আ.লীগ-গ্রামবাসী সংঘর্ষ গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য ভূজপুর : ১৪৪ ধারা বহাল, আটক ৩৪
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে গত বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে এলাকাবাসী ও হরতালবিরোধী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত, দুই শতাধিক আহত ও ব্যাপক হারে গাড়ি পোড়ানোর পর জারি করা ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। হত্যা, পুলিশি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ, নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে ভূজপুর থানায় একশ’ জনের নাম উল্লেখ ও প্রায় ৬ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভূজপুর থানার এসআই নুরুন্নবী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুরো উপজেলায় অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে এখনও তিন জন নিখোঁজ থাকার দাবি করেছে আ.লীগ। এদিকে নিহতদের নামাজে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নূরীসহ ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুরুষশূন্য ভূজপুর : গতকাল সকালে ভূজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে দোকানপাট বন্ধ। এলাকায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা নেই। খোঁজখবর নিতে কোনো পুরুষ লোক পাওয়া যায়নি। মহিলা ও শিশুরা ভয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে অবস্থান করছেন। এলাকার সর্বত্র বিরাজ করছে গ্রেফতার আতঙ্ক। উত্তর চট্টগ্রামের ব্যস্ততম গহিরা-হেয়াকো সড়কে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি চলতে দেখা যায়নি।
নিহতের পরিচয় : সংঘর্ষে নিহত ফারুক ইকবাল বিপুল (৩৫) বখতপুর ইউনিয়নের মফিজুল হকের ছেলে। তিনি বখতপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আরেকজন মো. ফোরকান (১৮) জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মো. এজাহার মিয়ার ছেলে। সে ছাত্রলীগের কর্মী। অন্যজন মো. জামাল উদ্দিন রুবেল (২৩) বখতপুর ইউনিয়নের মো. তৌহিদুল আলমের ছেলে। সেও ছাত্রলীগের কর্মী। গতকাল বিকাল ৫টায় ফটিকছড়ি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা ও পরে তাদের নিজ নিজ গ্রামে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে দাপন সম্পন্ন হয়েছে।
৩ জনের নিখোঁজ দাবি : আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও তার মিছিলে থাকা মো. নুরুচ্ছাপা, মো. শওকত ও মো. রুবেল নামে তিন ছাত্রলীগ কর্মী নিখোঁজ রয়েছে।
নিহতের পরিচয় : সংঘর্ষে নিহত ফারুক ইকবাল বিপুল (৩৫) বখতপুর ইউনিয়নের মফিজুল হকের ছেলে। তিনি বখতপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আরেকজন মো. ফোরকান (১৮) জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মো. এজাহার মিয়ার ছেলে। সে ছাত্রলীগের কর্মী। অন্যজন মো. জামাল উদ্দিন রুবেল (২৩) বখতপুর ইউনিয়নের মো. তৌহিদুল আলমের ছেলে। সেও ছাত্রলীগের কর্মী। গতকাল বিকাল ৫টায় ফটিকছড়ি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা ও পরে তাদের নিজ নিজ গ্রামে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে দাপন সম্পন্ন হয়েছে।
৩ জনের নিখোঁজ দাবি : আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও তার মিছিলে থাকা মো. নুরুচ্ছাপা, মো. শওকত ও মো. রুবেল নামে তিন ছাত্রলীগ কর্মী নিখোঁজ রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন