Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৩


ড. আফিয়া সিদ্দিকা : আমেরিকার  রক্ত  চক্ষুর  শিকার   

 

ড. আফিয়া সিদ্দিকা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন স্নায়ু বিজ্ঞানী। অসামান্য ধীসম্পন্ন পি.এইচ.ডি ডিগ্রীধারী এ মহিলার সম্মানসূচক অন্যান্য ডিগ্রী ও সার্টিফিকেট রয়েছে প্রায় ১৪৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে Neurology বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। তিনি হাফিযে কুর‘আন ও আলিমা। পবিত্র কুর‘আন ও হাদীসে পারদর্শিনী এ মহিলা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দ্বীনদার ও পরহেযগার। ইসলামী আদর্শ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে তাঁর স্ট্রং কমিটমেন্ট। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফ.বি.আই পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথিত অভিযোগে ২০০৩ সালে ড. আফিয়াকে তাঁর তিন সন্তান আহমদ, সুলায়মান, ও মরিয়মসহ করাচীর রাস্তা থেকে অপহরণ করে। পাকিস্তানের কোন কারাগারে না রেখে এবং পাকিস্তানী আদালতে উপস্থাপন না করে পাঁচ বছর ধরে তাঁকে আফগানিস্তানের বাগরাম সামরিক ঘাঁটিতে বন্দী করে রাখা হয়। এরপর চলে তাঁর উপর অমানুষিক শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন। বাগরামে কুখ্যাত মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, ‘নির্যাতনের সময় একজন নারী বন্দির আর্তচিৎকার অন্য বন্দিদের সহ্য করাও কষ্টকর ছিল.........। 

এই বার্তাটি ড.আফিয়া সিদ্দিকি হতে এসেছে========

“হে আমার ঘুমন্ত/মৃত জাতি”। আমার নাম ড. আফিয়া সিদ্দিকি ,আমি Massachusetts Institute of Technology (USA) থেকে লেখাপড়া শেষ করেছি্ এবং আমার তিনটি বাচ্চা আছে।আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের সহায়তায় অর্জিত আমার উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আমার জাতিকে সাহায্য করা।

আমাকে অপহরন করা হয় আমার নিজের দেশ [পাকিস্তান] থেকে আমার দেশের তথাকথিত মুসলিম নামধারি মুরতাদ সেনাবাহিনীর দ্বারা এবং আমায় বিক্রি করে দেয়া হয় আমেরিকার কাছে।
এরপর তারা আমার উপর চালায় পাশবিক অত্যাচার। আমাকে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করা হয়, আঘাত করা হয় এবং ধর্ষন করা হয়, একের পর এক।আমার কয়েদী নম্বর দেয়া হয়েছে ৬৫০। আমি এখন মুসলিম দেশ আফগানেস্তান এর কারাগার থেকে আমার বন্দী জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দুয়া করি আমার ভাই সেই মুহাম্মদ বিন কাশিমের জন্য। আমি সারা বিশ্বের জনসংখার এক পঞ্চমাংশ জনসংখার মুসলিমদের বোন। ইসলামের শুরু থেকেই আমার জাতি ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত তাদের ভাইদেরকে হেফাযত করার জন্য এবং শত্রুর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য। হাযরত উমার[রা] বলেছিলেন যে,”যদি কোন কুকুর ফুরাত নদীর ধারে মরে থাকে,তাহলে শেষ বিচারের দিন উমর সেই কুকুরের মৃত্যুর জন্য আল্লাহ’র নিকট দায়ী থাকবে।।”

এই মুহূর্তে আমি নিজে নিজে হাটতে পারি না।আমার একটি কিডনি বের করে ফেলা হয়েছে,
আমার বুকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে এবং আমার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। আমার জন্য সব ধরনের মেডিক্যাল এবং বৈধ ও সাধারন সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাখান করা হয়েছে এবং এটা নিশ্চীত নয় যে আমি বেচে থাকব না মরে যাবো।।আমি তোমাদের জন্য বোন হওয়ার যে মর্যাদা তার রদ চাই।আমি একজন গর্বিত মুসলিম,হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর অনুসারি, হযরত আবু বক্কর[রা], উমার[রা] , উসমান [রা], আলি[রা], এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও সত্যপন্তি অনুসারীদের কণ্যা। আমি তোমাদের বোন হতে চাই না।আমার নবী (সাঃ)এবং হযরত আবু বক্কর[রা], উমার[রা] , উসমান [রা], আলি[রা], এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও সত্যপন্তি অনুসারীরাই আমার উদ্ধারকারী এবং আমি আল্লাহর করুণা ও সাহায্য চাই তোমাদের কাছে নয়।

আমি কোনো পাকিস্তানি হতে চাই না যাদের রয়েছে ৬ লক্ষ সৈন্যবাহিনী, বিশেষ ফোর্স এস,এস,জি কিন্তু তারা আমাকে রক্ষা করতে ব্যার্থ হয়েছে। তারা আমাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু যখন আমি সাহায্যের জন্য তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম তখন তারা আমাকে প্রত্যাখান করল।
আমার সেই মুসলিম উম্মাহ বলে ডাকা লোকদের রয়েছে লক্ষ লক্ষ সৈন্যবাহিনী সব ধরনের টাঙ্ক, বন্দুক,জঙ্গি বিমান,সাবমেরিন কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাকে উদ্ধার করতে এবং বাচাতে পারেনি। কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার ব্যাপারে তোমাদের চিন্তার কিছু নেই কারন তোমাদেরকে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নও করা হবে না এবং তোমাদেরকে কোনো উত্তরও দেয়া লাগবে না এজন্য যে তোমরা কেউ মুসলিম হিসাবে আমার ভাই নও, এবং ইসলামধর্মের জন্য ও ইসলামের অন্তর্ভুক্তির জন্য আমার ভাই নও।তোমরা কেউ আরব, কেউ ইরানী, কেউ ফিলিস্তীনি কেউ আফ্রিকান, কেউ পাকিস্তানি, কেউ বাংলাদেশী, কেউ আফ্রিকান, কেউ মালোয়শিয়ান কেউ ইন্দোনেশিয়ান, কেউ দক্ষিন এশীয় হতে পারো, তবে তোমরা কেউ মুসলিম নও।আমার কথায় যদি তোমরা আঘাত পেয়ে থাক তাহলে আমি খুবই দুঃখিত কিন্তু তোমরা কেউ এটা চিন্তাও করতে পারবে না যে, আমি কী ধরনের, এবং কেমন আঘাতপ্রা্প্ত। [ড.আফিয়া সিদ্দিকি......]

এই বার্তাটি ড.আফিয়া সিদ্দিকি হতে এসেছে========
“হে আমার ঘুমন্ত/মৃত জাতি”। আমার নাম ড. আফিয়া সিদ্দিকি ,আমি Massachusetts Institute of Technology (USA) থেকে লেখাপড়া শেষ করেছি্ এবং আমার তিনটি বাচ্চা আছে।আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের সহায়তায় অর্জিত আমার উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আমার জাতিকে সাহায্য করা।
আমাকে অপহরন করা হয় আমার নিজের দেশ [পাকিস্তান] থেকে আমার দেশের তথাকথিত মুসলিম নামধারি মুরতাদ সেনাবাহিনীর দ্বারা এবং আমায় বিক্রি করে দেয়া হয় আমেরিকার কাছে।এরপর তারা আমার উপর চালায় পাশবিক অত্যাচার। আমাকে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করা হয়, আঘাত করা হয় এবং ধর্ষন করা হয়, একের পর এক।আমার কয়েদী নম্বর দেয়া হয়েছে ৬৫০। আমি এখন মুসলিম দেশ আফগানেস্তান এর কারাগার থেকে আমার বন্দী জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দুয়া করি আমার ভাই সেই মুহাম্মদ বিন কাশিমের জন্য। আমি সারা বিশ্বের জনসংখার এক পঞ্চমাংশ জনসংখার মুসলিমদের বোন। ইসলামের শুরু থেকেই আমার জাতি ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত তাদের ভাইদেরকে হেফাযত করার জন্য এবং শত্রুর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য। হাযরত উমার[রা] বলেছিলেন যে,”যদি কোন কুকুর ফুরাত নদীর ধারে মরে থাকে,তাহলে শেষ বিচারের দিন উমর সেই কুকুরের মৃত্যুর জন্য আল্লাহ’র নিকট দায়ী থাকবে।।”
এই মুহূর্তে আমি নিজে নিজে হাটতে পারি না।আমার একটি কিডনি বের করে ফেলা হয়েছে,আমার বুকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে এবং আমার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। আমার জন্য সব ধরনের মেডিক্যাল এবং বৈধ ও সাধারন সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাখান করা হয়েছে এবং এটা নিশ্চীত নয় যে আমি বেচে থাকব না মরে যাবো।।আমি তোমাদের জন্য বোন হওয়ার যে মর্যাদা তার রদ চাই।আমি একজন গর্বিত মুসলিম,হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর অনুসারি, হযরত আবু বক্কর[রা], উমার[রা] , উসমান [রা], আলি[রা], এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও সত্যপন্তি অনুসারীদের কণ্যা। আমি তোমাদের বোন হতে চাই না।আমার নবী (সাঃ)এবং হযরত আবু বক্কর[রা], উমার[রা] , উসমান [রা], আলি[রা], এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও সত্যপন্তি অনুসারীরাই আমার উদ্ধারকারী এবং আমি আল্লাহর করুণা ও সাহায্য চাই তোমাদের কাছে নয়।
আমি কোনো পাকিস্তানি হতে চাই না যাদের রয়েছে ৬ লক্ষ সৈন্যবাহিনী, বিশেষ ফোর্স এস,এস,জি কিন্তু তারা আমাকে রক্ষা করতে ব্যার্থ হয়েছে। তারা আমাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু যখন আমি সাহায্যের জন্য তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম তখন তারা আমাকে প্রত্যাখান করল।আমার সেই মুসলিম উম্মাহ বলে ডাকা লোকদের রয়েছে লক্ষ লক্ষ সৈন্যবাহিনী সব ধরনের টাঙ্ক, বন্দুক,জঙ্গি বিমান,সাবমেরিন কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাকে উদ্ধার করতে এবং বাচাতে পারেনি। কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার ব্যাপারে তোমাদের চিন্তার কিছু নেই কারন তোমাদেরকে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নও করা হবে না এবং তোমাদেরকে কোনো উত্তরও দেয়া লাগবে না এজন্য যে তোমরা কেউ মুসলিম হিসাবে আমার ভাই নও, এবং ইসলামধর্মের জন্য ও ইসলামের অন্তর্ভুক্তির জন্য আমার ভাই নও।তোমরা কেউ আরব, কেউ ইরানী, কেউ ফিলিস্তীনি কেউ আফ্রিকান, কেউ পাকিস্তানি, কেউ বাংলাদেশী, কেউ আফ্রিকান, কেউ মালোয়শিয়ান কেউ ইন্দোনেশিয়ান, কেউ দক্ষিন এশীয় হতে পারো, তবে তোমরা কেউ মুসলিম নও।আমার কথায় যদি তোমরা আঘাত পেয়ে থাক তাহলে আমি খুবই দুঃখিত কিন্তু তোমরা কেউ এটা চিন্তাও করতে পারবে না যে, আমি কী ধরনের, এবং কেমন আঘাতপ্রা্প্ত। [ড.আফিয়া সিদ্দিকি......]  
ড.আফিয়া সিদ্দিকি আমেরিকা  বিরুধিতা  করার  কারণে সাজা প্রাপ্ত। 

1 টি মন্তব্য: