Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩


 সন্ত্রাস বিরোধী আইন (সংশোধন) বিল সংসদে 



সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) বিল-২০১৩’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটিতে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংসকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। সোমবার  জাতীয় সংসদে ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯’ এর সংশোধনে বিলটি উত্থাপন করা হয়। রাতে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ।
বিলে জাতিসংঘের সমকালীন বিভিন্ন রেজুলেশন ও কনভেনশন এবং আন্ত:রাষ্ট্রীয় আলোচনার আলোকে আন্ত:রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসকে সজ্ঞায়ন ও আইনকে আরো যুগোপযোগী করা হয়েছে।


বলা হয়েছে, সমগ্র বাংলাদেশের পাশাপাশি বাংলাদেশে নিবন্ধিত জাহাজ বা বিমানে অবস্থানকারীর ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য হবে। বিলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের সমকালীন বিভিন্ন রেজুলেশন ও কনভেনশন এবং আন্ত:রাষ্ট্রীয় আলোচনার আলোকে সন্ত্রাস বিরোধী আইন অধিকতর সংশোধনের প্রয়োজনে বিলটি উত্থাপন করা হলো।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১১’র পরিবর্তে অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টা শাস্তির বিধান সম্বলিত নতুন ১১ ধারা প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিলে অপরাধ সংঘটনের সাহায্য ও সহায়তার অপরাধে শাস্তির সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলে সন্ত্রাস কার্যে অর্থায়ন বিষয়ে তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেকোনো ব্যক্তি বা সত্তাকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে বা তফসিল হতে বাদ দিতে পারবে অথবা অন্য কোনভাবে তফসিল সংশোধন করতে পারবে।

বিলে বিদ্যমান আইনে ২০ক ধারার পরিবর্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ শীর্ষক নতুন ২০ক ধারা সন্নিবেশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি রেকর্ড সম্পর্কিত বিশেষ বিধান, তদন্তকালীন সন্ত্রাসী সম্পত্তি জব্দ বা ক্রোকের বা বিশেষ বিধান এ বিলে সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন