাকি সব তথ্য দিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের!
ম্যাক্স কেলি ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন ফেসবুকের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা৷ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর প্রধান দায়িত্ব৷ তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)-র হয়ে সে দেশের নিরাপত্তা খুব ভালোভাবে নিশ্চিত করছেন৷ এবং এ কাজটি তিনি করছেন দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা এ খবর জানানোর পর ফেসবুকের এই সাবেক কর্মকর্তাকে নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা-উদ্বেগের শেষ নেই৷ তাঁর ফেসবুক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের শক্তি জোগানোয় নেমে পড়া বেশ কিছু প্রশ্নকে নিয়ে এসেছে সামনে৷ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন – ফেসবুকের ভেতরেই যদি ‘শত্রু' ঘাপটি মেরে থাকে তাহলে আপনার-আমার নিরাপত্তা দেবে কে? ফেসবুক? কীভাবে?
যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির থাবার গোটা চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়
বন্ধু নির্বাচন, গোপনীয়তা রক্ষা, বন্ধু হবার আহ্বানে সতর্কতা অবলম্বন – এসবে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষার্থে ফেসবুকের দৃশ্যমান উদ্যোগের অভাব নেই৷ উদ্যোগগুলোর গুরুত্ব সবাই কম-বেশি বোঝেন৷ খুব পরিচিতরাই যেখানে জীবনের নানা পর্যায়ে অভাবনীয় রূপে, অচেনা শত্রুর বেশে আবির্ভূত হন, সেখানে ফেসবুকে দু'দিনের পরিচিতরা কতটাই আর বন্ধু হবেন৷ ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে বন্ধুত্বের আশ্বাস দিয়ে বাড়ানো হাতে হাত রাখার আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে তো হবেই! কিন্তু এত সতর্ক ‘বন্ধুবেশী বন্ধু' ফেসবুকই বা কতটা ‘বন্ধু' যেখানে তাদের ভেতরের মানুষই গোপনে গোয়েন্দাদের হয়ে কাজ করেন?
ম্যাক্স কেলির এনএসএ-তে ঢুকে পড়ার বিষয়টি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মনে শঙ্কার জন্ম দিয়েছে৷ তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে এমন অনেকের কাছেই ঘটনাটি একেবারেই অস্বাভাবিক নয়৷ ওয়াশিংটন ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসি'-র নির্বাহী পরিচালক জেফ্রি চেস্টার তাঁদেরই একজন৷ তাঁর মতে, ফেসবুক অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে তথ্য প্রদান করে আসছে৷ গুগল এবং মাইক্রোসফটও নাকি এমন চুক্তি করে উপার্জন বাড়াতে আগ্রহী৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন