Hazrat Umar (ra.): Biography

Islamic Women

বুধবার, ১৫ মে, ২০১৩

ঘুর্নিঝর মহাসেন আজ আঘাত হানতে পারে  


 
৯১’র প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়কে ছাড়িয়ে যাবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নং বিপদ সংকেত,
ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চার করে ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকেই আসছে। উপকূলের হাজার হাজার পরিবারের শিশু কিশোর মহিলারা এখনও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তাও। বুধবার নয় বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলাদেশ উপকূল ঘেঁষে উড়িষ্যায় ছোবল দিতে পারে মহাসেন। মার্কিন বিশ্লেষকরা অনেক আগে থেকেই এমনটিই বলেছেন।
চলতি মাসের ৫ তারিখও মহাসেনের গতিবিধি সম্পর্কে একটি ওয়েভসাইটে বিশেষ বুলেটিন প্রচার করা হয়।বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা ঘূর্নিঝড়ের আঘাত বুধবার রাতে উল্লেখ করলেও সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলেছেন বুধবার রাতের সম্ভাবনা নাই। বৃহস্পতিবার রাতেই এটি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।নাসার একটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে মার্কিন নৌবাহিনীর কমান্ডাররা বলেছেন, মহাসেনের অবস্থান এবং এর গতিবিধি অনেক আগেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশ উপকূল ঘেঁষে মায়ানমার উড়িষ্যা তামিলনাডুতে মহাসেন আছড়ে পড়বে বলেও আশংকা করা হয়।বর্তমানে মহাসেন’র গতি খুব প্রবল নয়। মার্কিন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এভাবে গতি সঞ্চারের পর মঙ্গলবার রাতেই মহাসেন দ্রুতগতি লাভ করে ধেয়ে যাবে একশ’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মহাসেন’ বর্তমানে যে মাত্রায় বিরাজমান তাতে ৯১’র প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়কে ছাড়িয়ে যাবে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথা বলা হলেও উপকূলবাসী রয়েছেন আতঙ্কে। কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা, কুতুবদিয়া, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং ও পেকুয়ার কিছু এলাকায়ও এ অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে অনেকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে শুরু করেছে। তবে দরিদ্র উপকূলবাসী নিরাপদ স্থানে যেতে পারছে না বলে জানা গেছে।কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ‘মহাসেন’র ঝুঁকি মোকাবেলায় সর্বোত্তম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রস্তুতির আওতায় স্বাস্থ্য বিভাগসহ সব বিভাগের কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব উপজেলায় মাইকিং, রেডিও বার্তার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
 
সতর্ক সংকেতের নম্বর গতিবেগ ঘণ্টায়-----
১। ১ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত - গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিমি ।
২। ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিমি ।
৩। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি ।
৪। ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত - গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৫। ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৬। ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৭। ।৭ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত মানে বন্দর ছোট ও মাঝারি সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত -
গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
৮। ৮ নম্বর হলো মহাবিপদ সঙ্কেত -গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে ।
৯। ৯ নম্বর হলো মহাবিপদ সঙ্কেত -১১৮ থেকে ১৭০ বেগে হারিকেনের তীব্রতা সম্পন্ন
প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিরাজ করবে।
১০। ১০ নম্বর হলো মহাবিপদ সঙ্কেত-গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭১ কিলোমিটার বা তার বেশি হবে।
১১। ১১ নম্বর হলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সঙ্কেত- আবহাওয়ার বিপদ সঙ্কেত দেওয়া
কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিঃ দ্রঃ জরুরি যোগাযোগের জন্য জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চালু করা কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। দুর্যোগকালে সঙ্কটময় মুহূর্তসহ সব ধরনের জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের ৬৪২৫৪ নম্বর ফোনে যোগাযোগের জন্য তিনি সবার কাছে আহ্বান জানান। 
 
ঘূর্ণিঝড় "মহাসেন"-এর জন্য উদ্ভুত

পরিস্থিতিতে সাহায্যের  জন্য আরো  কিছু জরুরী নম্বর,

ঘূর্ণিঝড় "মহাসেন" বিষয়ক রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রন

কক্ষে যোগাযোগের নম্বরঃ ৮৮১৮৭৩৬, ৯৮৫৫৯৩৩, ০১৭৫৯১১৪৪৮৮

ঘূর্ণিঝড় "মহাসেন" সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য তথ্য

অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম নম্বরঃ ৯৫১৪৯৮৮,

৯৫১২২৪৬, ৯৫৪০০১৯

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বিশেষ নিয়ন্ত্রন কক্ষ

নম্বর: ০৩৪১৬৪২৫৪, ০১৭১২০৭২২৭ 

[ বাংলা বই পড়া ]

1 টি মন্তব্য: