Few Status From Facebook
banglaboipora.blogspot.com
[1] একজন গনহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীরবিবরণ
একজন অংশগ্রহণকারী প্রত্যক্ষদর্শীরবিবরণ শুনলাম। রাতে যখন ঘোষণা আসে সরে পড়ার, পুলিশের গাড়ি ঢুকছে দেখেও হেফাজত কর্মী-সমর্থকরা জিকির করছিলেন। কেউ কেউ যখন প্রতিরোধের কথা বলেন-তখনো এরা জিকির করছিলেন এবং বলছিলেন- দোয়া করুন আল্লাহ যেন এদের হেদায়েত দেয়। এই মানুষগুলো আসলেই এত বেশি সরল যে চিন্তা করেননি তাদেরকে এভাবে গুলি করবে।
তারপর যখন সত্যি গুলিবর্ষণ শুরু হল- এরা ভয়ে অস্থির হয়ে পালাতে লাগলেন। এমনকি কারও লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্যও দাঁড়াননি। উইটনেস তখন বিহ্বল হয়ে বসে কাঁদছিলেন। খানিক পরে এক জনের পরামর্শে পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করেছেন। কাল পর্যন্ত এদের এবং নেতৃত্বের অদূরদর্শিতাকে দুষছিলাম। এখন দোষ দিতেও পারছি না। এত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পুরোপুরি অনুপস্থিতির পিছনে অন্য ইসলামপন্থীরাও দায়ী। আবার, প্রত্যেকের অজ্ঞতার জন্য সে নিজে দায়ী তো বটেই। মুসলমানের আত্মোপলব্ধির সময় এটা। ভুল করে কান্না নয়, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সময়। আধ্যাত্মিকতা ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সত্যি, কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ ইহকালীন বিষয়গুলোকেও
যথাযথভাবে বুঝে নেওয়া। আল্লাহরই নির্দেশ যুদ্ধ। জিকির করতে হবে অবশ্যই, কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে নয়। যুদ্ধের ময়দানে এমনকি নামাজেও অস্ত্র রাখতে বলা হয়েছে সাথে আর রাখতে বলা হয়েছে প্রহরা।
শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় জিকির করতে করতে ঘুমিয়ে যাওয়ার ঘটনা আর যেন না ঘটে। মুসলমান মৃত্যুর ভয় করবে না। জীবন দেবে আল্লাহরই জন্য- কিন্তু
বিনাযুদ্ধে যেন না দেয়।
[2] ব্রেকিং নিউজ ব্রেকিং নিউজ
ব্রেকিং নিউজ
থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে। আজকের কালের কন্ঠ, মানব জমিন, ইনকিলাব সহ অনেকপত্রিকায়লিখেছে কুরআন পুড়িয়েছে সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবশীস বিশ্বাসের নেতৃত্বে তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। আল্লাহ্মু খোশ খুলে দিয়েছে। আপনারা রিপোর্টকরুন। পত্রিকা দেখুন। হলুদ মিডিয়াকে গলাধাক্কা দিয়ে জা বালকে ও দেখিয়ে দিন কারা এই ঘৃণিত কাজ করেছে। শেয়ারকরে সবাইকে জানিয়ে দিন।
[3] ভাইয়া মনের এই কষ্টটা একবার POST করবেন !
৭১' এ প্রাণপণ যুদ্ধ করে পেলাম সেই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা আর আজ ৯০% মুসলিমদের দেশে হারাতে বসেছি ইসলাম !!!
কি পেলাম ?
দেশদ্রোহী বলবেন না , একটু ভাবুন ?
যদি ৭১' এ দূর্ভ্যাগ্যক্রমে পরাজিত হতাম তাহলে কি আজকের এই সময়ে ইসলামের উপর আঘাত আসত ? [পারলে বলে দিন যে আমরা এখনো স্বাধীনতা বিরোধী?]
২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা ট্রাজেডি.....
২৮ ফেব্রুয়ারি গণহত্যা......
২৮ শে অক্টোবরের লগি বৈঠা.....
২৪ এপ্রিলের রানা প্লাজা ট্রাজেডি.....
তাজরিন ট্রাজেডি.....
৫-৬ মে'র চলতি গণহত্যা কি স্বাধীনতার বিশেষ উপহার ???
নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ??
৯০% মুসলিমদের দেশে যদি ইসলাম পরাজিত হয় তাহলে সেই স্বাধীনতার কোনো দরকার ছিল না ।
[4] আগেও একবার বলেছি আজ আবার বলছি, বিষয়টা আপনারাও জানেন তবে কেউ কেউ মানেন না। যদি তর্কের খাতিরে মেনে নেই যে হেফাযতের কর্মীরা ফুটপাতের দোকানে আগুন দিয়েছে তবে আপনারা নিশ্চইয় জানেন যে রাতের অন্ধকারে হোক বা দিনের আলোতে হোক দোকানদাররা নিশ্চই কুরআন শরীফগুলো খোলা অবস্থায় পেলে যায়নি। তারা সেগুলো প্লাস্টিকের মোড়কে বেধে গিয়েছিল। আর যখন কেউ তাতে আগুন দিল এবং কুরআন শরীফ পুড়ে গেল এতে করে আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা যায় কুরআন পুড়ানোর নয়। একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায় , আপনি একটি ঘরে আগুন দিলেন আর সেই আগুনে ঘরের ভিতরে থাকা কুরআন পুড়ে গেল। আপনি বলুন তখন আপনার বিরুদ্ধে কিসের মামলা হবে ঘর পোড়ানোর মামলা না কুরআন পুড়ানোর মামলা? আপনি যদি বুদ্ধি প্রতিবন্ধি না হন তবে নিশ্চই বলবেন ঘর পুড়ানোর মামলা। অতএব এটা জানার পরও কারো বিরুদ্ধে কুরআন পুড়ানোর অভিযোগ আনা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে রাজনীতি করার সামিল। এবার আসুন কারা আগুন লাগিয়ে ছিল সে ব্যাপারে জানা যাক, মোহনা টিভির এক সাংবাদিক তার রিপোর্টে বলেছেন যারা আগুন লাগিয়ে ছিল তারা ছিল প্যান্ট শার্ট পরা এবং তাদের মাথায় ছিল হেলমেট। এ কথা সত্যি হেফাযতের অবরোধ কর্মসূচিতে অনেক প্যান্ট শার্ট পরা লোকজন গিয়েছিল তবে পাশাপাশি তাদের মাথায় একটি করে টুপিও ছিল। তবে প্রশ্ন হল তাদের মাথায় হেলমেট এলো কোথা থেকে? হেফাযতের লক্ষ লক্ষ জনতার মাঝে হেলমেট পরিহিত লোক আপনি কয়জন দেখেছেন। যদি একজনও না দেখেন তবে এ কথা বিশ্বাস করলেন কি করে হেফাযতের কর্মীরা আগুন দিয়েছে? অতএব এখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল। আর তারা কারা তা সহজেই অনুমেয়। এবার আসুন গাছ কাটলো কারা? আপনি এখনি ঢাকা গিয়ে দেখতে পারেন। প্রতিটি গাছ করাত দিয়ে কাটা। হেফাযতের কর্মীরাতো করাত নিয়ে ঢাকা যায়নি। আপনি কি তাদের কাউকে দেখেছেন করাত হাতে? যদি তারা গোপনেও করাত নিয়ে যেত তবে কয়েকটি পুলিশের করাতে কাটা লাশ পাওয়া যেত। কিন্তু তাও পাওয়া গেল না। আগুন লাগানোর স্থানটিও সমাবেশ থেকে অনেক দূরে। অতএব গাছ কেটেছে যারা আগুনও লাগিয়েছে তারা।আর তারা যে কারা তা আপনি আমি ভালভাবেই জানি। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এতগুলো মিডিয়া কি তাহলে মিথ্যাচার করছে? আমি বলব তারা ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার করছে না, তবে মিথ্যাচার করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ সব সত্য প্রকাশ করতে গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাদের চ্যানেল সাথে রুটি রুজি। তাই আসুন বিবেক দিয়ে বিবেচনা করি। সত্য মিখ্যার পার্থক্য করতে যদি না পারেন তবে চুপ থাকেন। নিজের মতকে সব কিছুর উপর বিজয়ী ঘোষণা করবেন না। সবার সব কথা শুনুন আয়নার সামনে দাড়িয়ে অথবা একাগ্র মনে নিজেকে নিজে জেরা করুন, অন্যের সাথে তর্ক করার আগে নিজের বিকেকের কাছে বিজয়ী হয়ে আসুন। আপনি যদি সু শিক্ষিত হয়ে থাকেন আশা করছি আপনার বিবেক আপনাকে সুপথেই পরিচারিত করবে।
[5] বিডিব্রেকিং২৪ডটকম
ঢাকা: দেশের কোন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো সোচ্চার হয়ে উঠছে। ইখওয়ান অনলাইনের পর এবার বোমা ফাটালো এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন। তারা দাবি করেছে ৫মে রাতে মতিঝিলে হেফাজতের কর্মীদের সরাতে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানে ২৫০০এরও অধিক হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে।
তারা বলে, রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশের অবস্থা দেখেই বুঝা যায় লাশের সংখ্যা কত ব্যাপক হতে পারে।
প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশের টিভি ও নিউজপেপারের কঠোর সমালোচনা করে। তারা একটি ইংরেজি দৈনিকের দেয়া মাত্র ৭ জন লাশের কথা উল্লেখ করে। এছাড়া তারা বলে- দেশটির প্রায় সব টিভি চ্যানেলই নিরব।
৬ই মে ২০১৩
http://www.bdbreaking24.com/ view.php?id=17
ঢাকা: দেশের কোন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো সোচ্চার হয়ে উঠছে। ইখওয়ান অনলাইনের পর এবার বোমা ফাটালো এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন। তারা দাবি করেছে ৫মে রাতে মতিঝিলে হেফাজতের কর্মীদের সরাতে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানে ২৫০০এরও অধিক হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে।
তারা বলে, রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশের অবস্থা দেখেই বুঝা যায় লাশের সংখ্যা কত ব্যাপক হতে পারে।
প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশের টিভি ও নিউজপেপারের কঠোর সমালোচনা করে। তারা একটি ইংরেজি দৈনিকের দেয়া মাত্র ৭ জন লাশের কথা উল্লেখ করে। এছাড়া তারা বলে- দেশটির প্রায় সব টিভি চ্যানেলই নিরব।
৬ই মে ২০১৩
http://www.bdbreaking24.com/
[6] অন্যায়ভাবে কোন ঈমানদারকে হত্যা করার ভয়াবহতা:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ''একজন ঈমানদারকে অন্যায় ভাবে হত্যা করার চেয়ে আল্লাহর নিকট দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া অধিক হালকা ব্যাপার।''(ইমাম মুনযেরী কর্তৃক সংকলিত আত তারগীব ওয়াত তারহীব- ২/২৭৫, সনদহাসান)
আবু মূসা (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন তখন আর ছাড়েন না। আবু মূসা বলেনঃ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ “এবং এরূপেই তোমার রবের পাকড়াও, যখন তিনি যালিমদের কোন বসতিকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও অতি কঠোর যন্ত্রণাদায়ক।”(সুরাঃ হুদ, আয়াত ১০২) (বুখারিঃ হাদিস নং, ৪৬৮৬)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন