মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার নির্ণয়ে ব্ল্যাক হোল
ইজরাইলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ‘হাগাই নেটজার’ ব্ল্যাক হোল ব্যবহার করে কয়েক বিলিয়ন আলোক বর্ষ পর্যন্ত দূরত্ব নিখুঁত ভাবে পরিমাপের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। দূরত্ব পরিমাপের এই প্রক্রিয়া বিজ্ঞানীদের নিকট পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় ভাল করে মহাবিশ্বের সুদূর অতীতের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণে সহায়ক হবে। কারন মহাবিশ্বের দূরের অংশ পর্যবেক্ষণ করা মানে মহাবিশ্বের সুদূর অতীতকে দেখা। মহাবিশ্বের শুরুর পর্যায়ে প্রসারনের হার কেমন ছিল সেটা জানা এখন অনেকটা সহজ হবে।
কয়েক বছর আগে গবেষকেরা দেখতে পান যে বর্তমানে মহাবিশ্ব আমাদের ধারণার চেয়ে উচ্চ হারে প্রসারিত হচ্ছে। এই আবিষ্কারের জন্য ২০১১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ প্রদান করা হয়। কিন্তু অধিক দূরত্বে ত্বরণের এই হার নির্ধারন করাটা ছিল বড় রকমের একটি সমস্যা।
হাই এনার্জি ফিজিক্স ইনস্টিটিউট, চাইনিজ একাডেমী অব সায়েন্স এর গবেষক জিয়ান-মিন ওয়াং, পুডু ও চেন হু এবং অবজারভেটরি ডি প্যারিসের গবেষক ড. ডেভিড ভ্যালস্ গ্যাবোড এর সহযোগে অধ্যাপক নেটজার নতুন এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যার দ্বারা মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত পূর্বের সমস্যা গুলি দূর করা যায়।
এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট এক প্রকার ব্ল্যাক হোল ব্যবহার করা হয় যা বহু ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থান করে।
ফিজিকাল রিভিউ লেটারস্ জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে অধ্যাপক নেটজার বিষয়টাকে এভাবে ব্যখ্যা করেন- ‘‘এই পদ্ধতিতে ব্ল্যাক হোলের চারপাশের বস্তু সমূহ শোষিত হবার আগে যে বিকিরন নির্গত করে তা পরিমাপ করা হয়। ব্ল্যাক হোলের দ্বারা কোন বস্তু আকৃষ্ট হলে উত্তপ্ত হয় এবং বিপুল পরিমান বিকিরণ নির্গত করে যা একশ বিলিয়ন নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি ছায়াপথের উৎপন্ন শক্তির তুলনায় এক হাজার গুন বেশি। সেজন্য এটা অনেক দূর থেকে দেখা যায়’’।
ফিজিকাল রিভিউ লেটারস্ জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে অধ্যাপক নেটজার বিষয়টাকে এভাবে ব্যখ্যা করেন- ‘‘এই পদ্ধতিতে ব্ল্যাক হোলের চারপাশের বস্তু সমূহ শোষিত হবার আগে যে বিকিরন নির্গত করে তা পরিমাপ করা হয়। ব্ল্যাক হোলের দ্বারা কোন বস্তু আকৃষ্ট হলে উত্তপ্ত হয় এবং বিপুল পরিমান বিকিরণ নির্গত করে যা একশ বিলিয়ন নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি ছায়াপথের উৎপন্ন শক্তির তুলনায় এক হাজার গুন বেশি। সেজন্য এটা অনেক দূর থেকে দেখা যায়’’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন