আমাদের আশরাফুল ......
আশরাফুল বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম একজন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস লিখতে গেলে তাকে বাদ দেয়-সাধ্য কারো নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার আগমন রাজপুত্রের মতো। বাংলাদেশ ক্রিকেটের শিশু বয়সে আশরাফুল এসেছেন, খেলেছেন আর জয় করে নিয়েছেন এদেশের লাখো-কোটি ক্রিকেট ভক্তের হৃদয়। তার ব্যাটেই নিশ্চিন্তে হাসতে শুরু করে বাংলাদেশ, দায়িত্বশীলতার সাথে খেলে তিনি হয়েছিলেন বাংলাদেশের আশার ফুল। যাকে নিয়ে প্রতিনিয়তই দানা বাঁধতে থাকে তারুন্যের স্বপ্নেরা। তিনি তার প্রতিদানও দিয়েছেন সাকিব-মুশফিক পূর্ববর্তি সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পেছনে অবদান রেখে। আশরাফুলের অবদান এমনই। তারুন্যকে পথ দেখাবার চওড়া বুকের পাটা তার ছিল এবং আবারো তা প্রমাণ হলো। তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে যাওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। চওড়া বুকের পাটা না হলে এভাবে দোষ স্বীকার করার রেওয়াজ এ দেশের আর একটি আছে কীনা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে।
যারা এ পর্যন্ত পড়ে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধারের মনস্থির করেছেন, তাদের বলছি, আশরাফুল ম্যাচ পাতিয়ে/স্পট ফিক্সিং করে যে অন্যায় করেছেন সেটার দায় শুধু তারই। তার এই অপকর্মের জন্য আর কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। যে দেশে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসানো হয় সরকারি যোগসাজশে, পদ্মা সেতুর মতো সুবিশাল প্রকল্পে দুর্নীতির প্লট তৈরি হয়, হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো বাঙলার আকাশ ঢেকে দেওয়া কলঙ্ক হয়, বিরোধী দলের টানা সংসদ বর্জন চলে, রামুতে বৌদ্ধদের ওপর হামলা চলে, র্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, দিনের পর দিন হরতাল, বিদেশে টাকা পাচার করে দেশের বারোটা বাজানো হয়, রানা প্লাজা ধ্বসের মতো ঘটনায় ব্যক্তি মানুষকে দায়ী করা হয়-সরকার যন্ত্র হিসেবের বাইরে রয়ে যায়, সেখানে আশরাফুল অনণ্য উদাহরন স্থাপন করেছেন নিজের দোষ স্বীকার করে। বুক ফুলিয়ে এই তারুন্যের জন্য আবারো গর্ববোধ করছি। আবারো এই তারুন্যের জন্য প্রাণ খুলে বলছি, সাবাশ আশরাফুল! সাবাশ। ভুল হতেই পারে, সেই ভুল দ্রুততায় স্বীকার করে অন্যদের জন্য আপনিই উদাহরন স্থাপন করলেন। সাবাশ। যারা পত্রিকার পাতা, টেলিভিশন টকশোয় গলা ফাটাচ্ছে আপনাকে নিয়ে তাদের মুখে জুতা মেরেছেন আপনি। তারুন্যকে এ দেশে কেউ দমায়ে রাখতে পারবে না। এগিয়ে যান আশরাফুল। আছি কোটি তারুন্য আপনাদের পাশে। ক্রিকেট বাংলাদেশের পাশে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের আকাশটা যখন একটু বিস্তৃত হতে শুরু করলো তখনই আশরাফুলের সাথে যোগ হন সাকিব, তামিম, মুশফিক, নাসিররা। আর ঠিক তখনই যেন কালো মেঘ হয়ে নেমে আসে স্পট ফিক্সিংয়ের ভয়াল থাবা। ধ্বংস করে দিতে চায় এদেশের লাখো মানুষের স্বপ্ন, আশা আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে ওঠা ক্রিকেটার, লিটল মাস্টার খ্যাত আশরাফুলকে। তার বিরদ্ধে ওঠে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ। আর তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে ঘটে যায় আমাদের আশার ফুলের অপমৃত্যু। বেদনায় নীল হয়ে যায় পুরো দেশ। আমরা সবাই জানি, ফিক্সিংয়ে তৃতীয় পক্ষের বাড়াবাড়ি রকমের হস্তক্ষেপ থাকে। কোথাও কোথাও আন্ডারওয়ার্ল্ডের চোখ রাঙানিও থাকে। পাপের টাকা হাতে নিতে হবে নইলে জীবন যাবে। এ রকম নানা চাপ খেলোয়াড়দের ওপর হামেশাই থাকে। এসব চাপ সামাল দেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেই কারণে পথচ্যূত হয়ে পড়েন তারকা খেলোয়াড়রা।
ক্রিকেটের বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে অনেক আগেই, ক্রিকেট মানেই এখন টাকার খেলা আর রঙ-বেরঙের গাড়ি-বাড়ির হাতছানি। ক্রিকেটের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাঁচা টাকার গন্ধ। টাকা-ই ক্রিকেটারদের বিপথগামী করছে-এমন অভিযোগও পুরনো। টাকার কাছে বিক্রি হয়েই তারা বিক্রি করছেন কোটি মানুষের স্বপ্নকে। দ্বিধাবিভক্ত, হানাহানি, হিংসা-দ্বেষ ভুলে পুরো জাতিকে একমাত্র ক্রিকেটটাই পারে একই সূতোয় গাঁথতে। লাল-সবুজের পতাকা হাতে কিংবা অঙ্গে পতাকা জড়িয়ে, দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ-বাংলাদেশ বলে উল্লাস করতে সাহায্য করেন আবার সেই আশরাফুলরাই। আশরাফুলদের সাফল্যেই রাত-বিরাতে রাস্তায় নামে মানুষের ঢল, সব ক্ষোভ ভালবাসা হয়ে ঝড়ে পরে লাখো মানুষের কন্ঠে। আশরাফুলদের ব্যর্থতাই আবার আমাদের কাঁদায়। বিশাল প্রাপ্তি কি এই ‘সামাণ্য পাপে’ ধূলিস্যাত হয়ে যাবে? না, তা হতে পারে না।
বেশ ভালই চলছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। এরপর হঠাৎ টি-২০ জ্বরে প্বার্শবর্তী দেশ ভারতের প্ররোচনায় দেশে শুরু হলো বিপিএল। দেশে ভীড়তে শুরু করে পাশ্ববর্তী দেশের জুয়াড়িরা। তখনই কেন এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো না? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই হোক বিপিএলে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ক্রিকেটারদের সাথে খেলতে নামল দামাল ছেলেরা। বিপিএলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হলো বিদেশি ভালো খেলোয়াড়দের সাথে খেললে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের টেম্পারামেন্ট বাড়বে সেই সাথে খেলোয়াড়দের পকেটে কিছু টাকা ঢুকলে মন্দ কী। কথাটা মিথ্যা নয় বিপিএলের কল্যাণেই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ঘটনাটা এখানে থেমে থাকলেই ভালো ছিল। তবে ক্রিড়াঙ্গনে গুঞ্জন ওঠে বিপিএলের অনেক তারকা খেলোয়াড়ের প্রতিশ্রুত পূর্ণাঙ্গ টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে কি লেনদেনে এই অস্বচ্ছতাই ক্রিকেটারদের বিপথগামী করে তোলে? তাহলে আশরাফুলদের পাশাপাশি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তাদেরকেও যারা ব্যার্থ হয়েছেন তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ জোগাতে। তারপরও আশরাফুল পুরো জাতির সাথে প্রতারণার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। সেটা তিনি অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছেন।
আমি নিশ্চিতভাবে জানি, আশরাফুল তার কোটি ভক্তের কথা ভেবেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, কাতর চিত্তে জাতির কাছে চেয়েছেন নি:শর্ত ক্ষমা। জাতি হয়তো তাদের এই বাঘা ব্যাটসম্যানটিকে ক্ষমা করবে, কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড হয়তো তাকে ক্ষমা করবে না। ব্যাট হাতে আর দেখা যাবে না প্রিয় আশরাফুলকে। সংবাদ সম্মেলণে যে আশরাফুল অশ্রুসিক্ত ছবি আমরা দেখেছি তা দেখে কোটি তারুন্যের সাথে আমারও বুকটা ভেঙে গেছে। আমরাতো এমন অপরাধী মুখের অশ্রুসিক্ত ছবি দেখতে চাইনি। আমরা চাই ম্যান অব দ্য ম্যাচ বা ম্যান অব সিরিজ জয়ী আশরাফুলের হাস্যোজ্বল ছবি।
হয়তো বা এমন হাস্যোজ্বল ছবি আর পাবো না আমরা। তবে কলঙ্কের কালো মেঘ সরিয়ে দিতে আশরাফুল যে নজীরটি স্থাপন করলেন তার জন্যও উদাহরন হয়ে থাকবেন তিনি। হাজারো বাংলাদেশীর আশার ফুল আশারাফুলকে স্যালুট এজন্যই যে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করার মতো দুঃসাহস দেখালেন। সাংবাদিকদের ডেকে বলতে পারলেন আমি অপরাধী, কর্তৃপক্ষের সব ধরণের শাস্তির জন্য আমি প্রস্তুত আছি। কিন্তু যারা প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে প্রতারণা করে চলেছেন, যাদের জন্য পদ্মা সেতু হয় না, যাদের দুর্ণীতির কারণে শেয়ারবাজারে নামে ধস, দুর্ণীতিতে বাংলাদেশ বছরের পর বছর চ্যাম্পিয়ান হয় তারাতো একটি বারের জন্যও জনতার সামনে এসে ক্ষমা চায় না। তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে আর লুটপাট করে। তারা আজ নিশ্চয়ই আশরাফুলের এমন নিষ্পাপ কান্না দেখে ড্রইংরুমে বসে দাত কেলিয়ে হাসছেন আর চ্যানেল পাল্টে খবর দেখছেন। অথচ একটি বারের জন্যও তারা ভাবছেন না যে তারা নিজেরই প্রতিচ্ছবি দেখছেন ওই টিভিতে। কারণ বোঝার মতো মানসিক ক্ষমতা আসলে তাদের নেই। ধন্যবাদ আশরাফুল, আপনি ক্ষমা চাওয়ার যে নজির স্থাপন করলেন তাতে পুরো জাতি আপনাকে ক্ষমা করে দেবে। না দিলে দাত কেলানো লোকদের কাছে জিম্মি হবে গোটা দেশ। অন্ধকারের পথ টাইগারদের নয়, শত বিপদে প্রতিকূলতায় তাই টাইগারদের পাশে আছি, থাকব। ক্রিকেট বাংলাদেশ তার জয়রথ থামাবে না। অন্ধকার ভেদ করে জয়ের আলো আসবেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের আকাশটা যখন একটু বিস্তৃত হতে শুরু করলো তখনই আশরাফুলের সাথে যোগ হন সাকিব, তামিম, মুশফিক, নাসিররা। আর ঠিক তখনই যেন কালো মেঘ হয়ে নেমে আসে স্পট ফিক্সিংয়ের ভয়াল থাবা। ধ্বংস করে দিতে চায় এদেশের লাখো মানুষের স্বপ্ন, আশা আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে ওঠা ক্রিকেটার, লিটল মাস্টার খ্যাত আশরাফুলকে। তার বিরদ্ধে ওঠে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ। আর তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে ঘটে যায় আমাদের আশার ফুলের অপমৃত্যু। বেদনায় নীল হয়ে যায় পুরো দেশ। আমরা সবাই জানি, ফিক্সিংয়ে তৃতীয় পক্ষের বাড়াবাড়ি রকমের হস্তক্ষেপ থাকে। কোথাও কোথাও আন্ডারওয়ার্ল্ডের চোখ রাঙানিও থাকে। পাপের টাকা হাতে নিতে হবে নইলে জীবন যাবে। এ রকম নানা চাপ খেলোয়াড়দের ওপর হামেশাই থাকে। এসব চাপ সামাল দেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেই কারণে পথচ্যূত হয়ে পড়েন তারকা খেলোয়াড়রা।
ক্রিকেটের বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে অনেক আগেই, ক্রিকেট মানেই এখন টাকার খেলা আর রঙ-বেরঙের গাড়ি-বাড়ির হাতছানি। ক্রিকেটের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাঁচা টাকার গন্ধ। টাকা-ই ক্রিকেটারদের বিপথগামী করছে-এমন অভিযোগও পুরনো। টাকার কাছে বিক্রি হয়েই তারা বিক্রি করছেন কোটি মানুষের স্বপ্নকে। দ্বিধাবিভক্ত, হানাহানি, হিংসা-দ্বেষ ভুলে পুরো জাতিকে একমাত্র ক্রিকেটটাই পারে একই সূতোয় গাঁথতে। লাল-সবুজের পতাকা হাতে কিংবা অঙ্গে পতাকা জড়িয়ে, দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ-বাংলাদেশ বলে উল্লাস করতে সাহায্য করেন আবার সেই আশরাফুলরাই। আশরাফুলদের সাফল্যেই রাত-বিরাতে রাস্তায় নামে মানুষের ঢল, সব ক্ষোভ ভালবাসা হয়ে ঝড়ে পরে লাখো মানুষের কন্ঠে। আশরাফুলদের ব্যর্থতাই আবার আমাদের কাঁদায়। বিশাল প্রাপ্তি কি এই ‘সামাণ্য পাপে’ ধূলিস্যাত হয়ে যাবে? না, তা হতে পারে না।
বেশ ভালই চলছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। এরপর হঠাৎ টি-২০ জ্বরে প্বার্শবর্তী দেশ ভারতের প্ররোচনায় দেশে শুরু হলো বিপিএল। দেশে ভীড়তে শুরু করে পাশ্ববর্তী দেশের জুয়াড়িরা। তখনই কেন এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো না? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই হোক বিপিএলে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ক্রিকেটারদের সাথে খেলতে নামল দামাল ছেলেরা। বিপিএলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হলো বিদেশি ভালো খেলোয়াড়দের সাথে খেললে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের টেম্পারামেন্ট বাড়বে সেই সাথে খেলোয়াড়দের পকেটে কিছু টাকা ঢুকলে মন্দ কী। কথাটা মিথ্যা নয় বিপিএলের কল্যাণেই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ঘটনাটা এখানে থেমে থাকলেই ভালো ছিল। তবে ক্রিড়াঙ্গনে গুঞ্জন ওঠে বিপিএলের অনেক তারকা খেলোয়াড়ের প্রতিশ্রুত পূর্ণাঙ্গ টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে কি লেনদেনে এই অস্বচ্ছতাই ক্রিকেটারদের বিপথগামী করে তোলে? তাহলে আশরাফুলদের পাশাপাশি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তাদেরকেও যারা ব্যার্থ হয়েছেন তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ জোগাতে। তারপরও আশরাফুল পুরো জাতির সাথে প্রতারণার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। সেটা তিনি অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছেন।
আমি নিশ্চিতভাবে জানি, আশরাফুল তার কোটি ভক্তের কথা ভেবেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, কাতর চিত্তে জাতির কাছে চেয়েছেন নি:শর্ত ক্ষমা। জাতি হয়তো তাদের এই বাঘা ব্যাটসম্যানটিকে ক্ষমা করবে, কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড হয়তো তাকে ক্ষমা করবে না। ব্যাট হাতে আর দেখা যাবে না প্রিয় আশরাফুলকে। সংবাদ সম্মেলণে যে আশরাফুল অশ্রুসিক্ত ছবি আমরা দেখেছি তা দেখে কোটি তারুন্যের সাথে আমারও বুকটা ভেঙে গেছে। আমরাতো এমন অপরাধী মুখের অশ্রুসিক্ত ছবি দেখতে চাইনি। আমরা চাই ম্যান অব দ্য ম্যাচ বা ম্যান অব সিরিজ জয়ী আশরাফুলের হাস্যোজ্বল ছবি।
হয়তো বা এমন হাস্যোজ্বল ছবি আর পাবো না আমরা। তবে কলঙ্কের কালো মেঘ সরিয়ে দিতে আশরাফুল যে নজীরটি স্থাপন করলেন তার জন্যও উদাহরন হয়ে থাকবেন তিনি। হাজারো বাংলাদেশীর আশার ফুল আশারাফুলকে স্যালুট এজন্যই যে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করার মতো দুঃসাহস দেখালেন। সাংবাদিকদের ডেকে বলতে পারলেন আমি অপরাধী, কর্তৃপক্ষের সব ধরণের শাস্তির জন্য আমি প্রস্তুত আছি। কিন্তু যারা প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে প্রতারণা করে চলেছেন, যাদের জন্য পদ্মা সেতু হয় না, যাদের দুর্ণীতির কারণে শেয়ারবাজারে নামে ধস, দুর্ণীতিতে বাংলাদেশ বছরের পর বছর চ্যাম্পিয়ান হয় তারাতো একটি বারের জন্যও জনতার সামনে এসে ক্ষমা চায় না। তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে আর লুটপাট করে। তারা আজ নিশ্চয়ই আশরাফুলের এমন নিষ্পাপ কান্না দেখে ড্রইংরুমে বসে দাত কেলিয়ে হাসছেন আর চ্যানেল পাল্টে খবর দেখছেন। অথচ একটি বারের জন্যও তারা ভাবছেন না যে তারা নিজেরই প্রতিচ্ছবি দেখছেন ওই টিভিতে। কারণ বোঝার মতো মানসিক ক্ষমতা আসলে তাদের নেই। ধন্যবাদ আশরাফুল, আপনি ক্ষমা চাওয়ার যে নজির স্থাপন করলেন তাতে পুরো জাতি আপনাকে ক্ষমা করে দেবে। না দিলে দাত কেলানো লোকদের কাছে জিম্মি হবে গোটা দেশ। অন্ধকারের পথ টাইগারদের নয়, শত বিপদে প্রতিকূলতায় তাই টাইগারদের পাশে আছি, থাকব। ক্রিকেট বাংলাদেশ তার জয়রথ থামাবে না। অন্ধকার ভেদ করে জয়ের আলো আসবেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন