ই-সিগারেট ওষুধ হিসেবে কাজ করছে
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ অথচ এই ক্ষতি এড়াতে মানুষ যখন ধূমপানই করে তখন আশ্চর্য লাগে বৈকি! আরো অবাক হতে হয়, যখন এক ধরনের সিগারেটকেই দেয়া হয় ওষুধের মর্যাদা৷ ই-সিগারেটকে এক অর্থে সেরকম মর্যাদাই দিতে চলেছে ব্রিটেন৷
ই-বুক, অর্থাৎ ইলেকট্রনিক বুক যেমন আধুনিকতম প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে বই পড়ার ব্যবস্থা,ই-সিগারেট ঠিক সেরকম নয়৷ ইলেকট্রনিক সিগারেট মূলত ধূমপায়ীদের নেশা কমানোর ব্যবস্থা৷ এটা ব্যাটারি চালিত এমন এক ডিভাইস, যা দেখতে সিগারেটের মতো হলেও ভেতরে নিকোটিন থাকে খুব সামান্য৷ টানবেন, ধোঁয়া বেরোবে, ধোঁয়ায় নিকোটিনের গন্ধ আছে বলে মনে হবে সিগারেটই টানছেন, কিন্তু এর ফলে শরীরের ক্ষতি বলতে গেলে হবেই না৷
শুরুতে ঠিক এমন থাকলেও হালে ব্রিটেনে ই-সিগারেট বিক্রির হিড়িক পড়ে যাবার পর থেকে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের সমস্যা৷ কোনো কোনো ই-সিগারেটে নাকি বেশ ভালো পরিমাণেই নিকোটিন দেয়া হয়৷ ফলে ধূমপানের ক্ষতি এড়ানোর বদলে নতুনভাবে ক্ষতিকর এ নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে মানুষ৷ তাই ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ই-সিগারেট ওষুধের দোকানে বিক্রি হবে, তবে কোনো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তা কেনা যাবে৷ ডাক্তারের অনুমোদনও যদি না লাগে তাহলে আর ওষুধের দোকানে কেন বিক্রি হবে ই-সিগারেট? ব্রিটিশ সরকার জানাচ্ছে, যাতে নিয়ম ভেঙে কেউ বেশি নিকোটিন না দেয়, যাতে যথাযথ মান ধরে রাখা হয় – সেই উদ্দেশ্যেই এ পদক্ষেপ৷ বাইরের দোকানে ই-সিগারেট বিক্রি অবশ্য এখনই বন্ধ হচ্ছে না৷ ধীরে ধীরে তা বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের৷
তবে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে৷ ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, ইম্পেরিয়্যাল টোব্যাকো, রেনল্ডসসহ অনেক বিখ্যাত টোব্যাকো কোম্পানিই এখন তাই ই-সিগারেট তৈরি করে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন