পূর্বের থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রী বেশি
www.sciencetech24.com
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপমাত্রা হিসেবে ৬০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস নির্ধারণ করেছেন, যা প্রায় ২০ বছর আগের নির্ধারিত তাপমাত্রার থেকে ১০০০ ডিগ্রী বেশি। এ পরিমাপটি জিওফিজিকাল মডেলও নিশ্চিত করে অর্থাৎ পৃথিবীর কেন চৌম্বক ক্ষেত্র আছে এটি বর্ণনা করার জন্য পৃথিবীর কোর ও মজ্জার উপরের তাপমাত্রার পার্থক্য অবশ্যই কমপক্ষে ১৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হবে। এছাড়াও ২০ বছর আগের পরীক্ষাটিতে কেন বর্তমানের থেকে কম তাপমাত্রা পাওয়া গিয়েছিলো সেটিরও ব্যাখ্যা পেয়েছেন।
পৃথিবীর কোর সাধারণত তরল লৌহের একটি গোলক যেখানকার তাপমাত্রা ৪০০০ ডিগ্রীরও বেশি এবং চাপ প্রায় ১.৩ মিলিয়ন বায়ুচাপেরও বেশি। এমতাবস্থায় তরল লৌহের অবস্থা সাগরের তরল পানির মতোই। এ অবস্থাটি পৃথিবীর কেন্দ্রের সেই জায়টিতে বিরাজ করে যেখানে তাপমাত্রা ও চাপ বাড়তেই থাকে। পৃথিবীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সিসমিক তরঙ্গ আলোড়িত ভূমিকম্পের বিশ্লেষণ পৃথিবীর কঠিন ও তরল কোরের পুরুত্বের ধারণা দেয়, এমনকি পৃথিবীর গভীরে কিভাবে চাপ বৃদ্ধি পায় সেটিও।
যদিও এ তরঙ্গগুলো তাপমাত্রা নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারে না, তারপরেও তরল কোর ও কঠিন মজ্জার উপরের উপাদানগুলোর চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। প্রকৃতপক্ষে মজ্জা ও কোরের তাপমাত্রার পার্থক্যের আসল চালিকা পৃথিবীর নিজের তাপিয় গতিবিধি। অর্থাৎ পৃথিবীর আবর্তন যেটি ডাইনামো উৎপাদিত পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মতো আচরণ করে। এছাড়াও পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপমাত্রা জিওফিজিকাল মডেলকেও সমর্থন করে অর্থাৎ হাওয়াই দ্বিপপুঞ্জ কিংবা লা রিউনিয়নের মতো জায়াগুলোতে আগ্নেওগিরির তীব্র কার্যকলাপের ব্যাখা দেয়।
প্রথমদিকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, লৌহের গলনাঙ্ক ৪৮০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং চাপ ২.২ মিলিয়ন বায়ু চাপ। কিন্তু পরবর্তীতে বহির্পাতন পদ্ধতীতে তারা জানতে পারেন, ৩.৩ মিলিয়ন বায়ুচাপে পৃথিবীর তরল ও কঠিন কোরের মধ্যবর্তী লৌহের গলনাঙ্ক হবে ৬০০০ +/-ডিগ্রী সেলসিয়াস। লৌহক্ষয় কিংবা ধারণাকৃত ফলাফল ও পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ফেজ পরিবর্তনের ফলে বহির্পাতন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফল কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে
গবেষণার ফলফল গত ২৬ তারিখে ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন