মঙ্গলে যেতে ৭৮ হাজারের বেশি আবেদন
২০২৩ সাল নাগাদ মঙ্গলে বসবাস উপযোগী একটি মনুষ্য কলোনি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। লাল গ্রহটিতে মানুষ পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার পর প্রায় ৭৮ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
লোহিত এই গ্রহে যেতে পাড়ি দিতে হবে চার কোটি মাইলের মতো পথ। লাল এ গ্রহটির বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড ৯৫ শতাংশ। তাপমাত্রা মাইনাস ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। এমন পরিবেশে কীভাবে, কত দিন বাঁচা যাবে, তার ব্যাখ্যা খুঁজছেন না আবেদনকারীরা। তাছাড়া গ্রহটিতে পৌঁছতেও সময় লাগবে প্রায় সাত মাস।
এ সময়ে বিভিন্ন স্তরে মহাকর্ষ বলের পরিবর্তনের কারণে শরীরের ওপর যে ধকল যাবে, তাও কি মোকাবেলা করা সম্ভব? এ প্রশেুরও সঠিক উত্তর পাওয়া কঠিন। যারা যাবেন, তাদের সেখান থেকে আর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে না- এটি জানানো হয়েছে অনেক আগেই।
মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বসতি গড়তে মঙ্গল গ্রহে যেতে চাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। নেদারল্যান্ডসের জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘মার্স ওয়ান’ এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মার্স ওয়ানের প্রকল্পে নির্বাচিত হয়ে মঙ্গলে যেতে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আবেদন পড়েছে ৭৮ হাজারের বেশি।
আয়োজকদের ধারণা করছেন, সর্বশেষ তারিখ আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আবেদন পড়বে পাঁচ লাখের মতো। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে চারজনকে। এরপর ২০২২ সালে তাদের পাঠানো হবে মঙ্গলে। ২০২৩ সালে তারা সেখানে পৌঁছে শুরু করবেন কলোনি গড়ে তোলার কাজ। এমন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ২০৩৩ সালের মধ্যে পাঠানো হবে মোট ২০ জনকে।
মার্স ওয়ান কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্যাস ল্যান্সডরপ জানিয়েছেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ আবেদন করতে পারেন। আবেদনের জন্য নির্ধারণ ফি প্রার্থীর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে। আবেদন ফি থেকে পাওয়া অর্থ ব্যয় করা হবে বাছাইয়ের জন্য রিয়েলিটি শো আয়োজনে। শো থেকে প্রাপ্ত অর্থ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগানো হবে। দর্শকের ভোটসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় প্রথমে বেছে নেওয়া হবে ২৪ জনকে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর প্রশিক্ষণ দেয়ার পর তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হবে ৪ জনকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন